|
|
|
|
তেলেঙ্গানা প্রশ্নে বিক্ষুব্ধ বাকি অন্ধ্রপ্রদেশ, দিল্লিতে দরবার |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
পৃথক তেলেঙ্গানা রাজ্য গঠনের ‘অশনিসঙ্কেত’ দেখে এ বার প্রতিবাদে নেমে পড়লেন অন্ধ্রপ্রদেশের বাকি অংশের কংগ্রেস নেতারা। রাজ্যভাগের বিরোধিতার জন্য গত কালই অন্ধ্র মন্ত্রিসভার ১৫ জন মন্ত্রী দিল্লিতে এসে পৌঁছন। তাঁরা প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের সঙ্গে দেখা করেন। একটা জাতীয় দল কী ভাবে অবিবেচকের মতো সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে, সেটাই আশ্চর্যের! অন্ধ্র ভেঙে পৃথক রাজ্য গঠন করলে তা কারও পক্ষেই ভাল হবে না। বরং প্রতিবাদের আগুন জ্বলবে। এমনকী রাজ্য ভাগ হলে মন্ত্রিসভা থেকে ইস্তফার হুমকিও দিয়েছেন। এ বিষয়ে তাঁরা আজ সনিয়া গাঁধীর কাছে একটি চিঠিও পাঠান।
আজ বাকি অন্ধ্র জুড়ে রাজনৈতিক ও অরাজনৈতিক সংগঠনগুলি প্রতিবাদে রাস্তায় নামেন। হায়দরাবাদে পুলিশ-জনতা খণ্ডযুদ্ধও হয়।
তেলেঙ্গানা নিয়ে গত কাল কংগ্রেস কোর গ্রুপের বৈঠকে আলোচনা হয়। পরে অন্ধ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক দিগ্বিজয় সিংহ জানান, এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। শীঘ্রই তা ঘোষণা করা হবে।
তবে কংগ্রেসের একাংশের দাবি , লোকসভা ভোটের আগে পৃথক রাজ্যের দাবি মেনে নিতে চলেছে দল। সে ক্ষেত্রে প্রথম পাঁচ বা দশ বছর হায়দরাবাদ উভয় রাজ্যেরই রাজধানী থাকবে। পরে অন্ধ্রপ্রদেশের জন্য পৃথক রাজধানী শহর গড়বে। কংগ্রেসের একটি সূত্রে এও জানানো হয় যে, পৃথক রাজ্য গঠনের ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়ে গেলেও, এ ব্যাপারে খুঁটিনাটি অনেক বিষয় নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া বাকি রয়েছে। সেই সব খুঁটিনাটি নিয়ে আলোচনা করে সম্ভবত আগামী সপ্তাহে ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে খসড়া ঘোষণাপত্র অনুমোদন করা হবে।
তবে কংগ্রেসের অন্য একটি সূত্রে খবর, তেলেঙ্গানা রাজ্য গঠনে আপত্তি রয়েছে স্বয়ং প্রধানমন্ত্রীর। সেই সঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীলকুমার শিন্দে, দিগ্বিজয় সিংহ এমনকী রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ও পৃথক রাজ্য গঠনের পক্ষপাতী নন। আবার সনিয়া গাঁধী, পি চিদম্বরমরা রাজ্যভাগের পক্ষে সওয়াল করছেন। সোমবার ইউপিএ সমন্বয় কমিটির বৈঠক। শরিকদের সঙ্গে আলোচনা করেই তেলেঙ্গানার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে খবর। অনেকের মতে, পৃথক তেলেঙ্গানা গড়লে আসন্ন লোকসভা ও বিধানসভা ভোটে সুফল পাবে কংগ্রেস। তেলেঙ্গানার ১৭টি লোকসভা আসনের মধ্যে ১২টিই কংগ্রেসের। পৃথক রাজ্য গঠন করলে কংগ্রেস বিপুল জয় পেতে পারে। চন্দ্রশেখর রাওয়ের দল কংগ্রেসের সঙ্গে মিশে যেতে পারে। তবে অন্ধ্রের বাকি অংশে কংগ্রেসের বিপদ অনিবার্য বলেই মনে করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী আজ অন্ধ্রের মন্ত্রীদের জানান, অন্ধ্রের মানুষের মঙ্গলের কথা ভেবেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে কংগ্রেস। তার আগে সব পক্ষেরই উচিত হবে শান্তি বজায় রাখা।
|
পুরনো খবর: তেলেঙ্গানা নিয়ে সিদ্ধান্ত কংগ্রেসের |
|
|
|
|
|