পঞ্চায়েত ভোটপর্ব মিটে যাওয়ার পরেও রাজ্যের ১৭টি জেলায় হিংসা রুখতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে। সোমবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক থেকে এ ব্যাপারে সবুজ সঙ্কেত পেয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতর সূত্রের খবর, নির্বাচন পর্ব মেটার পরে আরও অন্তত ১৫ দিন রাজ্য জুড়ে নির্বাচনোত্তর হিংসা মোকাবিলায় ৪৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে। ভোটগ্রহণ পর্ব মেটার পরেও যে ভাবে হিংসার ঘটনা ঘটছে, তাতে উদ্বিগ্ন নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনোত্তর হিংসার মোকাবিলায় তাই ১৭টি জেলাতেই কেন্দ্রীয় বাহিনী রেখে দেওয়ার জন্য রাজ্য ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে আর্জি জানায় তারা। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের সচিব তাপস রায়ের বক্তব্য, “নির্বাচন পরবর্তী হিংসা মোকাবিলায় যাতে বাহিনী রেখে দেওয়া হয়, সে জন্য আমরা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে আর্জি জানিয়েছিলাম। সেই আবেদনের কপি পাঠানো হয়েছিল রাজ্যের মুখ্যসচিবকেও।” সূত্রের খবর, আর্জি পাওয়ার পরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এ নিয়ে অনুমোদন দিয়েছে। স্বরাষ্ট্র দফতরের এক কর্তা বলেন, “ভোট-পরবর্তী গোলমাল এড়াতে রাজ্য নির্বাচন কমিশন কেন্দ্রীয় বাহিনী রেখে দিতে চেয়েছিল। তাই শেষ পর্বে আসা ৪৫ কোম্পানি বাহিনী রেখে দেওয়া হচ্ছে।” এ বারের পঞ্চায়েত নির্বাচনেই প্রথম কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পুরোদস্তুর ভোট হচ্ছে। সেই হিসেবে এ বারেই প্রথম নির্বাচন পরবর্তী হিংসা নিয়ন্ত্রণেও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে।
|
সারদা গোষ্ঠীর কর্ণধার সুদীপ্ত সেনের কোনও শারীরিক সমস্যা আছে কি? সোমবার জানতে চান আলিপুর আদালতের পঞ্চম বিচার বিভাগীয় বিচারক। মাথা নেড়ে সুদীপ্তবাবু জানান, তাঁর কোনও শারীরিক সমস্যা নেই। সুদীপ্তের স্বাস্থ্যের দিকে নজর রাখার জন্য জেল সুপারকে নির্দেশ দেন বিচারক। এ দিন আদালতে ফের সুদীপ্তের হস্তাক্ষরের নমুনা নেওয়া হয়। পুলিশি সূত্রের খবর, রাজ্যে সুদীপ্তের বিরুদ্ধে ৫৪টি মামলা রয়েছে। তার মধ্যে তিনটিতে তিনি জামিন পেয়েছেন। সুলতা সিংহ নামে এক মহিলার জমি-মামলায় ৫ অগস্ট পর্যন্ত সুদীপ্তকে জেল-হাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সরকারি আইনজীবী অভিযোগ করেন, সারদা গার্ডেনের জমি বিক্রির জন্য সুদীপ্তই সই করে ১৯৯৬ এবং ’৯৮ সালের মধ্যে সুলতাদেবীর কাছ থেকে কয়েক কিস্তিতে টাকা নিয়েছিলেন।
পুরনো খবর: সুদীপ্ত-দেবযানীকে দেখেই বিক্ষোভে উত্তাল জনতা |
পঞ্চায়েতে পঞ্চম তথা শেষ দফার ভোট বৃহস্পতিবার। তার তিন দিন আগে, সোমবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে কলকাতা হাইকোর্টে জানানো হল, রাজ্যে বাইক-বাহিনী নিয়ন্ত্রিত হয়েছে। কংগ্রেস হাইকোর্টে একটি মামলা করে বলেছিল, বাইক-বাহিনীর দাপটে ভোটের প্রচার চালানো যাচ্ছে না। তাদের অভিযোগের আঙুল ছিল শাসক দল তৃণমূলের দিকে। হাইকোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দেন, বাইক-বাহিনী নিয়ে প্রচার বন্ধ করতে হবে। এ দিন সেই মামলার শুনানিতে কমিশনের আইনজীবী লক্ষ্মীচাঁদ বিয়ানি জানান, কমিশন ব্যবস্থা নেওয়ায় বাইক-বাহিনী নিয়ন্ত্রিত হয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচন শেষ পর্যায়ে পৌঁছেছে। তাই হাইকোর্ট এ দিন মামলাটির নিষ্পত্তি করে দেয়।
পুরনো খবর: বাইক-বাহিনীতে নজর রাখতে দল গড়ল কোর্ট |