তৃণমূল-সিপিএম সংঘর্ষ অব্যাহত
নিজস্ব সংবাদদাতা • বসিরহাট |
সোমবার রাত থেকে বসিরহাট মহকুমায় তিনটি সিপিএম-তৃণমূল সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। হাড়োয়ার সোনাপুকুর-শঙ্করপুর পঞ্চায়েতের বালতিয়া গ্রামের এক তৃণমূল কর্মীকে মারধরের অভিযোগ ওঠে সিপিএম কর্মীর বিরুদ্ধে। রঞ্জিত সরকার নামে ওই তৃণমূল কর্মী যখন ভেড়িতে কাজ করছিলেন সেই সময়ে কয়েক জন সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতী তাঁকে মারধর করে বলে অভিযোগ। রঞ্জিতবাবুকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসনাবাদের ভেবিয়ায় তৃণমূল সমর্থক এক ব্যবসায়ী নিমাই দাসকেও সিপিএম কর্মীরা মারধর করে বলে অভিযোগ। সন্দেশখালির বেড়মজুর-১ পঞ্চায়েতে তালতলা ও গাজিপাড়ায় দু’পক্ষের সংঘর্ষে বেশ কয়েকটি বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। ৭ জন জখম হন। সিপিএমের দাবি, তৃণমূলের হামলায় ৪৯টি পরিবার গ্রামছাড়া। ১১টি বাড়িতে লুঠ করা হয়েছে। তৃণমূলের বক্তব্য, সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁদের কর্মীদের বাড়িতে হামলা চালায়।
|
নাবালিকাকে অপহরণের নালিশ
নিজস্ব সংবাদদাতা • রায়দিঘি |
ছ’দিন নিখোঁজ থাকার পরে নবম শ্রেণির এক ছাত্রী থানায় হাজির হল নববধূর বেশে। মঙ্গলবার রায়দিঘির পূর্ব শ্রীধরপুর গ্রামের ঘটনা। ছাত্রীর বাবা সত্যেন্দ্র বারিক নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে মেয়েকে অপহরণ করে বিয়ের অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ সূত্রের খবর, ১৬ জুলাই স্কুলে বেরিয়ে আর বাড়ি ফেরেনি ওই ছাত্রী। ১৮ তারিখ রায়দিঘি থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন ছাত্রীর বাবা। কিন্তু তাতে লাভ না হওয়ায় মঙ্গলবার আদালতে মামলা করতে যান তিনি। তখনই ফোনে খবর পান তাঁর মেয়ে থানায় ফিরে এসেছে। পুলিশ জানায়, থানায় ওই নাবালিকা জানায়, সে ওই যুবককে ভালবাসে। তার বাড়িই যেতে চায়। নাবালিকাকে আপাতত ‘সেফ কাস্টডি’তে রাখা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, প্রলোভন দেখিয়ে অপহরণের মামলা দায়ের হয়েছে। অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
|
মাওবাদী বলায় মন্ত্রীর নামে নালিশ কমিশনে |
রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার মানবাধিকার কমিশনে অভিযোগ জানালেন মানবাধিকার সংগঠন এপিডিআরের চাঁদপাড়া শাখার সভাপতি এবং চান্দুলিয়া নদী বাঁচাও কমিটির নেতা নন্দদুলাল দাস। তাঁর অভিযোগ, তাঁকে মাওবাদী আখ্যা দিয়ে মন্ত্রী গাইঘাটা থানায় এফআইআর করেছেন। বিভিন্ন সভাতেও তিনি তাঁর বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক কথা বলছেন। কিছু তৃণমূলকর্মী তাঁকে নানা ভাবে হুমকি দিচ্ছে। নন্দবাবুর আশঙ্কা, খাদ্যমন্ত্রী তাঁকে কর্মস্থলেও বিপাকে ফেলতে পারেন। তিনি বারাসতে সর্বশিক্ষা মিশনে কর্মরত। নন্দুবাবুও বারাসতে খাদ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এফআইআর করেছেন। এপিডিআরের তরফে রঞ্জিত শূর জানান, সেই এফআইআর বারাসত থেকে গাইঘাটা থানায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, তৃণমূলের নেতারা রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবাদীদের মাওবাদী হিসেবে চিহ্নিত করছেন। তাই পুলিশ এবং স্থানীয় তৃণমূলকর্মীরা ওই সব প্রতিবাদীকে হেনস্থা করছে। এর প্রতিবাদে কাল, বৃহস্পতিবার কলেজ স্ট্রিটে স্টুডেন্টস হলে প্রতিবাদসভার আয়োজন করেছে এপিডিআর। ওই সংগঠন সূত্রের খবর, সেই সভায় কামদুনির মৌসুমী কয়াল, টুম্পা কয়াল, শিক্ষক প্রদীপ মুখোপাধ্যায়ও আসবেন। |