টুকরো খবর |
খারাপ চাল এলেই ফেরত
নিজস্ব সংবাদদাতা • মেদিনীপুর |
মিড-ডে মিলের ক্ষেত্রে যে চাল দেওয়া হয়, তার মান খারাপ মনে হলে নেবেন না, ফেরত দিয়ে দেবেনপ্রাথমিক স্কুলের শিক্ষকদের এই পরামর্শ দিল সবং ব্লক প্রশাসন। এলাকার সমস্ত প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের নিয়ে বৃহস্পতিবার সবং অডিটোরিয়ামে এক শিবির করে ব্লক প্রশাসন। সচেতনতা বাড়ানোর জন্য এই শিবির। উপস্থিত ছিলেন বিডিও কৌশিক চট্টোপাধ্যায় সহ অনান্য আধিকারিকেরা। শিবির থেকে প্রয়োজনীয় কিছু পরামর্শ দেওয়া হয় শিক্ষকদের। বস্তুত, ছপরার ঘটনার পর মিড-ডে মিল নিয়ে নড়েচড়ে বসেছেন সংশ্লিষ্ট সকলে। রাজ্য সরকারও কিছু নির্দেশ দিয়েছে। যেমন, রাজ্য থেকে নির্দেশ এসেছে, রান্না করা খাবার আগে স্কুলের প্রধান শিক্ষককে পরীক্ষা করে দেখতে হবে। সব কিছু ঠিকঠাক মনে হলেই তা ছাত্রছাত্রীদের দেওয়া হবে। আগেও এ ধরনের নির্দেশ ছিল। তবে তা মৌখিক। এ বার লিখিত নির্দেশ এসেছে। ইতিমধ্যে স্কুল পরিদর্শকদের প্রতি স্কুলে গিয়ে মিড-ডে মিল ব্যবস্থা পরিদর্শন করার নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদ। একই ভাবে ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকেরা স্কুল পরিদর্শন করবেন। সবংয়ের বিডিও বলেন, “মিড-ডে মিল নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে এই শিবির। এ ক্ষেত্রে খারাপ চাল নেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। কয়েকজন শিক্ষক জানতে চেয়েছিলেন, দেখে চাল খারাপ মনে হলে কী করব। আমরা জানিয়েছি, তা নেবেন না। ফেরত দিয়ে দেবেন। সব সময় খাবারের গুনগত মান ঠিক রাখতে হবে।”
|
শিল্পশহরে তাণ্ডবে ধৃত দুই
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া |
শিল্পশহরের আধিকারিক কলোনিতে তাণ্ডব চালানোর ঘটনায় গ্রেফতার হল দুই যুবক। বৃহস্পতিবার রাতে হলদিয়া উপ-নগরী থানার পুলিশ তাঁদের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। ধৃতদের নাম সঞ্জয় দে ও সুনির্মল দাস। সঞ্জয় স্থানীয় রাজারচকের বাসিন্দা ও সুনির্মল ব্রজনাথচকের বাসিন্দা। শুক্রবার হলদিয়া এসিজেএম আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাঁদের ১৪ দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। বুধবার রাতে এলাকার বাসস্ট্যান্ড ঘেঁষা হিন্দুস্থান ফার্টিলাইজার কর্পোরেশনের (এইচএফসি) আবাসন (সেক্টর ৮) এলাকায় তাণ্ডব চালানোর ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় ওই দু’জনকে। আধিকারিকদের মারধরের পাশাপাশি একাধিক আবাসনে জানালার কাঁচ ও পথবাতি ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার তদন্তে নেমে এলাকার ওই দুই দুষ্কৃতীর নাম উঠে আসে। পরে রাতে বাড়ি থেকেই সঞ্জয় ও সুনির্মলকে পাকড়াও করা হয়। পুলিশের দাবি, জিজ্ঞাসাবাদে ধৃতেরা এলাকারই কিছু পরিত্যক্ত আবাসনে চুরির উদ্দেশ্যে তিন জন মিলে ওই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে স্বীকার করে। এর পরই তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। আগেও একাধিক চুরির ঘটনায় এই দুই দুষ্কৃতী জড়িত ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ।
|
পুলিশ নিষ্ক্রিয়, ময়নায় বিক্ষোভ কংগ্রেসের
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
পঞ্চায়েত ভোটের আগে ও পরে দলীয় প্রার্থীদের প্রচারে বাধা দেওয়া-সহ একাধিক ঘটনায় পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে ময়না বিডিও অফিসে বিক্ষোভ দেখাল কংগ্রেস সমর্থকরা। শুক্রবার বিকেলে ময়না বিডিও অফিসের সামনে যুব কংগ্রেস ও কিষাণ ক্ষেত মজদুর কংগ্রেসের ডাকে দলের কয়েকশো কর্মী-সমর্থক জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখান। কংগ্রেস নেতৃত্বের অভিযোগ, স্থানীয় তৃণমূল সমর্থকদের বিরুদ্ধে থানায় একাধিক অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। কাউকে ধরেনি। এর জেরে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটছে। এ দিন বিক্ষোভসভায় নেতৃত্ব দেন প্রাক্তন জেলা কংগ্রেস সভাপতি তথা এআইসিসি সদস্য মানিক ভৌমিক। তিনি অভিযোগ করেন, “তৃণমূল সরকারের আমলে গোটা রাজ্যে নারীদের উপর অত্যাচার বেড়েছে। কামদুনি, খোরজুনার মতো ঘটনায় রাজ্য সরকার ও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আর সেই পুলিশই শাসকদলের হয়ে পক্ষপাতিত্ব করছে।” তাঁর দাবি, ভোট গণনার দিন ও পরবর্তী সময়ে গোলমাল আটকাতে পুলিশ-প্রশাসনকে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে।
|
সিবিআইকে পাল্টা দুষল শুভেন্দু
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
হাসপাতালে সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী। —নিজস্ব চিত্র। |
নন্দীগ্রাম নিখোঁজ মামলার বিচার পিছিয়ে যাওয়ার জন্য সিবিআইকেই পাল্টা দায়ী করলেন তমলুকের তৃণমূল সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী। শুক্রবার বিকেলে তমলুক জেলা হাসপাতালে থ্যালাসেমিয়া কন্ট্রোল ইউনিটের উদ্বোধন করার পর তিনি সাংসদ কার্যালয়ে বলেন, “রাজ্য সরকারের উপরে যে চাপসৃষ্টির অভিযোগ উঠেছে, তা মিথ্যা। সিবিআইয়ের ওই রিপোর্ট অসম্পূর্ণ। ভাঙাভেড়ায় গুলিচালনার ঘটনায় জড়িত পুলিশ অফিসারদের নাম নেই রিপোর্টে। তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যেরও নাম নেই।” সাংসদের মতে, “এই মামলায় বেশ কিছু আইপিএস অফিসারের নাম জড়িয়েছে। তাঁরা প্রথম থেকেই মামলাটি প্রভাবিত করছে।”
পুরনো খবর: শর্ত চাপিয়ে রাজ্য পিছিয়ে দিচ্ছে নন্দীগ্রাম-বিচার, বলল সিবিআই
|
ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত, গ্রেফতার যুবক
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করায় গ্রেফতার হল পড়শি যুবক। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটে তমলুক থানার খাড়ুই গ্রামে। ধৃতের নাম শ্যামচরণ হাবড়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ছাত্রীকে প্রায়ই প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে উত্যক্ত করতেন পেশায় গৃহশিক্ষক শ্যামচরণ। ছাত্রী তাতে সাড়া না দেওয়ায় রাগ ছিল। অভিযোগ, শুক্রবার টিউশন থেকে ফেরার সময় ছাত্রীর পথ আটকান শ্যামচরণ। গলায় ছুরি ঠেকিয়ে ওই ছাত্রীর মাথায় সিঁদুর ঢেলে দেন তিনি। ছাত্রীর চিৎকারে প্রথমে পালালেও পরে গ্রামবাসীদের হাতে ধরা পড়েন শ্যামচরণ। নাবালিকার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ শ্লীলতাহানি, উত্যক্ত করা ও হুমকির অভিযোগে মামলা দায়ের করেছে। ছুরিটিও উদ্ধার হয়েছে। |
|