তৃণমূলের দু’জন সমর্থককে মারধর করার অভিযোগে দক্ষিণ দিনাজপুরে সিপিএমের এক পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার বংশীহারি থানার সরাইহাট এলাকা থেকে মহাবাড়ি পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী বাবলু মণ্ডল নামে ওই প্রার্থীকে ধরা হয়। সোমবার গভীর রাতে বিপ্লব মণ্ডল এবং রতন মণ্ডল নামে দুই তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থক বাড়ি ফিরছিলেন। সে সময়ে অভিযুক্ত সিপিএম প্রার্থীর নেতৃত্বে দশ বারো জনের একটি দল দুই তৃণমূল সমর্থকের উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। দুই তৃণমূল সমর্থকের মাথা ও বুকে চোট লেগেছে বলে জানা গিয়েছে। প্রথমে দু’জনকেই স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়। পরে বিপ্লববাবুকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনার পরে, মঙ্গলবার ভোরেই থানায় অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরে পুলিশ অভিযুক্ত সিপিএম প্রার্থীকে গ্রেফতার করে বলে জানা গিয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “মারপিট এবং হামলার অভিযোগে এক জনকে ধরা হয়েছে। পুলিশি তদন্ত চলছে।” সিপিএমের জেলা সম্পাদকণ্ডলীর সদস্য মিনতি ঘোষের দাবি, তৃণমূলের সমর্থকরা তাঁদের প্রার্থীর উপরে হামলা চালায়। তিনি বলেন, “বাবলুবাবু বাড়ি ফেরার পথে তৃণমূলের কর্মীরাই তাঁর উপর চড়াও হয়ে মারধর করে। পুলিশ তাঁকে নিরাপত্তা দেওয়ার নাম করে ডেকে নিয়ে গিয়ে গ্রেফতার করে। তৃণমূলের নির্দেশেই পুলিশ এই কাজ করছে।” অন্য দিকে, গঙ্গারামপুর রতনপুরে সিপিএম গ্রাম পঞ্চায়েত প্রার্থী মুকেশ মুর্মুর বাড়ি ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল সমর্থকদের বিরুদ্ধে। বালুরঘাটের ভাটপাড়ার চকরামে তৃণমূলের নির্বাচনী কার্যালয় পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল আরএসপির বিরুদ্ধে। খিদিরপুরেও আরএসপির নির্বাচনী কার্যালয় তৃণমূল সমর্থকেরা ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ। তৃণমূল নেতা অখিল বর্মন বলেন, “নির্বাচনে হেরে যাওয়ার আশঙ্কাতেই সিপিএম-আরএসপি হামলা-সন্ত্রাস করেছে। পুলিশকে জানিয়েছি। মানুষ ব্যালেটে হামলার জবাব দেবেন।” আরএসপির জেলা সম্পাদক বিশ্বনাথ চৌধুরী বলেন, “আমাদের দল রাজনৈতিক সংঘর্ষ সমর্থন করে না। বিরোধী দলগুলিই নিজেরা হামলা চালিয়ে এখন মিথ্যে অভিযোগ করছে।” |