কেদারে আবার কপ্টার ভেঙে মৃত্যু ২ জনের |
সংবাদসংস্থা • দেহরাদূন |
এখনও কাটেনি দুঃস্বপ্ন। এক মাসের একটু বেশি সময় পেরিয়েছে উত্তরাখণ্ডের ভয়ঙ্কর বিপর্যয়ের পরে। এর মধ্যেই ফের চপার ভেঙে দুর্ঘটনা ঘটল কেদারনাথ এলাকায়। মারা গেলেন দু’জন।
প্রশাসন সূত্রের খবর, বুধবার দুপুরে দিল্লির একটি বেসরকারি সংস্থার চপার কিছু ত্রাণসামগ্রী নিয়ে রুদ্রপ্রয়াগের গরুড়চটি থেকে কেদারনাথের দিকে যাচ্ছিল। পথে ঝড়বৃষ্টির মুখে পড়ে দিগ্ভ্রষ্ট হয়ে একটি পাহাড়ের গায়ে ধাক্কা মেরে ভেঙে পড়ে সেটি। মারা গিয়েছেন চপারের পাইলট ক্যাপ্টেন জগজিৎ সিংহ ধালিওয়াল এবং সহকারী পাইলট অভয় রঞ্জন।
ইতিমধ্যেই উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় বহুগুণা মৃতদের পরিবার পিছু দশ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। |
|
ধসে ভেঙে পড়েছে বাড়ি। বুধবার চামোলিতে। ছবি: পিটিআই |
গত মাসের ২১ তারিখে গৌরীকুণ্ড এলাকায় ত্রাণসামগ্রী বোঝাই একটি চপার ভেঙে পড়ে আহত হয়েছিলেন পাইলট। ২৫ তারিখ ফের ভেঙে পড়ে সেনাবাহিনীর একটি চপার। কয়েক জন তীর্থযাত্রী ও সেনা মিলিয়ে মোট ২০ জনের মৃত্যু হয়। প্রকৃতিক বিপর্যয়ের পরে উদ্ধারকাজ চালাতে গিয়ে এক মাসের মধ্যে এই নিয়ে তিনটি চপার দুর্ঘটনার মুখে পড়ল কেদারনাথের পার্বত্য এলাকায়।
অন্য দিকে, প্রকৃতির রক্তচক্ষু যেন দৃষ্টি সরাচ্ছে না উত্তরাখণ্ড থেকে। আজ, বুধবার ফের মেঘভাঙা বৃষ্টিতে প্লাবিত হল উত্তরাখণ্ডের কিছু এলাকা। সকাল থেকেই চামোলি জেলার সুনালি গ্রামে বৃষ্টি শুরু হয়। টানা ভারী বৃষ্টির জেরে ধস নামে ওই এলাকায়। পাহাড় থেকে কাদা-মাটির তাল নেমে এসে ধ্বংস করে দেয় বেশ কিছু ঘরবাড়ি। ঘরছাড়া হয়েছেন টেফনা এবং তিরফাক গ্রামের বেশ কিছু বাসিন্দাও।
ধস নেমে বন্ধ হয়ে গিয়েছে হৃষীকেশ-বদ্রীনাথ এবং হৃষীকেশ-কেদারনাথ সড়কপথের বেশ কিছু অংশ। জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, এখনও পর্যন্ত কোনও প্রাণহানির খবর পাওয়া যায়নি। নিরাপদ জায়গায় সরানোর কাজও শুরু করা গিয়েছে। বন্ধ রাস্তা তাড়াতাড়ি খোলার জন্যও কাজ শুরু করেছে সড়ক কর্তৃপক্ষ।
টানা বর্ষণের জেরে জল বাড়ছে গঙ্গা, যমুনা-সহ সব নদীতেই। আবহাওয়া বিভাগের আশঙ্কা, ফের বড়সড় বন্যার মুখে পড়তে পারে উত্তরাখণ্ড।
|
পুরনো খবর: গণচিতার আয়োজনে গিয়ে যাত্রা শেষ ২০ উদ্ধারকারীর |
|