|
|
|
|
অভিযোগ পুরসভায় |
রেস্তোরাঁ-বিতর্কে অস্বস্তি আরও বাড়ল কংগ্রেসের |
সংবাদসংস্থা • মুম্বই |
অস্বস্তি আর বিভ্রান্তি ক্রমশই বাড়ছে কংগ্রেসে। মুম্বইয়ের রেস্তোরাঁ-বিতর্ক তাতে যোগ করেছে নতুন মাত্রা। যে দিন রাহুল গাঁধী দলীয় মুখপাত্রদের বার্তা দিচ্ছেন, সংযত থাকুন, ভাষার শালীনতা বজায় রাখুন, দলীয় মতের বাইরে কোনও মত প্রকাশ করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে, ঠিক সেই দিনই মুম্বইয়ের যুব কংগ্রেস কর্মীরা শিবসেনার কায়দায় রেস্তোরাঁয় ভাঙচুর-বিক্ষোভ করে চূড়ান্ত অস্বস্তিতে ফেলেছেন কংগ্রেস নেতৃত্বকে।
বুধবারও সেই রেস্তোরাঁ-বিতর্ক জিইয়ে রাখলেন যুব কংগ্রেস কর্মীরা। বুধবার মুম্বই পুরসভায় দায়ের করা লিখিত অভিযোগে তাঁরা বলেছেন, ওই রেস্তোরাঁটি বেআইনি ভাবে নির্মাণ করা হয়েছে। তাঁদের আরও বক্তব্য, “শিবসেনা এবং বিজেপি আমাদের সরকারকে কলঙ্কিত করতে চায়। পুরসভায় ওরাই রয়েছে। তাই বেআইনি নির্মাণ করেও পার পেয়ে গিয়েছেন রেস্তোরাঁ মালিক।”
যুব কংগ্রেসের জনা তিরিশ কর্মী সোমবার ‘অদিতি পিওর ভেজ’ নামে রেস্তোরাঁয় ঢুকে ভাঙচুর চালান। ওই রেস্তোরাঁটির বিলে ইউপিএ সরকারের সমালোচনা করে কয়েকটি কথা লেখা ছিল। রেস্তোরাঁ মালিকের বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগও করা হয়। জল এত দূর গড়ায় যে কয়েক ঘণ্টা বন্ধ করে দিতে হয় রেস্তোরাঁটি। সাড়া পড়ে যায় গোটা শহরে। পরে এই বিড়ম্বনা ঢাকতে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব ঘটনার দায় চাপান রাজ্য নেতৃত্বের উপরে। অথচ আজ আবার রেস্তোরাঁ ভাঙচুরের সমালোচনা করে টুইটারের মতো সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে কংগ্রেস নেতা দিগ্বিজয় সিংহ প্রশ্ন তুলেছেন: “অসহিষ্ণুতা কংগ্রেসের সংস্কৃতি নয়। তবে রেস্তোরাঁর বিলে যা লেখা ছিল, সেটা কি যথার্থ?”
দলীয় মুখপাত্রদের রাহুল গাঁধী নির্দেশ দিয়েছিলেন, ভোটের আগে যে কোনও বিষয়ে যেন সমস্বরে কথা বলেন তাঁরা। অথচ কার্যক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, রেস্তোরাঁয় ভাঙচুর দলের অস্বস্তি বাড়ালেও এই বিষয়ে শীর্ষ নেতৃত্ব এখনও পর্যন্ত সে ভাবে কিছুই বলেননি। উল্টে দিগ্বিজয়ের মন্তব্য যুব কংগ্রেসের কর্মীদের ইন্ধন জোগাবে বলেই মনে করছেন অনেকে।
ওই বিলটি দেখবেন বলে অনেকেই রেস্তোরাঁয় ভিড় জমান। তবে পরে সেই বিল সরিয়ে দেওয়া হয়। অন্য বিলটিতে আর ইউপিএ-র সমালোচনায় কোনও মন্তব্য ছিল না। শুধু লেখা: ‘হ্যাভ এ নাইস ডে।’
|
পুরনো খবর: বিলে কেন্দ্রকে ব্যঙ্গ, রেস্তোরাঁ ভাঙচুর |
|
|
|
|
|