তেলেঙ্গানা পৃথক রাজ্য হতে পারে এমন ভাবনায় ফের উত্তপ্ত দার্জিলিং পাহাড়। এক দিকে বিমল গুরুঙ্গ নতুন করে গোর্খাল্যান্ডের দাবি সামনে এনে ৭২ ঘণ্টার বনধ ডেকেছেন পাহাড়ে। অন্য দিকে, পাহাড় উত্তপ্ত হয়ে ওঠার আশঙ্কায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফেসবুকে দিল্লিকেই নিশানা করেছেন। বলেছেন, “জানা গিয়েছে, দিল্লি জিটিএ-র কয়েক জনকে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন করতে নির্দেশ দিয়েছে।”
মমতা প্রশ্ন তুলেছেন, “আমি বুঝতে পারছি না, দিল্লি কেন জিটিএ-র ৩-৪ জনকে ডেকে পাঠাল?” তাঁর অভিযোগ, দিল্লির সরকার পক্ষপাতমূলক কাজ করছে। “যখন দার্জিলিং শান্ত, জিটিএ গঠন হয়ে গিয়েছে এবং উন্নয়নের কাজ শুরু হয়েছে, তখন দিল্লি কেন রাজনৈতিক স্বার্থে নতুন আন্দোলন শুরুর চেষ্টা করছে,” বলেছেন তিনি।
মমতা বলেছেন, তেলেঙ্গানা আর দার্জিলিং এক নয়। কিন্তু গুরুঙ্গরা তা মানতে নারাজ। গুরুঙ্গ এ দিন বরং উল্টো কথাই বলেছেন। তেলেঙ্গানা প্রসঙ্গ তুলে তিনি বলেন, “এখন মনে হচ্ছে, কেন্দ্র তেলেঙ্গনা রাজ্য গড়ার ব্যাপারে পদক্ষেপ করতে চলেছে। তা হলে আমাদের দাবি মানা হবে না কেন? সে জন্যই আমরা ফের আন্দোলনে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”
এখন বর্ষা। ধস নামলে উদ্ধার কাজ চালানো কঠিন। তার উপরে বনধ হলে সমস্যা বাড়বে। কিন্তু মোর্চা নেতা রোশন গিরি বলেছেন, “আমরা নিরুপায়। তেলেঙ্গনার দাবি কেন্দ্রের কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সরকার মানবে বলে খবর পাচ্ছি। তা হলে আমাদের জবাবদিহি করতে হবে পাহাড়বাসীকে। দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে বলেই ভরা বর্ষায় বন্ধ ডাকতে হল।”
মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য ফেসবুকে বলেছেন, “দার্জিলিং আমাদের রাজ্যের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ।... আমরা কাউকে আমাদের রাজ্য ভাগ করতে দেব না।” |
তেলেঙ্গানা পৃথক রাজ্য হতে পারে এমন ভাবনায় ফের আলোচনার কেন্দ্রে দার্জিলিং পাহাড়। এক দিকে বিমল গুরুঙ্গ নতুন করে গোর্খাল্যান্ডের দাবি সামনে এনে ৭২ ঘণ্টার বনধ ডেকেছেন পাহাড়ে। অন্য দিকে, এর জন্য মুখ্যমন্ত্রী ফেসবুকে দিল্লিকেই নিশানা করেছেন। বলেছেন, “জানা গিয়েছে, দিল্লি জিটিএ-র কয়েক জনকে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনের নির্দেশ দিয়েছে।” মমতার প্রশ্ন, “বুঝতে পারছি না, দিল্লি কেন জিটিএ-র ৩-৪ জনকে ডাকল?” তাঁর অভিযোগ, দিল্লি পক্ষপাতমূলক কাজ করছে। “যখন দার্জিলিং শান্ত, জিটিএ হয়ে গিয়েছে এবং উন্নয়নের কাজ শুরু হয়েছে, তখন দিল্লি কেন রাজনৈতিক স্বার্থে নতুন আন্দোলন শুরুর চেষ্টা করছে,” বলেছেন তিনি। মমতা বলেছেন, তেলেঙ্গানা আর দার্জিলিং এক নয়। কিন্তু গুরুঙ্গ বলেন, “এখন মনে হচ্ছে, কেন্দ্র তেলেঙ্গনা রাজ্য গড়ার ব্যাপারে পদক্ষেপ করতে চলেছে। তা হলে আমাদের দাবি মানা হবে না কেন?” রোশন গিরি বলেন, “আমরা নিরুপায়। তেলেঙ্গনার দাবি কেন্দ্র মানবে বলে খবর পাচ্ছি। তা হলে তো পাহাড়বাসীর কাছে আমাদের জবাবদিহি করতে হবে।” |