থানার হাজতের জানালার লোহার শিক ভেঙে, তারের জালি কেটে পালাল এক বিচারাধীন বন্দি। শনিবার ভোরে মালদহের ইংরেজবাজার থানার ঘটনা। শনিবার সকালে হাজতের একটি জানালার শিক ভাঙা দেখে খোঁজ নিয়ে পুলিশ কর্মীরা জানতে পারেন, ৫ জন বন্দির মধ্যে একজন নেই। বাকি বন্দিদের জেরা করে জানা যায়, জাল নোট পাচারের অভিযোগে ধৃত কুশ মণ্ডল ভোরবেলায় হাজতের জানালার শিক ভেঙে পালিয়ে গিয়েছে। গত ২৩ জুলাই কুশ মণ্ডলকে পুলিশ গ্রেফতার করে। তাঁকে জেরা করার জন্য আদালতে আবেদন করে নিজেদের হেফাজতে রেখেছিল পুলিশ।
থানার হাজতে ক্লোজ সাকির্ট ক্যামেরা, রাতভর পাহাড়া থাক সত্ত্বেও কী ভাবে বন্দি পালিয়ে গেল তা নিয়েই শুরু হয়েছে জল্পনা। থানার হাজতের যে দিকের জানালা ভাঙা হয়েছে, সেই জানলা দিয়ে বেরোলে আইসি এবং সাব ইন্সপেক্টরের বসার ঘরের সামনে আসার কথা। ঘটনায় ইংরেজবাজার থানার দুই পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এ দিন সকালেই থানার ডিউটি অফিসার নূরজাহান বেগম এবং সেন্ট্রি বাসন্তী ভৌমিককে সাসপেন্ড করার নির্দেশ দেন জেলা পুলিশ সুপার কল্যাণ মুখোপাধ্যায়। পুলিশ সুপার বলেন, “কর্তব্যে গাফিলতির জন্য শুক্রবার রাতে ইংরেজবাজার থানার ডিউটি অফিসার এবং সেন্ট্রিকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।”
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৩ জুলাই জাল নোট পাচার করতে গিয়ে মালদহ শহরের রবীন্দ্রভবন লাগোয়া এলাকা থেকে উত্তরপ্রদেশের জুবের খান ও মালদহের ৫২ বিঘার কুশ মণ্ডলকে গ্রেফতার করা হয়। কুশ মণ্ডলের সঙ্গে থাকা আরও চারজন যুবক লকআপে ছিল। কুশের সঙ্গেই ধৃত জুবের খান জানিয়েছে, কুশের পালানোর ঘটনাটি সে টের পায়নি। একই কথা বলেছে হাজতের আরেক বন্দি কৃষ্ণপল্লীর গৌতম দাস। তাঁর বক্তব্য, “আমি ঘুমোচ্ছিলাম। কোনও কিছু টের পাইনি।” |