|
|
|
|
|
পরিবর্তনের ভারতীয় ক্রিকেট: পূর্বসূরিদের অস্তিত্বের সঙ্কট |
রামনের টিপস নিয়ে তৈরি হচ্ছেন গম্ভীর,
ফিটনেস মন্ত্র জপছেন সহবাগ
চেতন নারুলা • নয়াদিল্লি |
|
একজন জাতীয় দলে ফেরার তীব্র খিদে নিয়ে ডব্লিউ ভি রামনের কোচিং ক্লাসে ঢুকে পড়েছেন।
অন্য জনের মধ্যেও কামব্যাকের ইচ্ছে প্রবল। কিন্তু ম্যাচ প্র্যাক্টিসই পাচ্ছেন না। দিল্লির তুমুল বৃষ্টিতে সব বন্ধ।
প্রথম জন গৌতম গম্ভীর। যাঁকে নিয়ে বাংলার সদ্য প্রাক্তন কোচ ডব্লিউ ভি রামন বলে দিচ্ছেন, “গম্ভীর যে ভারত ‘এ’ টিমেও থাকল না, সেটা ওর কাছে বড় সুযোগ হারানো তো বটেই। আপনি যখন বাদ পড়বেন, তখন যা সুযোগ পাবেন তাতেই সব করে দেখাতে হবে। ‘এ’ টিমের হয়ে সফর করাটা সে দিক থেকে ভাল হত।” সঙ্গে ভারতীয় দলের প্রাক্তন ওপেনারের সংযোজন, “নির্বাচকরা জানে গম্ভীর কী করতে পারে না পারে। আমার মনে হয়, কয়েকটা বড় রান করতে পারলেই গম্ভীরের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা এ রকম আর থাকবে না। যেটা ও ঘরোয়া ক্রিকেটে করে দেখাতেই পারে।”
কিন্তু দ্বিতীয় জন? বীরেন্দ্র সহবাগ? তাঁকে নিয়ে ইতিমধ্যেই দিল্লির ক্রিকেটমহলে জল্পনা ছড়াচ্ছে যে, দিল্লির রঞ্জির প্রাথমিক দলে যদি সহবাগ না থাকেন, তা হলে তাঁর পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আর প্রত্যাবর্তন ঘটানো কঠিন হতে পারে। সহবাগ চেষ্টা করছেন না এমন নয়। তবে ম্যাচ প্র্যাক্টিস সে ভাবে পাননি। সহবাগ তাই এখন জোর দিচ্ছেন ফিটনেসে। যে ফিটনেস ইদানীং তাঁকে বেশ ভুগিয়ে এসেছে।
বীরুর কোচ অমরনাথ শর্মা বলে দিচ্ছেন, “বললে বিশ্বাস করবেন না, সহবাগকে সব সময় এখন নেটে যেতে চায়। কিন্তু দিল্লির বৃষ্টি ওর সব পরিকল্পনার বারোটা বাজিয়ে দিয়েছে। কিন্তু নেট প্র্যাক্টিস বা ম্যাচ প্র্যাক্টিস এখন না পেলেও এই সময়টা সহবাগ জোর দিচ্ছে ফিটনেস বাড়ানোর উপর। ও এখন শুধু ফিটনেস বাড়ানো নিয়েই খাটছে।”
অমরনাথই জানাচ্ছেন, আইপিএলের পর ক্লাব ম্যাচও খেলেছেন সহবাগ। “ওর মতো ক্রিকেটার কখনও ফর্ম বা টেকনিক হারাতে পারে না। ওর আত্মবিশ্বাসও ঠিক জায়গায় আছে। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে ফেরার জন্য মরিয়া হয়ে আছে ও। সব ফ্যাক্টরগুলো একসঙ্গে কাজ করতে শুরু করলেই দেখবেন, আগের সহবাগ ফিরছে।”
নির্বাচকদের নোটবুকে কিন্তু এতটাও আশাবাদ নেই। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি তো বটেই, এমনকী জিম্বাবোয়ে সফরেও দু’জনের কারও জায়গা হয়নি। গম্ভীরদের অসুবিধেটা ঠিক কোথায় হচ্ছে? রামন বলছেন, “অনেক দিন ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেললে লোকে আপনাকে ধরে ফেলবে। কয়েকটা ভুলত্রুটি বেরিয়ে আসবেই। গম্ভীরের ক্ষেত্রেও সেটাই হয়েছে। ও আমার কাছে পরামর্শ চেয়েছিল। আমার মনে হয়েছে ওর ব্যাটিং স্টাইল বদলানোর কোনও দরকার নেই। প্রয়োজন হচ্ছে, নিজের ব্যাটিংয়ের শক্তিশালী দিকগুলোকে আরও মজবুত করা। আমার মনে হয় ওর এখনও বড় রান করার ক্ষমতা আছে। শুধু নিজের উপর বিশ্বাসটা ওকে রাখতে হবে।” |
|
|
|
|
|