গিরগিটি পড়ে যাওয়া মিড-ডে মিলের খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছিল ৯৬ জন খুদে পড়ুয়া। গত ৯ জুলাই ওই ঘটনার পর থেকে ওন্দা থানার কাঁটাবাড়ি গ্রামে আপার প্রাইমারি স্কুলে বন্ধ রয়েছে মিড-ডে মিল। প্রধানশিক্ষকের কাছে ঘটনার কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়েছে। সাসপেন্ড করা হয়েছে ওই দিন রান্নার কাজে থাকা স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীর রাঁধুনিদের। সে দিন মিড-ডে মিলের খাবার খাওয়ার পরেই বেশ কিছু পড়ুয়া অসুস্থ হয়ে পড়ে। বমি, পায়খানা হতে থাকে। অভিভাবক ও স্কুলের শিক্ষকরা তাদের বিষ্ণুপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করান। |
প্রধানশিক্ষক স্বীকার করেছিলেন, খাবারের পাত্রে গিরগিটি পড়ে সিদ্ধ হয়ে গিয়েছিল। পড়ুয়ারা খাবার পরে তা নজরে আসে। এর পর থেকে স্কুলে মিড-ডে মিল বন্ধ হয়ে যায়। অভিভাবকদের একাংশ দাবি করেন, এ বার যত্নশীল রাঁধুনি নিয়োগ করে অবিলম্বে মিড-ডে মিল চালু করা হোক। সেই সঙ্গে খাবারের মান বাড়ানোর দাবি তুলেছেন। স্কুলে প্রাচীর দেওয়ার দাবিও রয়েছে। ওন্দা চক্রের স্কুল পরিদর্শক দেবব্রত ঘোষ বলেন, “ওই স্কুলের প্রধানশিক্ষককে শো-কজ করার সঙ্গে স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীকেও সাসপেন্ড করা হয়েছে।” তাঁর আশ্বাস, নতুন গোষ্ঠীর নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে। দ্রুত ওই স্কুলে মিড-ডে মিল চালু করার চেষ্টা করা হচ্ছে। স্কুলের প্রধানশিক্ষক মধুসূদন পাল বলেন, “শিক্ষা দফতরের পাঠানো শো-কজ চিঠি বৃহস্পতিবার হাতে পেয়েছি। শিক্ষদের সঙ্গে আলোচনা করে উত্তর দেওয়া হবে।” |