ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্যের চতুর্থ দফায় আগামী সোমবার মালদহে ২৪৬৬টি বুথে ভোটগ্রহণ করা হবে। জেলার সব কটি বুথকেই উত্তেজনাপ্রবণ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। ৬২০টি বুথ অতি উত্তেজনাপ্রবণ এবং ৮০ টি বুথ বিশেষ স্পর্শকাতর বলে ঘোষণা করা হয়েছে। ভোটের দিন জেলায় ৫০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী সহ রাজ্য পুলিশের ৭ হাজার সশস্ত্র পুলিশ মোতায়েন করা হবে বলে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ জানিয়েছে।
পঞ্চায়েত ভোটের প্রস্তুতি নিয়ে শনিবার যৌথভাবে সাংবাদিক বৈঠক করে করেন জেলাশাসক গোদালা কিরণ কুমার এবং জেলা পুলিশ সুপার কল্যাণ মুখোপাধ্যায়। তবে, শনিবার দুপুর পর্যন্ত জেলায় এক এক কোম্পানিও কেন্দ্রীয় বাহিনী বা রাজ্য পুলিশের সশস্ত্র বাহিনী এসে না পৌঁছোনোয় উদ্বেগে রয়েছে জেলা ও পুলিশ প্রশাসন।
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, ব্যরাকপুর ও দুর্গাপুর থেকে মালদহে ৫০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসার কথা। তৃতীয় দফার ভোট শেষ করে আধা সামরিক বাহিনী মালদহে পৌঁছতে রবিবার রাত হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। ফলে ভোটের আগের দিন রাতে বিভিন্ন এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর টহল সম্ভব হবে না। পাশাপাশি এক রাতে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে কী ভাবে বাহিনীর জওয়ানদের পৌঁছোনো হবে তা নিয়েও উদ্বেগে প্রশাসন। জেলাশাসক গোদালা কিরণ কুমার বলেন, “এখনও কেন্দ্রীয় বাহিনী জেলায় এসে পৌঁছোয়নি। সমস্যা তো হবেই।” জেলা পুলিশ সুপার কল্যাণ মুখোপাধ্যায় বলেন, “যে দিন কেন্দ্রীয় বাহিনী মালদহে ঢুকবে, সে দিনই উত্তেজনাপ্রবণ বুথ এলাকায় পাঠিয়ে দেওয়া হবে।”
অন্য দিকে জেলায় বাহিনী পৌঁছনো নিয়ে শাসক দলের ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছে কংগ্রেস এবং সিপিএম। জেলা কংগ্রেস সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী আবু হাসেম খান চৌধুরী বলেন, “এর আগে যখনই নির্বাচন হয়েছে, উত্তেজনাপ্রবণ এলাকার আধা সামরিক বাহিনীকে দিয়ে প্রশাসন রুট মার্চ করাত। রুট মার্চ দূরের কথা এখনও জেলায় কোনও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানকে দেখছি না।” সিপিএমের জেলা সম্পাদক অম্বর মিত্র বলেন, “দেরিতে বাহিনী পাঠানোর পিছনে শাসক দলের ষড়যন্ত্র রয়েছে।’’
যদিও জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি তথা রাজ্যের নারী ও সমাজ কল্যাণ মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র বলেন, “আজ থেকেই তো উত্তেজনাপ্রবণ বুথ এলাকায় বাহিনীর টহল দেওয়া প্রয়োজন। কিন্তু এখনও কেন বাহিনী টহল শুরু করেনি জেলা পুলিশ সুপারে কাছে জানতে চেয়েছি।” |