জিতে উঠে নিজেকে ঠাট্টা বোল্টের
‘বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে এ রকম ভাবে দৌড়লে পাঁচে শেষ করব’
গস্টে মস্কোর বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে নামার আগে লন্ডনে মরসুমে নিজের সেরা একশো মিটার দৌড়েও দুশ্চিন্তার ভাঁজ উসেইন বোল্টের কপালে!
শুক্রবার রাতে সেইন্সবারি অ্যানিভার্সারি মিট-এ ৯.৮৫ সেকেন্ড সময় করে জিতেছেন বোল্ট। যা এই মরসুমে তাঁর সেরা দৌড়। কিন্তু এখানেও র্স্টাটিং একেবারেই ভাল হয়নি তাঁর। এবং সবার আগে নিজের সমালোচনা নিজেই করে বোল্ট বলেছেন, “বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে এ ভাবে দৌড়লে বড় জোর পাঁচে শেষ করব।” তবে মস্কোর আগে এখনও উন্নতি করার সময় রয়েছে বলেই বোল্ট মনে করছেন। বলেছেন, “স্টার্টিংয়ের জড়তা কাটাতে কোচের সঙ্গে লেগে পড়তে হবে। দেখতে হবে আর কী কী করে স্টার্টিংয়ে আরও বিস্ফোরক হওয়া যায়।”

অলিম্পিকে তিনটি সোনা জয়ের এক বছর বাদে আবার লন্ডনে ফেরা বোল্টকে গতকাল রকেট আকৃতির ট্যাবলোয় চড়িয়ে ষাট হাজার দর্শক ঠাসা আলিম্পিক স্টেডিয়াম ঘোরানো হয়। এর পর দিনের শেষ ইভেন্ট একশো মিটারের জন্য আবার ট্র্যাকে ফেরেন। সবাই বসে ছিলেন চলতি মরসুমে একশো মিটারে সেরা সময় করা (৯.৯১ সেকেন্ড) ব্রিটিশ তারকা জেমস দাসাউলুর সঙ্গে বোল্টের টক্কর দেখার আশায়। কিন্তু দাসাউলু চোট নিয়ে শেষ মুহূর্তে সরে দাঁড়ানোয় বহু প্রতীক্ষিত যুদ্ধটা মস্কো পর্যন্ত মুলতুবি হয়ে গেল। দাসাউলু না থাকলেও শুরুতে বোল্টকে পিছনে ফেলে এগিয়ে যান যুক্তরাষ্ট্রের মাইকেল রজার্স (৯.৯৮) ও জামাইকার নেস্তা কার্টার (৯.৯৯)। কিন্তু তিরিশ মিটারের পর থেকে বোল্ট তাঁর অতিপরিচিত বিদ্যুৎ গতিতে ঝলসে উঠে দর্শকদের কানফাটা উল্লাসের মধ্যে জয় নিশ্চিত করে ফেলেন।
“যা সময় করলাম তাতে আমি খুশি” বললেও, গত বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে ফল্স স্টার্ট করে বাতিল হওয়ার স্মৃতি যে বোল্টকে ভাবাচ্ছে, সেটা পরিষ্কার। বোল্ট টুইট করেন, “প্রথম তিরিশ মিটারে ওটা কী হল!” এমনিতে স্টার্টিং তাঁর বরাবরের সমস্যা। সেটা মেনে নিয়ে বলেছেন, “গত বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের ভুলগুলো অলিম্পিকে শুধরে ফেলেছিলাম। এ বার মস্কোয় নিজের সেরা রেসটা দৌড়তে চাই। মানসিক ভাবে আমি তৈরি। খালি স্টার্টটা আরও জবরদস্ত করতে হবে।”

পুরনো খবর:
‘বি’ নমুনাতেও ধরা পড়লেন গে
টাইসন গে-কে ঘিরে ডোপ বিতর্ক চলছেই। স্প্রিন্টারের ‘বি’ নমুনাও পজিটিভ জানার পর নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। সঙ্গে এটাও প্রকাশ্যে চলে এসেছে যে এই বছরের যুক্তরাষ্ট্র চ্যাম্পিয়নশিপেও ডোপ পরীক্ষায় ধরা পড়েছিলেন গে। ওই টুর্নামেন্টে গে একশো এবং দু’শো মিটারে সোনা জিতেছিলেন। এমনিতে, মে মাসে প্রথম ডোপ পরীক্ষায় ফেল করেন টাইসন গে। তখন অবশ্য কোনও প্রতিযোগিতা ছিল না। সম্প্রতি ডোপে ধরা পড়ার কথা স্বীকার করে ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে সরে দাঁড়ান আমেরিকার এই তারকা স্প্রিন্টার। তবে পর পর দু’বার ধরা পড়ার পর অনেক বিশেষজ্ঞই বলতে শুরু করেছেন, হতে পারে গে জেনেশুনে ডোপিং করেননি। খুব সম্ভবত তাঁর অজান্তেই নিষিদ্ধ ড্রাগ শরীরে প্রবেশ করেছে কোনও ধরনের সাপ্লিমেন্টের মাধ্যমে। বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশের যুক্তি, ইচ্ছাকৃত নিষিদ্ধ ড্রাগ নিলে এত কম সময়ের মধ্যে এত বার ডোপ টেস্টে ফেল করতেন না গে। বরং অনেক সতর্ক হতেন।




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.