জ্বরের প্রকোপ অন্ডালে, মৃত ছাত্র
নিজস্ব সংবাদদাতা • অন্ডাল |
মাস দেড়েকের উপর জ্বরের প্রকোপ দেখা দিয়েছে অন্ডালের দীর্ঘনালা গ্রামে। মঙ্গলবার ভোরে দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে জ্বরে মৃত্যু হয় নবম শ্রেণির এক ছাত্রের। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম সত্যজিত্ কুণ্ডু (১৪)। সে অন্ডাল উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র ছিল। মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, তাকে প্রথমে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে পানাগড়ে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে তাকে নিয়ে আসা হয় দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর। প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জ্বরে আক্রান্ত হয়ে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতাল, বেলেঘাটা হাসপাতাল, দুর্গাপুর ইস্পাত হাসপাতাল ও বাঁকুড়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছেন প্রায় ৫০ জন। অন্ডালের ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ধীমান মণ্ডল বলেন, “আবহাওয়ার কারণেই এই রোগের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। কয়েক জনের রক্তে ডেঙ্গি, টাইফয়েড ও ম্যালেরিয়ার জীবানুও পাওয়া গিয়েছে।” বাসিন্দারা জানান, জ্বর থাকছে দশ-পনেরো দিন। বাড়ির এক জনের জ্বর হলে অন্য সদস্যরাও জ্বরে পড়ছেন। গ্রামে সৃষ্টি হয়েছে আতঙ্কের পরিবেশ। অন্ডাল প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে একমাস ধরে অস্থায়ী চিকিত্সা শিবির খুলে চিকিত্সা চলছে। স্বাস্থ্য কর্মীরা এলাকায় ঘুরে মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা করছেন। তবে স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, চিকিত্সাকেন্দ্রে মিলছে না প্রয়োজনীয় সব ওষুধ।
|
চিকিত্সক নেই, স্বাস্থ্যকেন্দ্রে তালা
নিজস্ব সংবাদদাতা • বর্ধমান |
স্বাস্থ্য পরিষেবা না পেয়ে ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা তালা লাগিয়ে দিলেন গুসকরা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। ঘটনাটি ঘটেছে, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আগে দু’জন চিকিত্সক ছিলেন। কিন্তু তাঁদের একজনকে আট মাস আগে ও আরেকজনকে তিন মাস আগে বদলি করে দেওয়া হয়। বর্তমানে ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কোনও চিকিত্সক নেই। ফার্মাসিস্ট দিয়ে কোনও রকমে চলছে স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি। সন্ধ্যার পর আউশগ্রাম-১ ব্লকের বিডিও উত্পল চক্রবর্তী ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রটির তালা খোলেন। উত্পলবাবু বলেন, “এখানে যাতে সর্বক্ষণের ডাক্তার থাকে তার জন্য জেলা স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গে কথা বলব।” তবে সরকারি আশ্বাসে অবশ্য ক্ষোভ কমছে না স্থানীয় বাসিন্দাদের। স্থানীয় ইঁটাচান্দার বাসিন্দা সেখ মফিজুল রহমান বলেন, “আমরা এই স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে ন্যূনতম পরিষেবাটুকুও পাচ্ছি না। জরুরি ভিত্তিতে চিকিত্সক নিয়োগ না করলে মানুষের ক্ষোভ মিটবে না।” জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রণব রায় বলেন, “ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে দু’জন চিকিত্সক ছিলেন। কিন্তু তাঁরা একসঙ্গে ইস্তফা দেওয়ায় সমস্যা দেখা দিয়েছিল। তারপরে একজন চিকিত্সককে ওখানে নিয়োগ করা হলেও তিনি এ দিন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ছিলেন না বলে শুনেছি। উনি কেন ছিলেন না সেটা খতিয়ে দেখা হবে। অন্য এক চিকিত্সককে ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে।” গুসকরা পুরসভার চেয়ারম্যান তথা স্থানীয় তৃণমূলের নেতা চঞ্চল গড়াই বলেন, “সাধারণ মানুষ ক্ষুব্ধ হয়ে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে তালা লাগিয়ে দিয়েছেন।”
|
শিক্ষকদের আগে খেতে নির্দেশ
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
ছপরা কাণ্ডের এক সপ্তাহ কেটে যাওয়ার পর নড়ে বসল কেন্দ্র। মিড-ডে মিল নিয়ে জারি হল একগুচ্ছ নির্দেশ। আর আজই বিহারের প্রাথমিক শিক্ষকদের সংগঠনের তরফে জানানো হল, রাজ্যের প্রায় তিন লক্ষ শিক্ষক আগামী পরশু, ২৫ তারিখ থেকে মিড-ডে মিল প্রকল্পে অংশগ্রহণ করবেন না। প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের রাজ্য সম্মেলনে আজ ওই সিদ্ধান্ত হয়। শিক্ষকদের অভিযোগ, মিড-ডে মিলের দায়িত্ব সামলাতে গিয়ে তাঁদের পড়ানোর কাজে ক্ষতি হচ্ছে। দুর্নীতির ফলে বদনামও হতে হচ্ছে। তাঁরা মনে করেন, এই দায়িত্ব কোনও সংস্থার হাতে দেওয়া হোক। ছপরায় শিশুমৃত্যুর ঘটনার পর আজ শিক্ষকদের এই সিদ্ধান্তে স্বভাবতই অস্বস্তিতে বিহার সরকার। এক কর্তা বলেন, “খাবার চেখে দেখার পর কিছু সময় অপেক্ষা করে তবেই তা পরিবেশন করা যাবে।” প্রতিটি স্কুলে আপৎকালীন পরিষেবা রাখারও সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রক। খাদ্যে বিষক্রিয়ার মতো পরিস্থিতি হলে শিশুদের স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যেতে বেশ কিছু সময় লেগে যায়। এই কারণেই স্কুলে প্রাথমিক প্রতিবিধানের বন্দোবস্ত রাখা হবে। খাদ্যশস্যের গুণগত মান পরীক্ষা করেই তবে তা কেনার নির্দেশ দিয়েছে মন্ত্রক। |