ভোট-পর্বের পরে বিক্ষিপ্ত গণ্ডগোল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • মুরারই |
এলাকার জমির মালিকদের সঙ্গে বর্গাদার, ভাগচাষিদের ঝামেলাকে উত্তপ্ত হয়ে উঠল মুরারই থানার খানপুর গ্রাম। মঙ্গলবার সকালে এলাকায় বোমাবাজি ও বহিরাগত লোকেদের উপস্থিতি এবং বড়সড় গণ্ডগোলের খরব পেয়ে নলহাটি ও মুরারই থেকে পৌঁছয় পবুলিশ বাহিনী। পুলিশ মহম্মদ রহমতুল্লাহ নামে এক জমির মালিক তথা খানপুর গ্রামের ৭ নম্বর সংসদের নির্দল প্রার্থীর বাড়ি থেকে কয়েক জন বহিরাগত লোককে আটক করেছে। মুরারই থানার ওসি মাধব মণ্ডল বলেন, “জমির মালিক ও বর্গাদারদের মধ্যে গণ্ডগোলের ঘটনায় ৭০ জনকে আটক করা হয়েছে।” |
খানপুর গ্রামে তোলা নিজস্ব চিত্র। |
রহমতুল্লাহ-র দাবি, “মনোনয়নপত্র তোলা, জমা দেওয়ার সময় থেকে এলাকার তৃণমূল নেতা বুরহান শেখ আমাকে হুমকি দিয়ে ওর মনোনীত এক প্রার্থীকে সমর্থন করার জন্য চাপ দিচ্ছে। তাতে রাজি হয়নি। তাই তার নেতৃত্বে সোমবার রাত থেকে বোমাবাজি শুরু করে। ভয়ে গ্রামের নিরীহ জমির মালিকেরা আমার বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিল।” আর একটি সংসদের তৃণমূল প্রার্থী বুরহান শেখ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর পাল্টা দাবি, “ওরাই এ দিন বাইরে থেকে লোকজন নিয়ে এসে আমাদের কর্মীদের উপরে বোমাবাজি করে।” এ দিকে, ভোট পর্ব মিটে যাওয়ার পরে মুরারই থানার কুতুবপুর গ্রামে সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত দফায় দফায় ফব ও কংগ্রেস কর্মীদের মধ্যে বোমাবাজি হয়। এছাড়া, মাড়গ্রামের ইষিড়া, উস্থিপাড়া, পরুণ এলাকাতেও দফায় দফায় বোমাবাজির ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রামপুরহাটের সইপুর গ্রামে সিপিএম-তৃণমূলের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এক সিপিএম সমর্থক চিকিৎসাধীন। |