এক অবর বিদ্যালয় পরিদর্শকের বিরুদ্ধে বেনিয়মনের অভিযোগে পুলিশের কাছে এফআইআর করলেন জেলা স্কুল পরিদর্শক (প্রাথমিক)। পুরুলিয়ার বরাবাজার ১ চক্রের ঘটনা। মঙ্গলবার অভিযোগটি করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পুরুলিয়া জেলা প্রাথমিক শিক্ষা দফতর সূত্রের খবর, বরাবাজার ১ চক্রে প্রায় দু’বছর ধরে অজয় বেরা অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক পদে কর্মরত ছিলেন। নানা অভিযোগে তাঁকে জুন মাসে সাসপেন্ড করা হয়। বিভাগীয় ভাবে অভিযোগ খতিয়ে দেখে থানায় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (প্রাথমিক) বৃন্দাবনচন্দ্র দাস। তিনি বলেন, “অজয়বাবুর বিরুদ্ধে একাধিক অবৈধ কাজের অভিযোগ রয়েছে। তাই ওনার বিরুদ্ধে এফআইআর না করে উপায় ছিল না। এ ব্যাপারে জেলাশাসকের সঙ্গেও কথা হয়েছে।” তিনি জানান, আপাতত হুড়া চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শককে বরাবাজার ১ চক্রের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
বরাবাজার ১ চক্রের শিক্ষকদের একাংশের অভিযোগ, অজয়বাবু বেশিরভাগ দিন অফিসে না জানিয়ে বাইরে চলে যেতেন। কবে ফিরবেন তাও জানাতেন না। ফলে শিক্ষকদের বেতন পেতে হয়রান হতে হচ্ছিল। তাঁর সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলতে গেলে উল্টে তিনি শিক্ষকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করতেন বলেও অভিযোগ। এবিপিটিএ-র জেলা সম্পাদক তথা বরাবাজারের বাসিন্দা বিশ্বনাথ মাহাতোর অভিযোগ, “উনি শিক্ষকদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করতেন না। আমাদের বেতনও অনিয়মিত ভাবে হত।”
বরাবাজারের বিডিও অনিমেষকান্তি মান্না বলেন, “ওই অবর বিদ্যালয় পরিদর্শককে নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে সমস্যা চলছিল। কারোওকে দায়িত্ব না দিয়ে তিনি যখন তখন বাড়ি চলে যেতেন। নির্বাচনের দায়িত্ব থাকলেও তিনি পালন করেননি। শো-কজ করলে জবাবও দিতে না।” জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি নীলকমল মাহাতোর অভিযোগ, “ওই পরিদর্শক কারোওর কথা শুনতেন না। অফিসে ডেকে পাঠালেও তিনি আসতেন না। অফিসের আলমারির তালা ভেঙে তাঁর বিরুদ্ধে নথিপত্র সরানোর অভিযোগও রয়েছে। তাঁকে সংশোধনের সুযোগ দিয়েও লাভ হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে এফআইআর করতে বাধ্য হয়েছি।” তাঁর মোবাইল ফোনে বার বার যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু ফোন বন্ধ থাকায় কথা বলা যায়নি। |