|
|
|
|
কোটি টাকায় নতুন পুরভবন পাঁশকুড়ায়
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক |
দীর্ঘ ১১ বছরের টালবাহনা অবশেষে মিটতে চলেছে। তৈরি হতে চলেছে পাঁশকুড়া পুরসভার নতুন ভবন। এই ভবন নির্মাণের জন্য প্রায় ১ কোটি ২৫ লক্ষ টাকার পরিকল্পনা তৈরি করেছেন পুর-কর্তৃপক্ষ।
পাঁশকুড়া পুরাতন বাজারের কাছে ৬ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে পূর্ত দফতরের জায়গায় নতুন পুর ভবন তৈরি করা হবে। পাঁশকুড়ার পুরপ্রধান জাকিউর রহমান খান বলেন, “আপাতত তিনতলা পুরভবন তৈরির জন্য প্রায় ১ কোটি ২৫ লক্ষ টাকার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আগেই ১৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছিল। আরও অর্থ বরাদ্দের জন্য রাজ্য পুর-দফতরের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচন-পর্ব মিটলেই নতুন পুরভবন নির্মাণের কাজ শুরু করা হবে।”
পাঁশকুড়া ১ ব্লকের পাঁশকুড়া স্টেশন বাজার ও পুরাতন বাজার সংলগ্ন বেশ কিছু গ্রামীণ এলাকা নিয়ে ১৭টি ওয়ার্ড বিশিষ্ট এই পুরসভার জন্ম ২০০২ সালে। বিডিও অফিসের কাছে ত্রাণ দফতরের ঘরে প্রথম পুরসভার কাজ শুরু হয়। অপরিসর সেই স্থানেই এখনও পুরসভা চলছে। ২০০২ সালে প্রথম পুর-নির্বাচনে জিতে পুরবোর্ডে ক্ষমতাসীন হয় বামফ্রন্ট। প্রথম পুরপ্রধান ওমর আলি। তিনিই বর্তমানে দল পাল্টে পশ্চিম পাঁশকুড়া বিধানসভার তৃণমূল বিধায়ক। প্রথম পুরবোর্ডের আমলেই ৬ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে পূর্ত দফতরের প্রায় ৫ একর জমিতে পুরসভার অফিস তৈরির তোড়জোর হয়েছিল। জমির জন্য পূর্ত দফতরের কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছিল পুরসভা। রাজ্য সরকার প্রথম পর্যায়ে প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দও করেছিল। জমি হস্তান্তর নিয়ে দীর্ঘসূত্রিতার মধ্যেই পরবর্তী পুর-নির্বাচন চলে আসে।
২০০৭ সালে ভোটে জিতে পুরবোর্ড দখল করে তৃণমূল ও কংগ্রেস জোট। নতুন এই পুরবোর্ড আগের বাম-বোর্ডের সিদ্ধান্ত বাতিল করে পুর-এলাকার মাঝামাঝি এলাকা হিসেবে পাঁশকুড়া স্টেশনের কাছে নতুন পুরভবন তৈরির পরিকল্পনা নেয়। স্টেশনের কাছে মধুসূদনবাড়ে প্রায় ১৩ লক্ষ টাকা ব্যয়ে জমি কেনা হয়। কিন্তু ওই স্থানে নতুন পুরভবন তৈরির কাজ শুরু হয়নি। গত বছর পুর-নির্বাচনে জিতে একক ভাবে ক্ষমতায় আসে তৃণমূল। তৃণমূলের বর্তমান পুরবোর্ড আবার আগের সিদ্ধান্ত পাল্টে বাম আমলের পরিকল্পনা অনুযায়ী নতুন পুরভবন তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছে। ইতিমধ্যে ৪ একর ৯৯ ডেসিমল জমি হস্তান্তরের কাজও শেষ হয়েছে। পুরপ্রধান জানিয়েছেন, এর মধ্যে ৭৫ ডেসিমেল জমিতে পুরভবন তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। সাড়ে ১০ হাজার বর্গফুট এলাকায় তিনতলা ভবন তৈরি হবে। নতুন পুরভবনের একতলায় পুরপ্রধানের অফিস, কাউন্সিলরদের ঘর ও পুরসভার গুদাম থাকবে। দোতলা জুড়ে থাকবে পুরসভার বিভিন্ন দফতরের অফিস এবং তিন তলায় থাকবে আলোচনা কক্ষ। পুরপ্রধান জানিয়েছেন, জাতীয় সড়কের পাশে পুরসভা ভবনের কাছে একটি পার্ক তৈরির ও আইটিআই গড়ে তোলার পরিকল্পনা রয়েছে। |
|
|
|
|
|