|
|
|
|
রং না দেখে কাজ করুন |
ডিসেম্বরের মধ্যেই সার্কিট বেঞ্চ চালুর চেষ্টা, উদ্যোগী গৌতম |
নিজস্ব সংবাদদাতা ² শিলিগুড়ি |
চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই জলপাইগুড়িতে হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চ চালুর জন্য উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকার। শুক্রবার দিনভর জলপাইগুড়িতে প্রশাসনিক অফিসারদের সঙ্গে নানা উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে দীর্ঘ বৈঠকের পরে এ কথা জানিয়েছেন রাজ্যের উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব প্রকল্প রূপায়ণের জন্য সময়সীমা নির্দিষ্ট করে এগোনোর নির্দেশ দিয়েছেন। তাতে কাজের সুবিধা হয়। সেই মতো আমরাও সার্কিট বেঞ্চ চালুর জন্য সকলে মিলে চেষ্টা করছি। আইন ও বিচারমন্ত্রীর সঙ্গে আমরা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির সঙ্গেও দেখা করব। চেষ্টা করছি যাতে ডিসেম্বরের মধ্যে সার্কিট বেঞ্চ চালু করা যায়।” একইভাবে প্রশাসনিক বৈঠকে গ্রামীণ বিদ্যুৎ যোজনার কাজের সমীক্ষা এখনও শেষ হয়নি জানার পরে তা সাত দিনের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী। এই দিন সকালে জলপাইগুড়ি পৌঁছে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী আচমকা জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে চলে যান। সেখানকার পরিকাঠামো শিলিগুড়ির তুলনায় ভাল বলে তিনি জানিয়ে দেন। তবে হাসপাতালের মধ্যে বেড়াল ঘোরাফেরা করতে দেখে ক্ষুব্ধ হন তিনি। হাসপাতাল সুপারকে জানিয়ে দেন, অবিলম্বে হাসপাতাল থেকে বেড়াল তাড়ানোর ব্যবস্থা করতে হবে। হাসপাতালের নানাবিধ সমস্যার ব্যাপারে তিনি খোঁজখবর নেন।
হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে তিনি একাধিক বৈঠক করেন। তার মাঝেই স্পোর্টস কমপ্লেক্স ঘুরে দেখেন। শিলিগুড়িতে মহানন্দা নদীকে ঘিরে অ্যাকশন প্ল্যান হলে কেন করলাকে নিয়ে তা হবে না সেই প্রশ্ন তোলেন। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব করলা অ্যাকশন প্ল্যান তৈরির জন্য উদ্যোগী হবেন বলেও জানিয়ে দেন। স্পোর্টস কমপ্লেক্সের বেহাল দশা কাটাতে ক্রীড়ামন্ত্রী মদন মিত্রের সহায়তা নেওয়া হবে বলে জানিয়ে দেন। ক্রীড়ামন্ত্রীকে জলপাইগুড়িতে নিয়ে যাওয়ার আশ্বাস দেন তিনি। জলপাইগুড়ি চা নিলাম কেন্দ্রকে গতিশীল করে তোলার জন্য প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। জলপাইগুড়ির সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের কথা উল্লেখ করে গৌতমবাবু জানিয়ে দেন, আর্ট গ্যালারি, রবীন্দ্র ভবন সংস্কার করা হবে। জলপাইগুড়িতে অত্যাধুনিক বাস স্ট্যান্ড তৈরির জন্য পুরসভাকে জমি চিহ্নিত করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী প্রতিটি বৈঠকেই অফিসারদের সাফ জানিয়ে দেন, কোনও রং না-দেখে উন্নয়নের কাজ করতে হবে। বৈঠকের আগে মন্ত্রী পুরসভায় গেলে তাঁকে সম্বর্ধনা দেওয়া হয়। পুরপ্রধান মোহন বসুকে নিয়ে তিনি স্পোর্টস কমপ্লেক্সে যান। দুপুরে জলপাইগুড়ি আদালতের বার অ্যাসোসিয়েশনেও মন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে সম্বর্ধনা দেওয়া হয়। বিকেলে আইটিপিএ হলে নর্থ বেঙ্গল চেম্বার অব কমার্সের তরফে মন্ত্রীকে স্বাগত জানানো হয়। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ তেকেও গৌতমবাবুকে অভ্যর্থনা জানাতে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সন্ধ্যায় সাংবাদিক সম্মেলনে গৌতমবাবু বলেন, “এতদিন কী হয়েছে তা প্রশাসনকে ভুলে যেতে বলেছি। রাজনীতির রং না-দেখে এখন থেকে সকলকে নিয়ে উন্নয়নের কাজ করতে হবে। সে কথা আমাদের মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করে দিয়েছেন। আমিও সেই বার্তাই সকলের কাছে পৌঁছে দিয়েছি।” |
|
|
|
|
|