|
|
|
|
মুম্বইয়ে অভিযুক্ত যুব কংগ্রেস |
বিলে কেন্দ্রকে ব্যঙ্গ, রেস্তোরাঁ ভাঙচুর |
নিজস্ব প্রতিবেদন |
রেস্তোরাঁর বিলে লেখা কয়েকটি কথা। আর তাকে ঘিরেই বেধে গেল কুরুক্ষেত্র!
সংযত আচরণ এবং ভাষায় শালীনতা মেনে চলার জন্য গত কালই কংগ্রেস মুখপাত্রদের পরামর্শ দিয়েছিলেন রাহুল গাঁধী। আর গত কালই দুপুরে মুম্বইয়ের একটি রেস্তোরাঁয় তাণ্ডব চালানোর অভিযোগ উঠল যুব কংগ্রেস সমর্থকদের বিরুদ্ধে। রেস্তোরাঁটির অপরাধ? সেটির বিলে ইউপিএ সরকারের সমালোচনা করে কয়েকটি কথা লেখা ছিল। কংগ্রেস কর্মীরা রেস্তোরাঁটিকে বন্ধও করে দেন। অবশ্য মাত্রই কয়েক ঘণ্টার জন্য। আজ ফের খুলেছে রেস্তোরাঁটি। কিন্তু তাতে অস্বস্তি কাটছে না মহারাষ্ট্র প্রদেশ কংগ্রেস নেতাদের। দলের যুব কর্মীরা যা করেছেন, তার সঙ্গে শিবসেনা সমর্থকদের আচরণের মিল রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে নানা মহলে। যা নিয়ে চূড়ান্ত অস্বস্তিতে পড়েছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব।
মহারাষ্ট্রে শিবসেনা সমর্থকদের আচরণ নিয়ে সমালোচনা নতুন নয়। বালাসাহেব ঠাকরের মৃত্যুর পরে ফেসবুকে কিছু মন্তব্যের জেরে দুই তরুণীর বিরুদ্ধে তথ্য প্রযুক্তি আইনে অভিযোগ করা হয়েছিল মহারাষ্ট্রের পালঘরে। স্থানীয় শিবসেনা নেতাদের চাপে ওই দুই যুবতীকে গ্রেফতারও করে পুলিশ। পরে প্রবল বিতর্ক ও সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপে ওই দুই তরুণী মুক্তি পান। তবে এখনও তাঁদের গ্রেফতারের জন্য দায়ী পুলিশদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে উঠতে পারেনি সরকার। আজই এ নিয়ে রাজ্যের তীব্র সমালোচনা করেছে বম্বে হাইকোর্ট।
রাজ্যের শাসক দল কংগ্রেসের কর্মীরাও যে শিবসেনার চেয়ে কম যান না, তারও প্রমাণ পেল মুম্বই। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত রেস্তোরাঁর উপরে কেন্দ্র যে কর বসিয়েছে, গত প্রায় ছ’মাস ধরে তার বিরোধিতা করছে মুম্বইয়ের হোটেল ও রেস্তোরাঁ মালিকদের সংগঠন। মধ্য মুম্বইয়ের রেস্তরাঁ ‘অদিতি পিওর ভেজ’-এর মালিক শ্রীনিবাস শেট্টি তাঁর প্রতিবাদের জন্য বেছে নিয়েছিলেন একটু অন্য রকম পথ। তাঁর রেস্তোরাঁর বিলে ছাপানো ছিল দু’টি লাইন ‘ইউপিএ সরকারের মতে, টাকা খাওয়া (টুজি, কয়লা, কমনওয়েলথ কেলেঙ্কারি) প্রয়োজন। কিন্তু শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত রেস্তোরাঁয় খাওয়া বিলাসিতা।’
আর বিলের এই কথা ক’টি নিয়েই গত কাল দুপুরে বেধে গেল ধুন্ধুমার! প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, গত কাল দুপুরে রেস্তোরাঁয় আসেন বেশ কয়েক জন যুব কংগ্রেস সমর্থক। বিলে ইউপিএ সরকারকে ব্যঙ্গ করে লেখা কথাগুলি চোখে পড়তেই গোলমাল শুরু করেন তাঁরা। কিছু ক্ষণ পরে বেরিয়ে গিয়ে আরও লোকজন নিয়ে ফিরে আসেন তাঁরা। সে সময় রেস্তোরাঁয় ঢুকে বিক্ষোভ দেখানোর পাশাপাশি ভাঙচুরও করা হয় বলে অভিযোগ। যুব কংগ্রেস কর্মীদের চাপে ওই বিল ছাপানো বন্ধ করতে রাজি হন শেট্টি। আজ থেকেই নুতন বিল চালু করেছে রেস্তোরাঁটি। রেস্তোরাঁ মালিকের বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগও করেছে কংগ্রেস।
কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব অবশ্য রাজ্য নেতৃত্বের উপরেই দায় চাপাচ্ছেন। দিল্লিতে দলের মুখপাত্র রাজ বব্বর বলেন, “বিষয়টি রাজ্য কংগ্রেসের এক্তিয়ারে। এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাই না।” যদিও মুম্বইয়ের যুব কংগ্রেস সভাপতি গণেশকুমার যাদবের দাবি, বিক্ষোভ ছিল শান্তিপূর্ণ। |
|
|
|
|
|