ওবামাকে চিঠি, সই অস্বীকারে বিতর্ক তুঙ্গে
রেন্দ্র মোদীকে ভিসা দেওয়ার বিরোধিতা করে বারাক ওবামাকে পাঠানো চিঠি নিয়ে নতুন বিতর্ক। চিঠিতে সই করার কথা অস্বীকার করতে শুরু করেছেন একের পর এক কংগ্রেস ও বাম সাংসদেরা। ঘরোয়া বিষয়ে অন্য কোনও দেশকে জড়ানো উচিত নয় বলে দূরত্ব তৈরি করছে মনমোহন সিংহের সরকারও।
বিজেপি সভাপতি রাজনাথ সিংহ যখন আমেরিকায় গিয়ে মোদীকে ভিসা দেওয়ার দাবি তুলেছেন, ঠিক তখনই গত রবিবার বিভিন্ন দলের ৬৫ জন সাংসদের স্বাক্ষর করা একটি চিঠি পৌঁছয় মার্কিন প্রেসিডেন্টের দফতরে। গত বছরের শেষেও এক বার এই চিঠি পাঠানো হয়েছিল বারাক ওবামাকে।
এ দফায় চিঠি পাঠানোর কথা জানাজানি হওয়ার পরেই সমালোচনায় মুখর হয় বিজেপি। বিষয়টি প্রিভিলেজ কমিটির কাছে পাঠানোর তোড়জোড় শুরু হয়। তাদের অভিযোগ, গণতান্ত্রিক উপায়ে জিতে আসা কোনও মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দেশের সাংসদরা এ ভাবে আন্তর্জাতিক মহলে সরব হতে পারেন না। আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা না-হলেও কার্যত আগামী লোকসভা ভোটে দলের মুখ হয়ে ওঠা মোদীকে ঘিরে ওই বিতর্কের ফায়দা তুলতেই বিজেপি আসরে নেমেছে বলে অনেকের মত। কারণ, অতীতে মোদীকে যত বার এ ভাবে আক্রমণ করা হয়েছে, তত বারই তিনি আরও শক্তিশালী হয়েছেন। এক সময় সনিয়া গাঁধী গুজরাতে প্রচারে গিয়ে মোদীকে ‘মওত কা সওদাগর’ বলার পর ভোটে খেসারত দিতে হয় কংগ্রেসকে। গত বিধানসভা নির্বাচনে তাই মোদীকে সে ভাবে ব্যক্তিগত আক্রমণের পথে যাননি কংগ্রেস নেতারা।
এ ক্ষেত্রেও গোটা ঘটনা থেকে দূরত্ব তৈরির চেষ্টায় কংগ্রেসের তরফে বলা হচ্ছে, বিষয়টি নিয়ে দলে কোনও আলোচনা হয়নি। দলের মুখপাত্র রাজ বব্বর বলেন, “যে সাংসদরা ওই চিঠিতে সই করেছেন, সেটি তাঁদের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত।” বিদেশ প্রতিমন্ত্রী প্রীণীত কউরও আজ বলেন, “ঘরোয়া বিষয়ে অন্য কোনও দেশের হস্তক্ষেপ চাওয়াটা সঠিক পদক্ষেপ নয়। আমেরিকা কী সিদ্ধান্ত নেবে, সেটি তাদের ব্যাপার। কিন্তু আমাদের ঘরের সমস্যা আমরাই সমাধান করব।”
ইতিমধ্যে সই করার কথা অস্বীকার করতে শুরু করেছেন অনেক সাংসদ। যেমন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য বলছেন, এমন কোনও চিঠিতে সই করার কথা তিনি মনে করতে পারছেন না।
চিঠিতে সই করার কথা অস্বীকার করে সব থেকে বেশি সরব হয়েছেন সিপিএমের রাজ্যসভার সাংসদ সীতারাম ইয়েচুরি। তাঁর বক্তব্য, “দেশের সার্বভৌমত্বের বিষয়ে অন্য একটি দেশকে পাঠানো দাবিপত্রে স্বাক্ষর করা আমার বা আমার দলের নীতি নয়। অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বাইরের হস্তক্ষেপের ঘোর বিরোধী আমরা।”
এই চিঠি লিখতে যিনি উদ্যোগী হয়েছিলেন, সেই নির্দল সাংসদ মহম্মদ আদিবের দাবি, “চিঠিতে নয় নম্বরে ইয়েচুরির সই রয়েছে।” ইয়েচুরির অভিযোগ, “বিস্ময়কর ভাবে ‘ভারতীয় সাংসদ’দের নাম ও স্বাক্ষর বলে কিছু নাম রয়েছে। একে নকল ছাড়া আর কিছু বলা যায় না।” আদিবের পাল্টা বক্তব্য, “ইয়েচুরির যদি মনে হয়, আমি প্রতারণা করেছি, তা হলে আমি ওঁকে আদালতে নিয়ে যাব।”

পুরনো খবর:


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.