স্বাস্থ্য পরিষেবা না পেয়ে ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা তালা লাগিয়ে দিলেন গুসকরা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। ঘটনাটি ঘটেছে, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আগে দু’জন চিকিত্সক ছিলেন। কিন্তু তাঁদের একজনকে আট মাস আগে ও আরেকজনকে তিন মাস আগে বদলি করে দেওয়া হয়। বর্তমানে ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কোনও চিকিত্সক নেই। ফার্মাসিস্ট দিয়ে কোনও রকমে চলছে স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি। এ দিন সন্ধ্যার পর আউশগ্রাম-১ ব্লকের বিডিও উত্পল চক্রবর্তী ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রটির তালা খোলেন। উত্পলবাবু বলেন, “এখানে যাতে সর্বক্ষনের ডাক্তার থাকে তার জন্য জেলা স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে কথা বলব।” তবে সরকারি আশ্বাসে অবশ্য ক্ষোভ কমছে না স্থানীয় বাসিন্দাদের। স্থানীয় ইঁটাচান্দার বাসিন্দা সেখ মফিজুল রহমান বলেন, “আমরা এই স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে ন্যূনতম পরিষেবাটুকুও পাচ্ছি না। জরুরি ভিত্তিতে চিকিত্সক নিয়োগ না করলে মানুষের ক্ষোভ মিটবে না।” |
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রণব রায় বলেন, “ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে দু’জন চিকিত্সক ছিলেন। কিন্তু তাঁরা একসঙ্গে ইস্তফা দেওয়ায় সমস্যা দেখা দিয়েছিল। তারপরে একজন চিকিত্সককে ওখানে নিয়োগ করা হলেও তিনি এ দিন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ছিলেন না বলে শুনেছি। উনি কেন ছিলেন না সেটা খতিয়ে দেখা হবে। অন্য এক চিকিত্সককে ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।”
গুসকরা পুরসভার চেয়ারম্যান তথা স্থানীয় তৃণমূলের নেতা চঞ্চল গড়াই স্থানীয় বাসিন্দাদের ক্ষোভকে ‘অরাজনৈতিক’ দাবি করে বলেন, “রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে এখানে চিকিত্সকের থাকার মত উপযুক্ত কোয়ার্টার কিছুদিন আগে তৈরি করা হয়েছে। তারপরেও এখানে কোনও চিকিত্সক থাকতে চান না। তাতেই সাধারণ মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে তালা লাগিয়ে দিয়েছেন।”
|