স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে তৃণমূল বিধায়ক খগেশ্বর রায়ের বিরুদ্ধে ওঠা শ্লীলতাহানির অভিযোগ জলপাইগুড়ি জেলা পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দিল রাজ্য মহিলা কমিশন।
জেলার পুলিশ সুপার অমিত জাভালগিকে এক মাসের মধ্যে ওই রিপোর্ট জমা দিতে হবে বলে সোমবার জানান মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন সুনন্দা মুখোপাধ্যায়। তা ছাড়া, জেলাশাসক স্মারকী মহাপাত্রকেও বিষয়টি দেখার জন্য অনুরোধ করেছেন বলে জানিয়েছেন সুনন্দাদেবী। জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জের বিধায়ক খগেশ্বরবাবু বলেন, “মহিলা কমিশনের বিষয়টি জানি না। জখম দলীয় কর্মীদের দেখতে হাসপাতালে যাই। তাঁদের চিকিৎসা শুরু না হওয়ায় নার্স ও চিকিৎসকদের ধমকে ছিলাম মাত্র।”শনিবার গভীর রাতে পশ্চিমবঙ্গ বন উন্নয়ন নিগমের চেয়ারম্যান খগেশ্বরবাবু কয়েকজনকে সঙ্গে নিয়ে ব্লক হাসপাতালে ঢুকে কর্মরতা এক নার্সকে প্রথমে গালিগালাজ এবং পরে শ্লীলতাহানি করেন বলে অভিযোগ। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রাজগঞ্জ থানায় অভিযোগও দায়ের করেন। পুলিশ সূত্রের খবর, অভিযোগে বলা হয়েছে, ওই রাতে খগেশ্বরবাবু বেসামাল অবস্থায় কয়েকজন সঙ্গী নিয়ে হাসপাতালে ঢোকেন। সেই সময় ওই নার্স ছাড়াও হাসপাতালে ছিলেন এক চিকিৎসক। খগেশ্বরবাবুকে দেখে চিকিৎসক উঠে দাঁড়ালেও নার্স বসেই ছিলেন। রেগে গিয়ে খগেশ্বরবাবু প্রথমে ওই নার্সকে গালিগালাজ করেন এবং পরে তাঁর শ্লীলতাহানি করেন।
জলপাইগুড়ি মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জগন্নাথ সরকার অবশ্য বলেন, “ওই রাতে হাসপাতাল থেকে বিএমওএইচ ফোন করেছিলেন। কিছু লোকজন হাসপাতালে ঢুকে পড়েছে বলেও জানান। নিরাপত্তার ব্যবস্থার জন্য পুলিশকে বলেছি। এখন পুলিশ-পিকেট রয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটের পরে পুরোদস্তুর হাসপাতালে পুলিশ-পিকেট বসানো হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।” ওই নার্স বলেছেন, “এখনও লিখিত অভিযোগ করিনি। যা ঘটেছে, তা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে জানিয়েছি। পুলিশকেও জানাব।” |