নেশা করতে বাধা দেওয়ায় দুই বাসিন্দাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে একদল দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ির ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ডাঙ্গিপাড়ায়। ঘটনার প্রতিবাদে বাসিন্দারা ডাঙ্গিপাড়া মেন রোড অন্তত আধ ঘণ্টা অবরোধ করে রাখেন। পরে পুলিশ এবং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর গিয়ে সমস্যা মেটাতে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন।
পুলিশ জানায়, জখম দুই ব্যক্তির নাম মদন ঝা এবং প্রদীপ দাস। ঘটনার পর ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকার বাসিন্দারা। অভিযোগ, স্থানীয় ক্লাব চত্বরে প্রতিদিন নেশার ঠেক বসে। কিছু যুবক ছাড়াও বস্তি এলাকার কচিকাঁচাদের অনেককেই ওই দলে দেখা যায়। এ জন্য এলাকার পরিবেশ বিষিয়ে উঠেছে। পুলিশকে বারবার বলেও কাজ হয়নি। এমনকী বাসিন্দারা ওই ছেলেছোকরাদের একাধিকবার তাড়িয়ে দিয়েছেন। তার পরেও সকাল সন্ধ্যা পাড়ায় নেশার ঠেক বসানো হয় বলে অভিযোগ। এ দিন সকালেও কয়েকজন যুবককে নেশা করতে দেখে বাধা দেন বাসিন্দারা। ঝুনু দাস, মিনা দাসদের মতো মহিলারা বাড়ি থেকে বেরিয়ে সরব হন। সে সময় দুষ্কৃতীরা তাদের উপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ। এর পরেই ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা পথ অবরোধ করেন। এমনকী ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের ভূমিকা নিয়েও সরব হন বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, বারবার ওয়ার্ডের এই পরিস্থিতি নিয়ে কাউন্সিলরকে বলা হয়েছে। অথচ তিনি গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন না।
কাউন্সিলর রুমা নাথ বলেন, “পুলিশকেও জানিয়েছি। কিন্তু তারা ব্যবস্থা নেয়নি।” তবে পুলিশের উদাসীনতা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন রুমাদেবী। ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রমেশ্বর প্রসাদ গুপ্ত বলেন, “আমি নিজেও উদ্যোগী হয়েছিলাম। কিছু দিন বন্ধ থাকার পর ফের এ সব হচ্ছে। পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে হবে।”
শিলিগুড়ির সহকারি ডেপুটি পুলিশ কমিশনার আভারু রবীন্দ্রনাথ বলেন, “বাসিন্দাদের অভিযোগের বিষয়টি জেনেছি। শীঘ্রই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।” যে ক্লাব প্রাঙ্গনে নেশার আড্ডা বসে বলে অভিযোগ সেই স্বস্তিকা যুবক সঙ্ঘের সভাপতি অমল দাস বলেন, “ওই যুবকদের বারবার নেশা করতে নিষেধ করা হয়েছে। তারা কথা শুনছে না। পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিক।”
জখম মদন ঝা বলেন, “এই জায়গায় বহুদিন ধরেই নেশার ঠেক চলছে। কয়লা বস্তির কিছু ছেলেছোকরা এ সব করে। বহুবার বলা সত্ত্বেও তারা কোনও কথা শোনে না। এমনকী পুলিশকেও বলে কাজ হয়নি। তাই নিজেরাই বাধ্য হয়ে নেশার ঠেক তুলতে যাই। ওই ছেলেদের পরিবারের লোকেরাও আমাদের উপর হামলা করে। পাথর ছোড়ে। তার আঘাতেই জখম হয়েছি।”
|