|
|
|
|
সোমবার বৈঠক মহাকরণে |
আপাতত স্বশাসনে রাজি মোর্চা |
নিজস্ব সংবাদদাতা ² শিলিগুড়ি |
গোর্খাল্যান্ডের দাবি ‘হৃদয়ে’ রয়েছে, তবে আপাতত স্বশাসনে আপত্তি নেই গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার।
পাহাড়ে সার্বিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে কী ভাবে দ্রুত অন্তর্বর্তী স্বশাসন চালু করা যায় তা নিয়ে আগামী সোমবার মহাকরণে বৈঠক হবে বলে জানিয়ে দিল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। বৈঠকে প্রস্তাবিত স্বশাসনের আওতায় পাহাড় ছাড়া তরাই-ডুয়ার্সের এলাকা অন্তর্ভুক্ত করার দাবি নিয়েও তারা আলোচনা চায়। শুক্রবার দিল্লি থেকে দার্জিলিং ফেরার পথে বাগডোগরা বিমানবন্দরে এ কথা জানান মোর্চার প্রচার সচিব হরকাবাহাদুর ছেত্রী। তিনি বলেছেন, “শেষ ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে যে সব বিষয় নিয়ে সমস্যা থেকে গিয়েছে তা নিয়ে আগামী বৈঠকে রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা হবে। তার মধ্যে অন্যতম হল, দ্রুত অন্তর্বর্তী স্বশাসন চালু ও তার সীমানা কতটা হবে তা ঠিক করা। এ ছাড়া, পানীয় জল-সহ পাহাড়ের সার্বিক উন্নয়ন নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হবে।” |
|
বাগডোগরা বিমানবন্দরে বিমল গুরঙ্গ। বিশ্বরূপ বসাক। |
সোমবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন মোর্চার সভাপতি বিমল গুরুঙ্গ-সহ এক দল প্রতিনিধি। ওই বৈঠকের পর মুখ্যমন্ত্রী জানান, ৬ জুন কলকাতায় পাহাড় নিয়ে সচিব পর্যায়ে বৈঠক হবে। সেখানে মোর্চার প্রতিনিধিরা যোগ দেবেন। পরে দিল্লি গিয়ে বিমল গুরুঙ্গ-সহ মোর্চার ওই প্রতিনিধিদল কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী প্রণব মুখোপাধ্যায় ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরমের সঙ্গে দেখা করেন। দু’জনই গুরুঙ্গকে জানিয়েছেন, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সহযোগিতা করুন, তিনিই যা করার করবেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর তাঁদের যে ভরসা আছে, সে কথা ফের জানিয়েছেন মোর্চার নেতৃত্ব। হরকার কথায়, “আমাদের দাবি ‘মমতা দিদি’ জানেন। পাহাড়ে কী কী সমস্যা আছে জানেন। পাহাড়ের সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে তিনি আশ্বাস দিয়েছেন। আমরা তাঁর উপর ভরসা করছি। ৬ জুন কলকাতায় ৬ জন প্রতিনিধি যাবেন।”
গত বছর ডিসেম্বরে নয়াদিল্লিতে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকে অন্তর্বর্তী স্বশাসনের বিষয়টি প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছিল। পরে দার্জিলিঙে ফিরে মোর্চা নেতারা স্বশাসনের বিষয়টি থেকে সরে এসেছিলেন কেন? মোর্চার কেন্দ্রীয় কমিটির এক নেতা জানান, পাহাড়ে ৩টি মহকুমার সঙ্গে তরাই-ডুয়ার্সের একাংশ অন্তর্বর্তী স্বশাসনের আওতায় আনা নিয়েই মতবিরোধ শুরু হয়ে যায়। প্রথম পর্যায়ে স্বশাসিত পর্ষদ সদস্যরা মনোনীত হবেন বলে মোর্চা প্রস্তাব দিলেও তা রাজ্য মানতে রাজি হয়নি। তৃণমূল ও কংগ্রেস জোটের সরকার সহানুভূতির সঙ্গে তাঁদের দাবিগুলি বিবেচনা করছে ভেবে মোর্চা নেতারা এখন স্বশাসনের প্রস্তাবকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন।
আপাতত অন্তর্বর্তী স্বশাসনে রাজি হলেও গোর্খাল্যান্ড গঠনের দাবি যে তাঁদের ‘হৃদয়ে’ থাকবে সে কথা ফের জানিয়ে দিয়েছেন হরকাবাহাদুর। তিনি বলেন, “গোর্খাল্যান্ড আন্দোলন থেকে পিছিয়ে আসার ব্যাপার নেই। রাজ্য সরকার ও কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনা ওই আন্দোলনেরই একটি অংশ।” এই মুহূর্তে কোনও আন্দোলনে না গেলেও পাহাড়ে রাজস্ব বয়কট চলছে। এই বয়কট তুলে নেওয়া হবে কি না, এখনও সিন্ধান্ত নেননি মোর্চা নেতৃত্ব। মোর্চার প্রচার সচিব বলেন, “৬ জুন রাজ্য সরকারের সঙ্গে বৈঠকের পরে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।” |
|
|
|
|
|