আমেরিকায় প্রত্যর্পণ করা হলে এডওয়ার্ড জে স্নোডেনের মৃত্যুদণ্ড চাইবে না বলে জানাল মার্কিন সরকার। রাশিয়ায় স্নোডেনের রাজনৈতিক আশ্রয় পাওয়া রুখতেই ওয়াশিংটন এই পদক্ষেপ করছে বলে মনে করা হচ্ছে।
ফোন ও ইন্টারনেটে মার্কিন গোয়েন্দাদের ব্যাপক নজরদারির গোপন তথ্য ফাঁস করায় এখন আমেরিকায় ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ সে দেশেরই প্রাক্তন গুপ্তচর স্নোডেন। উইকিলিকস ওয়েবসাইটের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের সাহায্যে মস্কো হয়ে লাতিন আমেরিকার কোনও দেশে পালানোর চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু, কূটনৈতিক টানাপোড়েনের জেরে আপাতত মস্কোর শেরেমেটিয়েভো বিমানবন্দরের ‘ট্রানজিট লাউঞ্জে’ই আটকে রয়েছেন প্রাক্তন মার্কিন গুপ্তচর। আশ্রয় চেয়ে তাঁর আর্জি খারিজ করেছে ভারত-সহ বেশ কয়েকটি দেশ।
এখন রুশ সরকারের কাছে আশ্রয় চেয়েছেন স্নোডেন। আমেরিকায় ফিরলে অত্যাচার ও মৃত্যুদণ্ডের ভয় রয়েছে বলে রুশ সরকারকে একটি চিঠিতে জানিয়েছেন তিনি। কূটনীতিকদের মতে, এই বক্তব্য খারিজ করতেই এ বার রুশ আইনমন্ত্রী আলেকজান্ডার কোনোভালোভকে চিঠি লিখেছেন মার্কিন অ্যাটর্নি-জেনারেল এরিক হোল্ডার।
হোল্ডার চিঠিতে জানিয়েছেন, স্নোডেনের বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ রয়েছে তাতে মৃত্যুদণ্ড হওয়ার সম্ভাবনা নেই। যদি পরে তেমন কোনও অভিযোগ আনাও হয় সে ক্ষেত্রেও মার্কিন সরকার মৃত্যুদণ্ড চাইবে না।
এখনও আমেরিকার হাতে স্নোডেনকে তুলে দেওয়ার কোনও লক্ষণ দেখায়নি রাশিয়া। প্রকাশ্যে জানিয়েছে, কাউকেই অন্য দেশের হাতে ‘তুলে দেবে না’ তারা। তবে কূটনৈতিক সূত্রের খবর, স্নোডেন-জট মেটাতে গোপন আলোচনা শুরু করেছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই ও রুশ গোয়েন্দা সংস্থা এফএসবি। |