জুনিয় ক্রিকেট কোচিংয়ে অভিনব প্রয়াস আমদানি করতে চলেছে সিএবি। অনূর্ধ্ব ১৪ থেকে অনূর্ধ্ব ১৯ বিভিন্ন পর্যায়ে আলাদা আলাদা কোচ তুলে দেওয়া হচ্ছে। পুরো জুনিয়র ক্রিকেটকেই আনা হচ্ছে একজন হেড কোচের অধীনে। যাঁর নির্বাচন থেকে শুরু করে চুক্তপত্র ঠিক করে ফেলা, সবই শেষ।
তিনি প্রাক্তন বাংলা অধিনায়ক গৌতম সোম (জুনিয়র)।
আগামী সোমবার চুক্তপত্র চূড়ান্ত হচ্ছে। দু’বছরের জন্য চুক্তি হচ্ছে তাঁর সঙ্গে। গৌতমের সঙ্গে কাজ করবেন আরও তিন জন কোচ। এঁরা রাজীব দত্ত, সৈকত মুখোপাধ্যায় এবং দেবব্রত রায়। যাঁরা প্রত্যেকেই প্রাক্তন বাংলা ক্রিকেটার। বাংলার জুনিয়র ক্রিকেটের সার্বিক দায়িত্ব এই চার জনের হাতেই তুলে দেওয়া হচ্ছে।
কিন্তু আচমকা এই নতুন মডেলের আবির্ভাব কেন? এত দিন অনূর্ধ্ব ক্রিকেটের বিভিন্ন পর্যায়ে আলাদা কোচ থাকত। সিএবি কর্তাদের মনে হচ্ছে, আলাদা কোচ থাকলে কী হবে, দায়বদ্ধতা সে ভাবে পাওয়া যায়নি। কেউ হয়তো কোচিং ক্যাম্পের সঙ্গে বেশি যুক্ত থাকতেন। কারও অন্যান্য দায়িত্ব থাকত। যা আর করা যাবে না। গৌতম সোম (জুনিয়র) সহ বাকি তিন জনকেই বলে দেওয়া হবে যে, জুনিয়র পর্যায়ের কোচিং করানোর সময় কোনও কোচিং ক্যাম্পের সঙ্গে যুক্ত থাকা চলবে না। পুরো সময়টাই দিতে বাংলার কোচিংয়ে। তার জন্য যে অর্থ প্রয়োজন সেটা সিএবি দেবে। সংস্থার যুগ্ম-সচিব সুবীর গঙ্গোপাধ্যায় বলছিলেন, “ওঁদের সঙ্গে কথাবার্তা মোটামুটি শেষ। সবই বলা হয়েছে। জুনিয়র ক্রিকেটের প্যাটার্নটা আমরা পাল্টাতে চাইছি। সোমবার সব কিছু চূড়ান্ত হবে।” আরও বলা হচ্ছে, দরকারে ক্রিকেটারদের জন্য আলাদা ব্যাটিং ক্লাস বা স্পিনের ক্লাসের ব্যবস্থা করা হবে। সেখানে ডাকা হতে পারে পলাশ নন্দী কিংবা উৎপল চট্টোপাধ্যায়ের মতো ক্রিকেটারকে।
জুনিয়র ক্রিকেটের কথা ভেবে বাড়তি মাঠের আয়োজনও শেষ। আইআইটি খড়গপুরের দু’টো মাঠ সিএবি নিয়েছে। জুনিয়র ক্রিকেটে উন্নতির জন্য প্রয়োজনে ওই দু’টো মাঠ ব্যবহার করবে সিএবি। |