পশ্চিমবঙ্গ কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধাপক সমিতি (ওয়েবকুপা)-তে শিক্ষকদের যোগদান অনুষ্ঠান দলীয় কার্যালয়ে করা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। সোমবার হিলকার্ট রোডে তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয়ে ওই অনুষ্ঠান হয়। ওই সংগঠন তৃণমূল নিয়ন্ত্রিত হলেও শিক্ষকদের যোগদানের অনুষ্ঠান দলীয় কার্যালয়ে করা কতটা যুক্তিযুক্ত তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিশেষ করে ‘শিক্ষা ক্ষেত্রে রাজনীতি নয়’ বা শিক্ষা ক্ষেত্রকে রাজনীতির বাইরে রাখার জন্য সচেষ্ট বলে দাবি বর্তমান রাজ্য সরকারের। তখন শাসক দলেরই দলীয় কার্যালয়ে শিক্ষক সংগঠনের ওই অনুষ্ঠান করা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে অপর সংগঠন পশ্চিমবঙ্গ কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (ওয়েবকুটা)।
অনুষ্ঠানে ছিলেন দার্জিলিং জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী গৌতম দেব। তিনি বলেন, “ওই শিক্ষকরা ওয়েবকুপার পাশাপাশি দলের শিক্ষা সেলেও যোগ দিয়েছেন। সে কারণেই দলের কার্যালয়ে তা করা হয়েছে।” তবে তাঁর দাবি, “শিক্ষা ক্ষেত্রে নৈরাজ্য বন্ধ করতে আমরা বদ্ধ পরিকর। শিক্ষা ক্ষেত্রে যে পরিস্থিতি আগের সরকার তৈরি করেছে তা থেকে আমরা বেরিয়ে আসতে চাই। শিক্ষার পরিবেশ এবং মান উন্নয়নে এই সরকার সচেষ্ট।”
এ দিন যাঁরা তৃণমূলের নিয়ন্ত্রণে থাকা ওই সংগঠনে যোগ দিয়েছেন সেই শিক্ষকদের স্বাগত জানিয়েছেন মন্ত্রী। তবে তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেওয়ার বিষয় ছিল না। ওয়েবকুপার সদস্য হতে নির্দিষ্ট ‘ফর্ম’-এর মাধ্যমে তাঁরা এ দিন আবেদন করেন। শিলিগুড়ি কলেজের দুই শিক্ষক নিরুপম গোপ এবং বিপ্লব কুমার বেহেরা এবং মুন্সি প্রেম চাঁদ কলেজের শিক্ষক নিতাই সাহা এ দিন ওই সংগঠনে যোগ দেন।
ওয়েবকুপার শিলিগুড়ি শাখার যুগ্ম আহ্বায়কদের অন্যতম প্রদীপ দত্ত বলেন, “সংগঠনের নিজস্ব কার্যালয় হয়নি। তা ছাড়া আমরা তৃণমূল নিয়ন্ত্রিত সংগঠন। মন্ত্রীও ছিলেন। তাই দলীয় কার্যালয়ে তা করা হয়েছে।” পশ্চিমবঙ্গ কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (ওয়েবকুটার) তরফে বিষয়টি ঠিক নয় বলে জানানো হয়েছে। সংগঠনের দার্জিলিং জেলা সম্পাদক অজিত দে বলেন, ‘‘বিষয়টি শুনেছি। কেউ কোনও রাজনৈতিক মতাদর্শের হতেই পারেন। কিন্তু দলীয় কার্যালয়ে শিক্ষক সংগঠনের কোনও কর্মসূচি হওয়াটা ঠিক নয়। না হলে শিক্ষা ক্ষেত্রে তো বেশি করে রাজনীতি যুক্ত হয়ে পড়বে।” তৃণমূলের অভিযোগ, ওয়েবকুটায় সমস্ত মতাদর্শের শিক্ষকদের যুক্ত থাকার কথা বলা হলেও বামপন্থী রাজনৈতিক দলের পরিচালনায় তা কাজ করে। |