পাকিস্তানের নতুন প্রেসিডেন্ট হলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত পাক ব্যবসায়ী মামনুন হুসেন। আসিফ আলি জারদারির উত্তরসূরি হিসেবে আগামী ৯ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিক ভাবে দেশের প্রেসিডেন্ট পদের দায়িত্বভার গ্রহণ করবেন তিনি।
মঙ্গলবার সকাল দশটা নাগাদ শুরু হয় ভোটগ্রহণ পালা। বেসরকারি সূত্র বলছে, দিনের শেষে মোট ২৭৭টি ভোট
|
মামনুন হুসেন |
জমা পড়েছে মামনুনের ঝুলিতে। একপ্রকার একতরফা ভাবেই অন্যতম বিরোধী দল, তেহরিক-ই-ইনসাফের মনোনীত প্রার্থী তথা প্রাক্তন বিচারপতি ওয়াজিহুদ্দিন আহমেদকে হারিয়ে পাক প্রেসিডেন্ট হওয়ার দৌড়ে জয়ী হয়েছেন পাকিস্তান মুসলিম লিগের এই প্রার্থী।
সূত্রের খবর, মামনুনের জন্ম আদতে ভারতের আগরা শহরে। ভারত-পাক বিভাজনের সময়ে মামনুন ও তাঁর পরিবার চলে আসেন পাকিস্তানে। প্রতিষ্ঠিত এই কাপড়-ব্যবসায়ী বর্তমান পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ একজন বলেই মূলত পরিচিত পাক রাজনৈতিক মহলে।
শুরু শুরুতে প্রেসিডেন্ট হওয়ার লড়াইটা অবশ্য সহজ ছিল না। মামনুনকে টক্কর দিতে ক্ষমতাসীন পাকিস্তানি পিপলস্ পার্টি (পিপিপি)-র তরফে লড়াইয়ের ময়দানে নামানো হয়েছিল রাজা রব্বানিকে। স্থির ছিল ভোট হবে ৬ অগস্ট।
বিতর্কের সূত্রপাত গত সপ্তাহে। আইনসভার একাধিক সদস্য সরকারের কাছে আর্জি জানান, পবিত্র রমজানের শেষে তীর্থ সারতে সৌদি আরব যেতে চান তাঁরা। তাঁদের সেই আর্জি মেটাতেই শাসক দলের অনুরোধের ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্ট রায় দেয় এগোতে হবে ভোটের দিন। কোর্টের এই রায়ের প্রেক্ষিতে ভোট বয়কট করার সিদ্ধান্ত নেয় পিপিপি। প্রত্যাহার করে নেওয়া হয় রাজা রব্বানির মনোনয়ন পত্র। রব্বানি ভোটের ময়দান থেকে সরে যাওয়ায় লড়াইটা অনেকটা সহজ হয়ে যায় মামনুনের জন্য।
এর আগে নব্বইয়ের দশকে সিন্ধু প্রদেশের গর্ভনর হিসেবে কিছু দিন কাজ করেছেন মামনুন। পাকিস্তানের দ্বাদশ প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব এ বার তিনি কতটা দক্ষতার সঙ্গে সামলান সেটাই দেখার। |