কংগ্রেস সাংসদ দীপা দাশমুন্সির খাসতালুক উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে সভা করতে মাঠ প্রায় ফাঁকা দেখলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা সূর্যকান্ত মিশ্র। শনিবার বিকেলে কালিয়াগঞ্জের পায়োনিয়র মাঠে তিনি জনসভা করেন। সূর্যকান্তবাবু বলেন, “যাঁরা সভায় আসেননি। তাঁরাই সবার চাইতে ভাল। ওঁরাই ইতিহাস গড়বেন। আপনারা এলাকায় ফিরে সেই বার্তাই তাঁদের দিন। যাঁরা আমাদের বিরুদ্ধে কথা বলছেন, তাঁরা কেন কংগ্রেস ও তৃণমূলের সঙ্গে রয়েছেন, সে কথা চিন্তা করে নিজের ত্রুটি শুধরে নিন।” তবে এদিন সূর্যকান্তবাবু সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনও কথা বলতে চাননি।
অন্যদিকে, প্রাক্তন খাদ্য সরবরাহ মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর খাসতালুক মেখলিগঞ্জে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে সরব হলেন রাজ্যের কৃষি প্রতিমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা বেচারাম মান্না।
শনিবার সকালে দক্ষিণ দিনাজপুরের কুমারগঞ্জে একটি জনসভায় বিধানসভার বিরোধী নেতা সূর্যকান্ত মিশ্রকে ‘ব্রাহ্মী শাক’ খাওয়ার পরামর্শ দিলেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। সিপিএম নেতা সূর্যকান্তবাবু রাজ্যে তৃণমূল সরকারের গত দু বছরে ৭ লক্ষ বেকারকে চাকরি দেওয়া থেকে শুরু করে সারদা কাণ্ড নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেছেন। বিকেলে জেলার হিলিতে সভা করতে এসে পুরমন্ত্রী ফিরহাদ পাল্টা কটাক্ষ করে সূর্যকান্তবাবুকে স্মৃতিবর্ধক ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দেন।
এ দিন নির্বাচন কমিশনার মীরা পান্ডেরও সমালোচনা করেন ফিরহাদ হাকিম বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে কাউন্সিলর থেকে মন্ত্রী বানিয়েছেন। আমি মমতাদির অনুগত থাকব, না হলে লোকে আমাকে মীরজাফর বলবে। ঠিক সে রকম সাইড লাইনে থাকা মীরা পান্ডেকে সিপিএম নির্বাচন কমিশনার তিন বছর মেয়াদ বাড়িয়ে দিয়েছে। তাই তিনি সিপিএমের হয়ে কাজ করবেন। এটাই স্বাভাবিক।”
ডুয়ার্সে ভোটের প্রচারে গিয়ে তৃণমূলের সঙ্গে কংগ্রেসকেও বিঁধলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য তথা প্রাক্তন মন্ত্রী গৌতম দেব। শনিবার ময়নাগুড়ি দেবীনগর বেসিক স্কুল ময়দানে বামফ্রন্ট আয়োজিত সভায় তিনি কংগ্রেস আমলে রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট না-হওয়ার প্রসঙ্গে টেনে সমালোচনা করেন। গৌতমবাবুর কথায়, “পঞ্চায়েত ভোট বামেদের আমলেই শুরু হয়েছে।” তাঁর অভিযোগ, “তৃণমূল নেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ভাল ফল হবে না টের পেয়ে ভোট পিছোনোর চেষ্টা করেছিলেন। ভোট শুরু হতে পুলিশকে ব্যবহার করে যা খুশি করছেন।”
তিনি দাবি করেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনেও একই ফলাফল হবে। তাঁর অভিযোগ, “বিভিন্ন এলাকায় থানার আইসিদের ব্যবহার করে ভয় দেখানো হচ্ছে। সভা করতে দেওয়া হচ্ছে না।” |