টুকরো খবর
শশা চুরির দায়ে খুন কিশোর, যাবজ্জীবন
নষ্টচন্দ্রার রাতে সাবেকি নিয়ম মেনে কয়েকজন প্রতিবেশীর সঙ্গে গ্রামেরই এক চাষির জমিতে শশা ‘চুরি’ করতে গিয়েছিল ১৪ বছরের কিশোর নীলরতন সরকার। জমির মালিকের হাঁকডাকে সঙ্গীরা পালিয়ে গেলেও ধরা পড়ে যায় নীলরতন। জমির মালিক দুই ভাই ইন্দ্রজিৎ শিকদার ও বিশ্বজিৎ শিকদার নীলরতনকে ধরে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর শুরু করে। শেষে তার গলায় দড়ির ফাঁসও লাগিয়ে দেয়। মারা গেলে দেহটি মাঠে ফেলে দিয়ে যায় দুই ভাই। ২০০৫ সালের ২৭ অগস্ট সোনামুখী থানার মনুই গ্রামের সেই ঘটনায় ইন্দ্রজিৎ শিকদার ও বিশ্বজিৎ শিকদারের যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা করল বিষ্ণুপুর আদালত। বিষ্ণুপুর আদালতের অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারক দুর্গা খৈতান একই সঙ্গে দু’ভাইকে ৫০০০ টাকা করে জরিমানা ও অনাদায়ে দু’জনকে আরও এক বছর কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন। মামলার সরকার পক্ষের আইনজীবী গৌতমপ্রতিম সিংহদেব জানান, ঘটনার দু’দিন পরে ২৯ অগস্ট ইন্দ্রজিত ও বিশ্বজিতের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন মৃতের কাকা চিত্তরঞ্জন সরকার। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ ওই দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে ২০০৬ সালের ১৭ জানুয়ারি আদালতে চার্জশিট দাখিল করে।

পুরনো খবর:
লগ্নি সংস্থার তদন্তে পুলিশ
বেসরকারি অর্থলগ্নি সংস্থার হয়ে প্রতারণার অভিযোগের ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে খাতড়া থানার পুলিশ। ওই ঘটনায় ইতিমধ্যে এক আমানতকারীর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ দুই লিডারকে গ্রেফতার করেছে। তাঁদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। এ দিকে ওই আমানতকারী বাঁকুড়া শহরের এক স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধেও খাতড়া থানায় অভিযোগ করেছেন। খাতড়ার এসডিপিও কল্যাণ সিংহরায় বলেন, “বেসিল ইন্টারন্যাশনাল নামে ওই সংস্থার বিরুদ্ধে এক আমানতকারী প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে ওই সংস্থার দুই সিনিয়র লিডারকে ইতিমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে। ওই সংস্থায় যুক্ত থেকে বাঁকুড়া খ্রীষ্টান কলেজিয়েট স্কুলের টিচার-ইনচার্জ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতারণা করেছেন বলে এক আমানতকারী অভিযোগ করেছেন। ওই প্রতারণার ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। ওই টিচার-ইনচার্জকে ধরা হয়নি।” প্রসূনবাবু অবশ্য সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে দাবি করেছেন, “ওই সংস্থার সঙ্গে আমি জড়িত নই। আমি সরকারি চাকরি করি, তাই হয়ত কেউ আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ করে বদনাম করার চেষ্টা করছে। আমার এক আত্মীয় ওই সংস্থার সঙ্গে যুক্ত।”

পুরনো খবর:

পুকুরের জলে রক্ষীর দেহ
ইস্পাত তৈরির এক কারখানার নিরাপত্তাকর্মীর দেহ মিলল পুকুরে। বৃহস্পতিবার বাঁকুড়া সদর থানার বনকাটি এলাকায় কারখানার কাছে একটি পুকুরে দেহটি ভাসতে দেখা যায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম আনন্দময় মুখোপাধ্যায় (২০)। মেজিয়া থানার অর্ধগ্রাম এলাকায় তাঁর বাড়ি। বাঁকুড়া শহর লাগোয়া বনকাটিতে ইস্পাত তৈরির একটি কারখানায় তিনি নিরাপত্তারক্ষীর পদে কর্মরত ছিলেন। পুলিশ ও মৃতের পরিবার সূত্রের খবর, আনন্দময় বুধবার বিকেলে কারখানা থেকেই নিখোঁজ হয়ে যান। এ দিন বাসিন্দারা দেখেন কারখানার সামনের পুকুরে দেহটি ভাসছে। তাঁর পরিবারের অনুমান, খুন করা হয়েছে। আনন্দময়ের জেঠতুতো দাদা সোমনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, “ভাই ভাল সাঁতার জানত। ডুবে গিয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে, এটা বিশ্বাসযোগ্য নয়। তবে কী করে সে মারা গেল, পরিষ্কার নয়। আমরা এই ঘটনার প্রকৃত তদন্ত দাবি করছি।” পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের পরিবার অবশ্য এ দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের করেনি। মৃত্যুর কারণ জানতে দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ আপাতত একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করেছে।

খোলা হল স্কুলের তালা
প্রধানশিক্ষকের বিরুদ্ধে বেনিয়মের অভিযোগ তুলে স্কুলের দরজায় তালা ঝুলিয়ে দিয়েছিলেন বাসিন্দারা। সেই প্রধানশিক্ষককে অন্যত্র সরিয়ে দেওয়ার আশ্বাস দেওয়ার পরে খুলল তালা। ফের শুরু হল পঠনপাঠন। মানবাজার থানার নাগদাগোড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঘটনা। মিড-ডে মিলের রান্নার মান খারাপ, স্কুল উন্নয়নের টাকায় সঠিক কাজও হয়নিএমনই নানা অভিযোগে মঙ্গলবার ওই স্কুলের দরজায় তালা ঝুলিয়েছিলেন বাসিন্দারা। সে দিন মানবাজার ১ চক্রের বিদ্যালয় পরিদর্শক ইরা সুবুদ্ধি স্কুলে গিয়েও তালা খোলাতে পারেননি। ফিরে যান। বুধবার সেই স্কুলে যান জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি নীলকমল মাহাতো ও জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (প্রাথমিক) বৃন্দাবনচন্দ্র দাস। তাঁরা প্রধানশিক্ষককে অন্যত্র সরানোর আশ্বাস দেওয়ায় খোলা হল তালা। বৃন্দাবনবাবু বলেন, “বাসিন্দাদের অভিযোগ সত্যি। কয়েক দিনের মধ্যে ওই প্রধানশিক্ষককে অন্যত্র বদলি করে দেওয়া হবে।” প্রধানশিক্ষক সাধন মণ্ডল অবশ্য তাঁর বিরুদ্ধে তোলা সমস্ত অভিযোগ মিথ্যা বলে দাবি করেছেন। বৃহস্পতিবার থেকে স্কুলে স্বাভাবিক ভাবে পঠনপাঠন শুরু হয়।

পুরনো খবর:



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.