টুকরো খবর
বাড়ি ভাঙল হাতি, ক্ষতি ফসলেরও
ময়ূরঝর্না থেকে আসা হাতির একটি দল দাপিয়ে বেড়াচ্ছে গড়বেতার পাথরিশোল, খড়িকাশুলি, মাগুরাশোল ও সংলগ্ন এলাকায়। ইতিমধ্যে বেশ কিছু ঘরবাড়ি ভেঙেছে হাতিগুলি। চাষের ক্ষতি করেছে। হাতির দলের গতিবিধির উপর নজর রেখেছেন বনকর্মীরা। রূপনারায়ণ বিভাগের ডিএফও রবীন্দ্রনাথ সাহা বলেন, “ওই এলাকা থেকে হাতি তাড়ানোর সব রকম চেষ্টা চলছে।” তবে হাতি তাড়ানোর কাজটা খুব সহজ নয়। বন দফতরের এক কর্তার কথায়, “খাবারের খোঁজে হাতিগুলি জমিতে চলে যাচ্ছে। ফলে হাতির দলকে নির্দিষ্ট একটি এলাকায় সীমাবদ্ধ রাখা যাচ্ছে না।” বন দফতর সূত্রে খবর, রবিবার রাতে ময়ূরঝর্নার হাতির দলটি গড়বেতার জঙ্গলে ঢুকে পড়ে। দলে গোটা তিরিশেক হাতি রয়েছে। হাতির হানায় ইতিমধ্যে প্রায় ২০টি কাঁচাবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নষ্ট হয়েছে অন্তত ৪০ বিঘা জমির ফসল। হাতির হামলায় কাষ্ঠগেড়্যা, মহুলবনি-সহ আশপাশের এলাকায় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। হাতির উপদ্রব অবশ্য নতুন নয়। প্রতি বছর হাতির দল খাবারের খোঁজে জঙ্গল ছেড়ে লোকালয়ে হানা দেয়। পশ্চিম মেদিনীপুরের জঙ্গলমহলে একটা বড় অংশ জুড়ে রয়েছে আকাশমণি, ইউক্যালিপটাস প্রভৃতি গাছ। তবে, এই সব গাছ হাতির বসবাসের উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে পারে না। তাই জঙ্গলে খাবারের সঙ্কট দেখা দেয়। তখন হাতির দল জঙ্গল থেকে বেরিয়ে মাঠের ফসল সাবাড় করে। সমস্যা সমাধানে জঙ্গলে আরও বেশি সংখ্যক শাল, মহুয়া, অর্জুন গাছ লাগানো শুরু করেছে বন দফতর। যাতে জঙ্গলের মধ্যে হাতির বসবাসের উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করা যায়। রূপনারায়ণ বিভাগের অন্তর্গত ৯০ হেক্টর এলাকায় শাল গাছের চারা লাগানো হবে। ইতিমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে।

হাতির হানা রুখতে ব্যবস্থা
জলপাইগুড়ি জেলার ডুয়ার্সে হাতিহানা নিত্যদিনের ঘটনা। সেই কারণে হাতি হানা থেকে ভোটগ্রহণ কেন্দ্র এবং ভোট কর্মীদের রুখতে বিশেষ ব্যবস্থা নিচ্ছে বন দফতর। মরাঘাট রেতি, বামনডাঙা টন্ডু বিট, সিপচু বিট, চালসা চা বাগান এবং লাটাগুড়ি বস্তি এলাকায় তাই বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে বন দফতর। গোটা এলাকায় ছড়িয়ে থাকা ১৫টি বুথকে সবথেকে বেশি হাতি উপদ্রুত এলাকা ধরে নিয়ে বুথরক্ষার কাজে নামানো হচ্ছে বনকর্মীদের। উল্লেখ্য প্রথম দফার নির্বাচনে বাকুড়ায় এক পুলিশ কর্মী হাতির হামলায় প্রান হারিয়েছিলেন। তাই বাড়তি সতর্কতা নিয়েছে বন দফতর। হাতির দল কাছে আসতেই পটকা ফাটানো হবে বলে ঠিক হয়েছে। এতে হাতির দলকে জঙ্গলে ফেরানো সম্ভব হবে বলে ওই বনকর্মীরা মনে করছেন। জলপাইগুড়ির দুই ডিএফও সুমিতা ঘটক এবং বিদ্যুত সরকার বলেন, “ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে হাতির হামলা থেকে রক্ষা করার কাজ বন কর্মীরা শুরু করে দিয়েছেন। বিভিন্ন এলাকায় বন কর্মীরা টহলদারি করছেন। উপদ্রুত এলাকাগুলিতে বেশি জোর দেওয়া হয়েছে।”

বনমহোৎসব
মঙ্গলবার গড়বেতা-৩ ব্লকের রসকুণ্ডু হাইস্কুলে বনমহোৎসব পালিত হল পালিত হল। এই উপলক্ষ্যে ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রাও বের হয়। স্কুলের প্রধান শিক্ষক চঞ্চল চক্রবর্তী বনমহোৎসবের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করেন। তারপর বন দফতরের সহযোগিতায় ছাত্রছাত্রীদের আড়াই হাজার চারাগাছও বিতরণ করা হয়। ছাত্রছাত্রীরা যাতে বৃক্ষরোপনে উৎসাহী হয় সে জন্যই স্কুলেও এই ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন বলে স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন।

বাগানের উদ্বোধন
পরিবেশ সুস্থ রাখতে ফলের বাগান গড়ে তোলা হয়েছে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার ভিতরে। মঙ্গলবার সেই বাগানের উদ্বোধন করলেন সংস্থার সিইও পিকে সিংহ। ছিলেন অন্যান্য আধিকারিকেরাও। সিইও জানান, ইস্পাত কারখানার পক্ষ থেকে বরাবরই গাছ লাগানোর উপরে জোর দেওয়া হয়। কারখানার ভিতরেও তেমনই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কারখানা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, গত কয়েক বছরে ১ লক্ষ ৮০ হাজার গাছ লাগানো হয়েছে। বর্তমানে ইস্পাতনগরীর ৩১ শতাংশ গাছে ঢাকা।

নাম ধরে ডাকে ডলফিনরা
ডাক নাম, ভাল নাম, আদরের নাম, নামের কত বাহার। এই নাম মাহাত্ম্যের অনেকটাই দরকার পরে কাছের মানুষটাকে ডাকতে। কিন্তু কাউকে নাম ধরে ডাকার এই অধিকার এ বার থেকে বোধ হয় মানুষের থেকে কেড়ে নিতে চলেছে ডলফিন। অন্তত স্কটল্যান্ডের সেন্ট অ্যান্ড্রুজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ভিনসেন্ট জানিক তাই দাবি করছেন। তিনি জানিয়েছেন, ডলফিনরা বিভিন্ন ধরনের হুইসল বাজিয়ে পাশের জনকে ডাকে। শুধু তা-ই নয়, এই হুইসলের প্রত্যুত্তরও দেয় ডলফিনরা। বিজ্ঞানীরা পরীক্ষা করে দেখেছেন, এই দুই হুইসিলের তীব্রতা বা প্রকৃতি আলাদা হয়। অ্যান্ড্রুজের মতে, এই আওয়াজ আসলে ডলফিনের নাম। যে নামে তারা একে অপরকে ডাকে।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.