প্রায় দু’টন মূল্যবান রক্তচন্দন কাঠের লগ বোঝাই ট্রাক আটক করল পুলিশ। সোমবার রাতে কাঁথির বিরামপুট থেকে ওই ট্রাকটিকে আটক করা হয়। ওই ঘটনায় কেউ গ্রেফতার হয়নি।
চন্দনকাঠ আটকের খবর পেয়েই জেলা পুলিশ সুপার সুকেশ জৈন কাঁথি থানায় মঙ্গলবার দুপুরে বিষয়টি নিয়ে কাঁথির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী, এসডিপিও ইন্দ্রজিৎ বসু ও কাঁথি থানার আইসি সোমনাথ দত্তের সঙ্গে আলোচনা করেন। পরে এক সাংবাদিক সন্মেলনে জেলা পুলিশ সুপার জানান, বিধায়ক দিব্যেন্দু অধিকারীর কাছ থেকে খবর পাওয়া যায় যে, জুনপুটের কাছে বিরামপুটে সোমবার রাতে জলপথে প্রচুর চন্দনকাঠ পাচারের জন্য জড়ো করা হয়েছে। এরপর কাঁথি থানার আইসি সোমনাথ দত্তের নেতৃত্বে পুলিশ অভিযান চালিয়ে প্রায় দু’টন ওজনের ৬২টি রক্তচন্দন কাঠের লগ উদ্ধার করে। কাঠের প্রকৃতমূল্য জানার জন্য জেলা বন দফতরের সঙ্গে ইতিমধ্যেই যোগাযোগ করা হয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার আরও বলেন, “প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, জলপথে চোরাচালানের জন্যই জুনপুট সমুদ্র সৈকতের ধারে রাতের অন্ধকারে উত্তরপ্রদেশের একটি লরিতে চন্দনকাঠগুলি আনা হয়েছিল। এবিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।” |
অন্য দিকে, বিধায়ক দিব্যেন্দু অধিকারী জানান, “জুনপুটের কাছে সমুদ্রপথে দীর্ঘ দিন ধরেই এলাকার এক বাম নেতা চোরাচালান চক্র চালিয়ে আসছেন। সোমবার রাতে এলাকা থেকে গোপন সূত্রে খবর পাই ওই বামনেতা পাচারের জন্য বাইরের একটি রাজ্য থেকে লরিতে করে রক্তচন্দন কাঠ আনিয়েছেন। খবর পেয়েই কাঁথি থানার আইসিকে বিষয়টি জানাই।” তৃণমূলের জেলা সম্পাদক মামুদ হোসেন জানান, “চোরাচালানের সঙ্গে যুক্ত ওই বাম নেতাকে অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবিতে পুলিশ সুপারের কাছে ডেপুটেশন দেবে জেলা তৃণমূল কংগ্রেস।” |