বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি
ন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে জলপাইগুড়িতে। টানা বৃষ্টি এবং তিস্তা ব্যরেজ থেকে জল ছাড়ার কারণে গত শুক্রবার সকাল থেকে জলপাইগুড়ি শহরে করলা নদীর জল ঢুকতে শুরু করে। ২৫টির মধ্যে ২০টি ওয়ার্ডই জলমগ্ন হয়ে পড়ে। শহরের উঁচু রাস্তাগুলি দিয়েও জল বইতে থাকে। সদর হাসপাতাল সহ শহরের রায়কতপাড়া, নেতাজির পাড়ার একটি অংশ পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। শহরের ১৫টি ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নেন প্রায় ২ হাজার বাসিন্দা। সারা রাত জলবন্দি থাকতে হয় শ’পাঁচেক বাসিন্দাকে। জলপাইগুড়ির জেলাশাসক স্মারকী মহাপাত্র বলেন, “করলা নদীর জল কমেছে। বিপর্যয় মোকাবিলা দলকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।”

শূন্য দৃষ্টি।
শুক্রবার সকালের পরে নতুন করে বৃষ্টি না হওয়ায়, গভীর রাতের পরে করলা নদীর জল কমতে শুরু করে। শনিবার সকালে সদর হাসপাতাল, রায়কতপাড়া, অশোকনগর, শান্তিপাড়া এলাকায় জল ছিল না। যদিও নেতাজিপাড়া, পরেশ মিত্র কলোনীতে এদিন দুপুরেও জলবন্দি ছিল কয়েকশো বাসিন্দা। তবে এদিনও শহরের রায়কতপাড়া, সেনপাড়া এবং নেতাজিপাড়ায় ত্রাণ শিবির চলেছে। শিবিরে আশ্রিতদের খিচুড়ি রান্না করে খাওয়ানো হয়েছে। জলপাইগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান মোহন বসু বলেন, “শনিবার শহরে তিনটে ত্রাণ শিবির চলেছে। পরেশ মিত্র কলোনি সহ বেশ এলাকায় জল রয়েছে।”

করলা নদীর জলে ভেসে গিয়েছে বাড়ি। ভিজে গিয়েছে বইও। তাই শুকিয়ে নেওয়ার চেষ্টা।
ফি বছর বর্ষার মতো এবারেও তিস্তা ব্যারেজ থেকে জল ছাড়া শুরু হয়। গত বৃহস্পতিবার থেকে টানা বৃষ্টিতে জলপাইগুড়ি শহরের বুক চিরে যাওয়া করলা নদীও ফুলে ফেঁপে ওঠে। তিস্তা নদী দিয়ে সেই জল বের হতে না পেরে ফিরতি পথে শহরকে প্লাবিত করে। তবে শুক্রবার দুপুরের পরে আর বৃষ্টি না হওয়ায় ধীরে ধীরে তিস্তা নদী দিয়ে জল বেরিয়ে যাওয়ায় করলা নদীর জল কমতে শুরু করে। যদিও শনিবারেও করলা নদী কানায় কানায় ভরা ছিল।
করলা নদীর জল ঢুকে বৃহস্পতিবার শহরের দিনবাজার, বয়েলখানা বাজার প্লাবিত হয়ে যায়। এদিন দুটি বাজারেই স্বাভাবিক কেনা-বেচা হয়েছে। জলে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া সদর হাসপাতালে রোগী এবং চিকিৎসকদের নিয়ে যেতে শুক্রবার রাতে নৌকার ব্যবস্থা করেন জেলাশাসক স্মারকী মহাপাত্র। প্রশাসনের অনুরোধে বিএসএফের একটি দল এসে ট্রাকে করে রোগী ও পরিজনদের হাসপাতালে পৌঁছে দিয়েছে।

—নিজস্ব চিত্র।
পুরনো খবর:



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.