পাস কোর্সে আবেদনকারী সমস্ত ছাত্রছাত্রীদের ভর্তির দাবিতে বাগডোগরা কলেজে ছাত্র ধর্মঘট পালন করল ছাত্র পরিষদ। সোমবার বাগডোগরা কালীপদ ঘোষ তরাই মহাবিদ্যালয়ে তারা ছাত্র ধর্মঘট পালন করে। অভিযোগ, পাস কোর্সে যে আসন রয়েছে তার চেয়ে অন্তত ১২০০ ছাত্রছাত্রী অতিরিক্ত রয়েছেন। নকশালবাড়ি, বাগডোগরা, মাটিগাড়া, বিধাননগর এমনকী চোপড়ার বাসিন্দা অনেক পড়ুয়া বাগডোগরা কলেজে ভর্তি হতে চান। এই কলেজে ভর্তির সুযোগ না পেলে অনেকেই সমস্যা পড়বেন। তাই আসন সংখ্যা বাড়ানোর দাবি তোলা হয়েছে।
কলেজের অধ্যক্ষ রঞ্জিত কুমার দাস বলেন, “কমার্স এবং বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি নিয়ে কোনও সমস্যা নেই। ভর্তির প্রক্রিয়া চলছে। পাস কোর্সে ভর্তির ক্ষেত্রে পরিকাঠামো অনুসারে ভর্তির ব্যবস্থা করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের যে নিয়ম রয়েছে তা মেনেই আমাদের চলতে হবে।”
তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা তনয় তালুকদার জানান, কলেজে আসন সংখ্যা বাড়ানোর দাবি তাঁরাও তুলেছেন। কিন্তু ভর্তির প্রক্রিয়া যেখানে চলছে তারমধ্যে ধর্মঘট ডেকে কলেজ বন্ধ করা ঠিক নয়। ছাত্র পরিষদের বাগডোগরা কলেজ ইউনিটের নেতা এমডি ইমরান বলেন, “সোমবার ভর্তির ব্যাপারে কলেজ কর্তৃপক্ষ কোনও নোটিশ দেননি। তা ছাড়া তফসিলি জাতি উপজাতি ছাত্রদের ভর্তির ক্ষেত্রে ন্যুনতম ৩৫.৭৫ শতাংশ নম্বর এবং সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের ক্ষেত্রে তা ৪১ শতাংশ বলে জানানো হয়েছে। তাতেও অনেকে ভর্তি হতে পারবেন না। তাই আবেদনকারীদের সকলেই যাতে ভর্তি হতে পারেন সেই দাবিতে ধর্মঘট ডাকা হয়েছে।” পাড়া এলাকায়। গত রবিবার রাতে ওই ফ্লেক্সটি ছেঁড়া হলেও সোমবার সকালে তা নজরে আসে। ঘটনাস্থলে জড়ো হয়ে তৃণমূল কর্মীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। এলাকার তৃণমূল প্রার্থী নিতা চক্রবর্তী বলেন, “তদন্ত করে দোষীদের খুঁজে বার করতে বলা হয়েছে।”
অন্য দিকে, আবেদনকারী সমস্ত ছাত্রছাত্রীদের কলেজে ভর্তির দাবিতে জলপাইগুড়িতে ছাত্র পরিষদের আন্দোলন চলছেই। সংগঠনের সদস্যরা সোমবার জলপাইগুড়ির এসি কলেজে ধর্মঘট করেন। এদিন কলেজে কোনও ছাত্রছাত্রী এবং শিক্ষক, অশিক্ষক কর্মী ঢুকতে পারেননি। তবে শিক্ষকদের অনুরোধে ভর্তি বিষয়ে সভা করার জন্য ‘অ্যাডমিশন কমিটি’র সদস্যদের ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হয়। ছাত্র পরিষদের এসি কলেজ ইউনিটের সভাপতি রকি ঘোষ বলেন, “দাবি না মানা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।” উল্লেখ্য, কলেজে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হতেই আন্দোলনে নামে ছাত্র পরিষদ। |