ভোটের ফলপ্রকাশের এখনও এক সপ্তাহ বাকি। তার আগেই মারা গেলেন পঞ্চায়েত নির্বাচনের তিন প্রার্থী। পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলপাহাড়িতে দুই প্রার্থীর মৃত্যু হয়েছে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে। আর হাওড়ার শ্যামপুরে এক প্রার্থী মারা গিয়েছেন পথ দুর্ঘটনায়।
সোমবার দুর্ঘটনার কবলে পড়েন হাওড়া জেলা পরিষদের তৃণমূল প্রার্থী দীনেশ মণ্ডল (৪৫)। তিনি শ্যামপুর-১ ব্লকের ২১ নম্বর জেলা পরিষদ আসনে প্রার্থী ছিলেন। এ দিন মোটরবাইকে গড়চুমুকের দিকে যাচ্ছিলেন দীনেশবাবু। বাইক চালাচ্ছিলেন তাঁর সঙ্গী। মরশাল গ্রামের কাছে উল্টো দিক থেকে আসা একটি ছোট গাড়ি বাইকে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দীনেশবাবুর। তাঁর সঙ্গীকে উলুবেড়িয়ার বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গাড়ির চালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
উলুবেড়িয়া দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের যুব-তৃণমূল সভাপতি দীনেশবাবু পেশায় স্কুলশিক্ষক ছিলেন। তাঁর বাড়ি শ্যামপুরের নবগ্রামে। তাঁর মৃত্যুর খবর পেয়ে এসেছিলেন হাওড়া জেলা তৃণমূলের সভাপতি, মন্ত্রী অরূপ রায়। তিনি বলেন, “ভোটের প্রচারে দীনেশের এলাকায় এসেছিলাম। ও যে এই ভাবে মারা যাবে ভাবতে পারছি না।” বেলপাহাড়ি পঞ্চায়েত সমিতির ১২ নম্বর আসনে প্রার্থী ছিলেন ধীমান লাহা (৩৯)। দলের টিকিট না পেয়ে গোলাপ ফুল প্রতীকে নির্দল হিসেবে লড়ছিলেন ব্লক যুব তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক ধীমান। সোমবার সকালে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় তাঁর। বাড়িতেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। হাসপাতালে গেলে তাঁর মৃত্যু হয়।
এক সময় বাচিক শিল্পী হিসেবে নাম ছিল ধীমানের। হাস্যকৌতুকের একটি ক্যাসেট জনপ্রিয়ও হয়েছিল। এ দিনই তাঁর শেষকৃত্য হয়েছে। পরিবারে রয়েছেন স্ত্রী ও ছেলে। বেলপাহাড়ি পঞ্চায়েত সমিতিরই ৪ নম্বর আসনে ঝাড়খণ্ড অনুশীলন পার্টির প্রার্থী নিমাই মর্দ্দন্যা (৫৮) মারা গিয়েছেন গত শনিবার। নিজের বাড়িতেই হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মৃত্যু হয়। |