নাবালিকা নিগ্রহের ঘটনায় মিলন নামে যে পুলিশ অফিসারের নাম উঠে এসেছে, তাঁর পরিচয় শনিবারেও জানতে পারেননি গোয়েন্দারা। কলকাতা পুলিশে মিলন নামে যত কর্মী আছেন, তাঁদের সকলের ছবিই দেখানো হয়েছে নাবালিকাকে। সে চিনতে পারেনি। গোয়েন্দারা জানান, তবে ছবিগুলি ওই পুলিশদের নিয়োগের সময়ের। হয়তো, তাই মেয়েটি কারওকে শনাক্ত করতে পারেনি। ওই পুলিশকর্মীদের হালফিলের ছবি দেখিয়ে শনাক্তকরণের চেষ্টা হচ্ছে।
আইনজীবী লাভলি চাড্ডার বাড়িতে কোন কোন ব্যবসায়ীর যাতায়াত ছিল, তারও খোঁজ করছেন লালবাজারের গোয়েন্দারা। ফুলবাগান থানার যোগোদ্যান লেনে লাভলির ফ্ল্যাটে তার উপর যৌন নিগ্রহ করা হত বলে অভিযোগ করেছে রাজারহাটের কিশোরী। গোয়েন্দারা জানার চেষ্টা করছেন, আইনি সাহায্য নিতে আসা কোনও ব্যবসায়ী নাবালিকাকে যৌন নিগ্রহ করার ঘটনায় জড়িত কি না।
গোয়েন্দারা জানান, জেরার মুখে লাভলি জানান, তিনি আইনজীবী। এই ঘটনায় ধৃত অন্য আইনজীবী সব্যসাচী রায়চৌধুরী মাঝেমধ্যে তাঁর ফ্ল্যাটে ব্যবসায়ীদের ডেকে পাঠিয়ে আইনি পরামর্শ দিতেন। লাভলি ও সব্যসাচীকে আরও জেরা করে গোয়েন্দারা জানার চেষ্টা করছেন, পরামর্শ দেওয়ার ফাঁকে ওই নাবালিকার উপর যৌন নিগ্রহ করা হত কি না। গোয়েন্দা সূত্রের খবর, ওই ব্যবসায়ীদের খোঁজ মিললে, তাঁদের ছবি দেখানো হবে নাবালিকাকে। নাবালিকা যদি তাঁদের কাউকে শনাক্ত করে, তা হলে সেই ব্যবসায়ীকেও গ্রেফতার করা হবে। গোয়েন্দারা জানান, লাভলি এবং সব্যসাচী জেরার মুখে দাবি করছেন, তাঁদের উপস্থিতিতে বা অনুপস্থিতে ওই নাবালিকার উপরে কখনওই যৌন নিগ্রহ হয়নি। সে ক্ষেত্রে কেন কিশোরী এমন অভিযোগ করেছে, ধৃত দুই আইনজীবীর কাছে তা জানতে চান গোয়েন্দারা। অভিযুক্তরা জানান, তাঁরা শাসন করতেন বলেই মেয়েটি ওই অভিযোগ করতে পারে। এক গোয়েন্দা কর্তা জানান, যৌন নিগ্রহের অভিযোগের তদন্ত করতে গিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অন্য কিছু অভিযোগের ব্যাপারেও সব্যসাচীকে জেরা করা হয়েছে। তবে সেই সব অভিযোগ এখনও লিখিত ভাবে দায়ের করা হয়নি। কী সেই অভিযোগ? গোয়েন্দারা জানান, রাজ্য ও কলকাতা পুলিশের অফিসারদের নাম ব্যবহার করে, তাঁদের সঙ্গে পরিচিতিকে কাজে লাগিয়ে সব্যসাচী ব্যক্তিগত সুবিধা আদায় করেছেন। সব্যসাচী তা অস্বীকার করেছেন। |