মূল চুক্তি হয়ে গিয়েছে বেশ কয়েক বছর আগে। এ বার অণ্ডাল বিমাননগরী নিয়ে জটিলতা কাটাতে একটি নতুন সংযোজিত চুক্তিপত্র তৈরি করেছে রাজ্য সরকার। তাতে নতুন কয়েকটি প্রস্তাব থাকছে। সেই সব প্রস্তাবের মধ্যে আছে, চালু হওয়ার পর থেকে অন্তত ১৫ বছর অণ্ডাল বিমানবন্দর থেকে বিমান চালাতেই হবে।
প্রস্তাব সংবলিত চুক্তিপত্র দেওয়া হবে অণ্ডাল প্রকল্পের নির্মাতা বেঙ্গল এরোট্রোপলিসকে। মঙ্গলবার মহাকরণে মুখ্যমন্ত্রীর সভাপতিত্বে রাজ্য মন্ত্রিসভার শিল্প বিষয়ক স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে। এক মুখপাত্র বলেন, “মূল চুক্তিপত্রের সংযোজিত অংশ হিসেবেই নয়া চুক্তিপত্র দেওয়া হবে।”
নতুন চুক্তিপত্রে সরকারের প্রস্তাবে বলা হয়েছে:
• অণ্ডাল বিমাননগরী থেকে উড়ান চালুর সময়সীমা আরও এক বছর বাড়িয়ে আগামী বছরের ডিসেম্বর করা হচ্ছে। তবে চালু হওয়ার পরের ১৫ বছর বিমান চালাতেই হবে।
• শিল্প, বাণিজ্য ও আবাসন তৈরির জন্য বিমাননগরীর জমি হস্তান্তর করতে হলে রাজ্যের শিল্প-বাণিজ্য দফতর ও পশ্চিমবঙ্গ শিল্পোন্নয়ন নিগমের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে প্রকল্পের মূল উদ্যোক্তাদের।
• ২০১৫ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রকল্পের জমি হস্তান্তরের জন্য কোনও কর দিতে হবে না।
শুধু এক শতাংশ ফি দিলেই চলবে। তার পরে হস্তান্তর হলে তখনকার জমির বাজারদরের পাঁচ % টাকা হস্তান্তর-মাসুল হিসেবে দিতে হবে রাজ্য সরকারকে। বৈঠকে বোলপুরের শিল্প নিকেতনে শিল্পোন্নয়ন নিগমের ১১৮ একর জমি বণ্টন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ‘বিশ্ব হাট’ তৈরির জন্য নিগমের হাতে ৫০ একর জমি থাকবে। ‘বিশ্ব ক্ষুদ্র বাজার’ গড়তে ৫০ একর জমি দেওয়া হবে পশ্চিমবঙ্গ ক্ষুদ্র শিল্পোন্নয়ন নিগমকে। ‘স্বনির্ভর গোষ্ঠী হাট’-র জন্য পঞ্চায়েত দফতর ১৩ একর ও ‘পর্যটন হাট’ তৈরির জন্য পর্যটন দফতর পাঁচ একর জমি পাবে।
ফলতা শিল্প উন্নয়ন কেন্দ্রের ৪০ একর এবং নৈহাটির ঋষি বঙ্কিম শিল্প পার্কের ৭০ একরের মতো জমিও বিভিন্ন ধরনের শিল্প গড়ার জন্য একাধিক সংস্থাকে দেওয়ার প্রস্তাব এ অনুমোদিত হয়েছে। |