প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলে স্কুলে তালা ঝুলিয়েছিলেন অভিভাবকেরা। দুপুরে অবর পরিদর্শক স্কুলে গেলেও পরিস্থিতির বদলাল না। অভিভাবকদের দাবি, প্রধান শিক্ষককে বদলি না করলে স্কুলে বিক্ষোভ চলবে। তালাও খোলা হবে না। মানবাজার ১ চক্রের ধানাড়া অঞ্চলের নাগদাগোড়া প্রাথমিক স্কুলে মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে।
এ দিন দুপুরে গ্রামে পৌঁছে দেখা গেল, শতাধিক অভিভাবক ও এলাকার বাসিন্দা স্কুল চত্বরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। ক্লাসরুমে তালা ঝুলছে। বারান্দায় পড়ুয়ারা বসে আছেন। দুই শিক্ষককে ঘিরে বিক্ষোভ চলছে। অভিভাবক গোপাল মণ্ডল, বিমল মণ্ডল, উৎপল মণ্ডলদের অভিযোগ, “এই স্কুলের প্রধান শিক্ষক স্বেচ্ছাচারিতা চালাচ্ছেন। মিড-ডে মিলে স্রেফ নুন ভাত, কখনও আলুসেদ্ধ ভাত খাওয়ানো হয়। ডালে জলের পরিমাণ এত বেশি থাকে যে ডাল খুঁজে পাওয়া যায় না। দুপুরের রান্নায় আজ অবধি মাছ-মাংস-ডিম হয়নি। আমরা অনেকবার প্রতিবাদ করা সত্ত্বেও রান্নার মান ভাল হয়নি।” স্কুলের শৌচাগারের মান নিয়েও গ্রামে অভিযোগ রয়েছে। তা ছাড়া, স্কুলে সীমানা প্রাচীর নেই। কাছেই ডোবা রয়েছে। যে কোনও দিন দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা তাঁদের। |
স্কুলের প্রধান শিক্ষক সাধন মণ্ডল অবশ্য বলেছেন, “পড়ুয়াদের শুধু নুনভাত খেতে দেওয়ার অভিযোগ ঠিক নয়। রাস্তা বেহাল থাকার কারণে মানবাজার থেকে সব্জি কেনা সম্ভব নয়। স্থানীয়ভাবে যা মেলে, তাই দিয়ে রান্না করা হয়।” শৌচাগার তৈরির সময় শ্রমিক না মেলায় কাজ অসম্পূর্ণ থেকে গিয়েছে বলে তাঁরা দাবি। বিক্ষোভের খবর পেয়ে এ দিন বেলা আড়াইটে নাগাদ মানবাজার ১ চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক ইরা সুবুদ্ধি ওই স্কুলে যান। তিনি পরে বলেন, “ওই গ্রামে ঢোকার রাস্তা বৃষ্টি পড়ে এতটাই বেহাল হয়েছে যে, গাড়ি মাঝরাস্তায় ছেড়ে খানিকটা মোটরবাইকে আর কিছুটা হেঁটে ওই স্কুলে পৌঁছেছি। বাসিন্দারা ওই প্রধান শিক্ষককে বদলি করার দাবিতে অনড় থাকায় আমি ফিরে এসেছি। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতিকে ঘটনার কথা জানাব।” জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি নীলকমল মাহাতো বলেন, “স্কুল পরিদর্শকের কাছ থেকে রিপোর্ট পেলে পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেব।” |