পরীক্ষার পরে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের তৈরি তালিকায় স্থান পাওয়া ১৬০ জন প্রার্থীকে ছ’সপ্তাহের মধ্যে নিয়োগপত্র দিতে হবে বলে রায় দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি দেবাশিস করগুপ্ত মঙ্গলবার এই নির্দেশ দেন। এর আগে সার্ভিস কমিশন প্রায় তিন বছর ধরে বারবার সময় নিয়েও ওই প্রার্থীদের নিয়োগপত্র দেয়নি।
২০১০ সালে মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন গ্রন্থাগারিক ও করণিক পদে নিয়োগের জন্য পরীক্ষা নেয়। সেই পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে যোগ্য প্রার্থীদের একটি তালিকাও তৈরি করে তারা। কিন্তু তালিকায় নাম ওঠা প্রার্থীদের তিন বছরেও নিয়োগপত্র দেওয়া হয়নি। আবেদন-নিবেদনে কাজ না-হওয়ায় নিরুপায় হয়ে ওই প্রার্থীরা শেষ পর্যন্ত হাইকোর্টে মামলা করেন।
আবেদনকারীদের আইনজীবী সুব্রত মুখোপাধ্যায় হাইকোর্টে জানান, ওই প্রার্থীরা শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং নিয়োগ পরীক্ষার ভিত্তিতেই নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁদের কাউন্সেলিং পর্বও শেষ। কমিশন সুপারিশ করলেই তাঁরা কাজে যোগ দিতে পারেন। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে ওই প্রার্থীদের ঘোরানো হচ্ছে। নিয়োগপত্রের আশায় তাঁরা তিন বছর ধরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কিন্তু এ ব্যাপারে সরকারের কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া পাচ্ছেন না।
কমিশনের আইনজীবী এক্রামুল বারি জানান, কমিশন তালিকাভুক্ত প্রার্থীদের নিশ্চয়ই নিয়োগপত্র দেবে। তবে বিভিন্ন মাদ্রাসায় নিয়োগের জন্য কাগজপত্র তৈরি করতে কিছুটা সময় প্রয়োজন। সেই আর্জির ভিত্তিতে হাইকোর্ট বেশ কিছুটা সময় মঞ্জুর করেছিল। সেই বাড়তি সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পরেও কমিশন নিয়োগপত্রের ব্যবস্থা করতে পারেনি। তারা আরও সময় চায়। আদালত আবার কিছুটা সময় মঞ্জুর করে। কিন্তু এ দিন ওই মামলার শুনানির সময় পর্যন্ত তালিকাভুক্ত প্রার্থীদের এক জনকেও নিয়োগপত্র দেওয়া হয়নি বলে সুব্রতবাবু জানান। নিয়োগপত্র দেওয়া গেল না কেন, সেই ব্যাপারে কমিশনের তরফে কোনও যুক্তিগ্রাহ্য ব্যাখ্যাও দেওয়া হয়নি।
এই অবস্থায় বিচারপতি এ দিন রায় দিয়ে জানিয়ে দেন, ছ’সপ্তাহের মধ্যে ওই প্রার্থীদের প্রত্যেককে নিয়োগপত্র দিতে হবে। তালিকাভুক্ত প্রার্থীদের মধ্যে কাউকে যদি নিয়োগপত্র দেওয়া না-হয়, তার কারণ জানাতে হবে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীকে। |