এতদিন এলাকায় শান্তি বজায় রাখতে যে দু’জন এক সঙ্গে লড়াই করেছেন, এ বার তাঁরা লড়ছেন পরস্পরের বিরুদ্ধে।
দু’জনেই সেই ১৯৭৮ সাল থেকে এলাকার শান্তি কমিটির সদস্য। কোনও কিছু হলেই একসময়ে দু’জনকেই পরস্পরকে দেখিয়ে বলতে শোনা যেত, “আমাকে না পেলে, ওঁকে তোমরা খবর দিও।”
এখন সুরে বদল। দু’জনেই বলছেন, “ও দিকে নয়। এ দিকে।” জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের ৯ নম্বর কালচিনি আসনে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন সুবীন চম্প্রামারি আর তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেসের অতুল সুব্বার সম্পর্কের এই বদল নিয়ে এলাকা সরগরম। তৃণমূলের জন্মলগ্নেই ১৯৯৮ সালে সুবীনবাবু গ্রাম পঞ্চায়েতে ঘাসফুল প্রতীক নিয়ে লড়েন। জেতেনও। ২০০৩ সালে কংগ্রেসে ফিরে যান। সে বার পঞ্চায়েত সমিতিতে প্রার্থী হন, সে বারও জেতেন। পরের বার ২০০৮ সালেও কংগ্রেসের হয়ে পঞ্চায়েত সমিতিতে জিতেছিলেন। তারপরেই তাঁর ছেলে উইলসন চম্প্রামারির উত্থান। ২০০৯ সালের কালচিনির বিধানসভা উপনির্বাচনে উইলসন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা সমর্থিত নির্দল প্রার্থী হয়ে ভোটে জেতেন। ছেলে দাঁড়িয়েছে, তাই বাবাও প্রচারে না নেমে পারেননি। ফলে দলবিরোধী কাজের জন্য সুবীনবাবু কংগ্রেস থেকে বহিষ্কৃত হন। তিনিও চলে যান তৃণমূল শিবিরে। উইলসনও এখন তৃণমূলে। সুবীনবাবু এ বারে জেলা পরিষদ আসনে তৃণমূলের প্রার্থী। উইলসনও বাবার প্রচারের সঙ্গী। সুবীনবাবু তাতে বাড়তি অক্সিজেন পেয়েছেন।
অন্য দিকে অতুলবাবু কিন্তু বরাবরই কংগ্রেসে। একবার বিধানসভা ভোটে দাঁড়িয়ে হেরেছেন। অতুলবাবু বলেন, “সুবীন আমার বন্ধু হলেও নির্বাচনের লড়াই হবে নীতিগত ভাবে। বারবার দলবদল করায় এলাকার মানুষ আর সুবীনকে ভরসা করছেন না। এ বারে বিধায়ক ছেলেও তাঁকে জেতাতে পারবে না। তবে ভোটের পরে শান্তি বজায় রাখতে ফের এক সঙ্গে লড়াই করব।”
সুবীনবাবুও একই সুরে বললেন, “১৯৯৮ থেকে জিতে আসছি। অতুল আমার বিরোধী হলেও, ভাল বন্ধু। তবে নীতিগত ভাবে লড়াই হবে। এলাকায় কংগ্রেস পঞ্চায়েত সমিতি রাস্তা, পানীয় জল, ১০০ দিনের কাজ করেনি।”
|
|
রাজনীতি, সুপারি বাগান |
পেশা |
প্রাক্তন বায়ুসেনা কর্মী। ঠিকাদারি |
তাম্বুল-পান |
নেশা |
সংবাদপত্র পড়া |
এলাকার উন্নয়নের রেকর্ড |
প্লাস পয়েন্ট |
ছেলে বিধায়ক |
বদরাগী |
মাইনাস পয়েন্ট |
দলবদল |
রাজনৈতিক স্থিরতা নেই |
প্রতিদ্বন্দ্বী সম্পর্কে |
ভাল বন্ধু |
কাজের লোক |
লোকে বলে |
জিতলে কাজ হবে
|
|