শনিবার খবরের কাগজে পড়লাম, আজহার নাকি সচিনকে পরামর্শ দিয়েছে সাইড-অন স্টান্সের বদলে চেস্ট-অন স্টান্স নিয়ে খেলার। কারণ সাইড-অন স্টান্সে নাকি বলটা মাত্র একটা চোখ দিয়ে দেখা যায়। এটা পড়ে আমার খুব অবাক লাগল।
কেন? এই প্রথম শুনলাম সাইড-অন স্টান্সে এক চোখে বল দেখা যায়। সচিন তেন্ডুলকর, সুনীল গাওস্কর, এদের সবাইকেই তো দেখেছি সাইড-অন স্টান্স নিয়ে ব্যাট করতে। তা হলে কি এক চোখ দিয়ে বল দেখে ওরা? এ রকম আজব কথা কী করে আজহারের মাথায় এল বুঝতে পারছি না। ও যা বলেছে, তার কোনও ক্রিকেটীয় ব্যাখ্যা হয় না। ব্যাপারটা বুঝিয়ে বলছি। দেখুন, সাইড-অন স্টান্সে এক জন ব্যাটসম্যানের পা দুটো ক্রিজের সঙ্গে সমান্তরাল থাকে। কিন্তু চোখ দুটো তো সামনের দিকেই থাকে। তাই এক চোখে বোলারকে দেখার কথা কী ভাবে উঠছে? |
চেস্ট-অন স্টান্সের ব্যাপারটাও তা হলে বুঝিয়ে বলি। ব্যাটসম্যান যখন এ ভাবে স্টান্স নেয়, তখন তার পায়ের আঙুল কভারের দিকে থাকে। পুরো শরীরটাই ওই দিকে ঘুরে যায়। ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের মধ্যে মোহিন্দর অমরনাথ চেস্ট-অন স্টান্স নিয়ে খেলে খুব সফল হয়েছিলেন। দেখলাম আজহার বলেছে এই স্টান্স নিয়ে দাঁড়ালে সচিনের ইনসুইং ডেলিভারি খেলতে সুবিধে হবে। কেন হবে, সেটা কিন্তু বলেনি।
আসল ব্যাপার হল, সাইড-অন বা চেস্ট-অন, দুটো স্টান্সেই বোলারকে দু’চোখে দেখা যায়। আমার মনে হচ্ছে আজহারেরও বোধহয় রিকি পন্টিংয়ের মতো অবস্থা হয়েছে। মানে সচিন নিয়ে একটা কিছু বলে কোনও একটা বিতর্ক তৈরি করে ও নিজের নামটা শিরোনামে আনতে চাইছে। অনেক প্রাক্তন ক্রিকেটার যেটা করে থাকেন আর কী! আজহারের কথা সিরিয়াসলি নিলে তার মানে দাঁড়ায় যে এত বছর সচিন এক চোখে বোলারকে দেখে এসেছে!
আমি তো ভাই এক জনকেই মনে করতে পারছি, যিনি এক চোখ দিয়ে বল দেখে দারুণ সফল হয়েছিলেন।
মনসুর আলি খান পটৌডি! |