মৃত শিশু প্রসবের পরে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলে হাসপাতালে ভাঙচুর চালাল রোগীর পরিজনেরা। রবিবার আসানসোল জেলা হাসপাতালের ঘটনা। পুলিশ চারজনকে আটকও করেছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, জামুড়িয়ার বাগডিহার বাসিন্দা অসীম ঘোষের স্ত্রী তনুশ্রীদেবী প্রসব যন্ত্রণা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। রবিবার সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ চিকিৎসক সুপ্রিয় মুখোপাধ্যায় তাঁকে প্রসূতি বিভাগে নিয়ে যান। কিন্তু শারীরিক অবস্থা ভাল না থাকায় তাঁকে সেখান থেকে বের করে আনা হয়। পরে চিকিৎসক ইন্দ্রজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের তত্বাবধানে তাঁকে আবার প্রসূতি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। কিছুক্ষণ পরে মৃত সন্তান প্রসব করেন তিনি। খবর চাউর হতেই তনুশ্রীদেবীর আত্মীয়েরা হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগে ঢুকে ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। |
ওই বিভাগের এক নার্স প্রভাতী রায় জানান, মারমুখী আগন্তুকদের দেখে তাঁরা তিন জন নার্স ওই ঘর থেকে পালিয়ে অন্য ঘরে চলে যান। এ দিকে, তনুশ্রীদেবীর স্বামী অসীমবাবুর দাবি, প্রসব হওয়ার আগে তাঁর এক পিসি পেটে হাত দিয়ে দেখেছিলেন শিশুটি নড়াচড়া করছে। তাঁর অভিযোগ, বারবার বিশেষ ভাবে নজর দেওয়ার আবেদন জানালেও চিকিৎসক বা নার্স কেউ কর্ণপাত করেননি। তাঁদের গাফিলতিতেই মৃত শিশু প্রসব হয়। তবে চিকিৎসক ইন্দ্রজিৎবাবু জানান, এক বছর আগে অস্ত্রোপচার করে তনুশ্রীদেবীর প্রসব হয়েছিল। তখনই তাঁর জরায়ু কমজোর হয়ে যায়। পরে জরায়ু কোনও কারণে সংক্রমিত হওয়ায় এই বিপত্তি ঘটেছে। হাসপাতাল সুপার নিখিলচন্দ্র দাস জানান, প্রসবের আগেই প্রসূতির পরিবারকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, শিশুটির বাঁচার আশা কম। তার পরে ওদের সম্মতি নিয়েই প্রসব করা হয়। তিনি বলেন, “তার পরেও কী করে তাঁরা এমন ঝামেলা করলেন তা আমরা বুঝতে পারছি না। দ্রুত পুলিশ আসায় বড় ঘটনা ঘটেনি। তবে হাসপাতালের কর্মীরা আতঙ্কে আছেন।” পুলিশ জানিয়েছে, চার জনকে আটক করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। |