অবিলম্বে লগ্নি করা টাকা ফেরতের দাবিতে সোমবার রাতে খাতড়ায় একটি বেসরকারি অর্থলগ্নি সংস্থার শাখা অফিসে চড়াও হন এলাকার বেশ কিছু আমানতকারী। বিক্ষোভ দেখিয়ে অফিসের মধ্যে দুই সিনিয়র লিডারকে ঘণ্টাখানেক আটকে রাখেন তাঁরা। অফিসের সামনের অংশে ভাঙচুরও করা হয়। খবর পেয়ে খাতড়া থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার মুকেশ কুমার বলেন, “ওই সংস্থার বিরুদ্ধে এক আমানতকারী প্রতারণার অভিযোগ করেছেন। তারই ভিত্তিতে সংস্থার দুই সিনিয়র লিডার জিতেন ও দিলীপকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে।” জিতেন বারিকুলের বাসিন্দা। দিলীপের বাড়ি বাঁকুড়ায়।
খাতড়ার পাম্প মোড়ে ‘বেসিল ইন্টারন্যাশনাল’ নামে ওই সংস্থার শাখা অফিসটি কয়েক দিন ধরেই বন্ধ। অফিস খোলা হয়েছে খবর পেয়ে স্থানীয় কিছু আমানতকারী সোমবার সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ ওই অফিসের সামনে জড়ো হন। তাঁরা অবিলম্বে ওই সংস্থায় লগ্নি করা টাকা ফেরতের দাবি জানান। কিন্তু, অফিসের ভিতরে থাকা জিতেন ও দিলীপ জানিয়ে দেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ না পাওয়া গেলে টাকা ফেরত দেওয়া সম্ভব নয়। এর পরেই তাঁদের ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখানো হয়। বাইরে থেকে ইট ছুড়ে অফিসের সামনের অংশে ভাঙচুর চালানো হয়। অফিস সিল করা হয়।
খাতড়ার বাসিন্দা স্বপন মাহাতো মঙ্গলবার থানায় ওই সংস্থার বিরুদ্ধে তাঁর লগ্নি করা টাকা ফেরত না দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেছেন। স্বপনবাবুর অভিযোগ, “২০১০ সালের জুন মাসে ৫৫ হাজার টাকা ফিক্সড ডিপোজিট করেছি। রেকারিং প্রকল্পে ২০ হাজার টাকা রেখেছি। কোনও টাকাই ফেরত পাইনি। টাকা ফেরতের ব্যাপারে কেউ কোনও নিশ্চয়তা দিতে পারছে না।” নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই সংস্থার এক সিনিয়র লিডার অবশ্য বলেন, “আমানতকারীরা যে টাকা ফেরতের দাবি জানাচ্ছেন, সেকথা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তাঁদের নির্দেশ পেলেই টাকা ফেরত দেওয়া হবে, এ কথা আমানতকারীদের বোঝানো হয়েছে। তবু কয়েক জন আমানতকারী গণ্ডগোল পাকাচ্ছেন।” |