টুকরো খবর |
ফালোপার শিবিরে শুরুতে নেই তিন বিদেশি
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
আবাসিক শিবিরে শুরু থেকে তিন বিদেশিকে পাচ্ছেন না মার্কোস ফালোপা। ভিসা না পেয়ে অনিশ্চিত চিডি-ওপারাও। এখনও পরিষ্কার হচ্ছে না ঠিক কবে তাঁরা শহরে পা রাখছেন। যদিও ক্লাব কর্তাদের দাবি, আগামী সপ্তাহের মাঝামাঝি ভিসা পেয়ে কল্যাণীতে দলের সঙ্গে যোগ দেবেন দুই নাইজিরীয় তারকা। আর জেমস মোগা এখন নিজের দেশ সুদানের হয়ে প্রদর্শনী ম্যাচ খেলায় ব্যস্ত। তাই লাল-হলুদের প্রাক মরসুম আবাসিক শিবিরে তাঁর আসার দিনক্ষণ নিয়ে চূড়ান্ত অনিশ্চয়তা। আজ রবিবার বিকেল থেকে কল্যাণীতে দু’সপ্তাহের শিবির শুরু করছেন ইস্টবেঙ্গলের নতুন ব্রাজিলিয়ান কোচ। তার আগের দিন শনিবার ইস্টবেঙ্গল ফুটবলারদের রক্ত পরীক্ষা ছাড়াও পুরোদমে অনুশীলন হল। বল নিয়ে সিচুয়েশন প্র্যাক্টিস ছাড়াও মেহতাব-সুয়েকারা খেলেন সেপাক-টাকরো। ইস্টবেঙ্গলই কলকাতার চার প্রধানের মধ্যে প্রথম আবাসিক শিবির করছে। মেহতাব-সুয়েকারা যখন সেপাক-টাকরোয় মজে, তখন মোহনবাগানে চলছিল ২১ জন ফুটবলারকে নিয়ে প্রাক মরসুম অনুশীলন। ইস্টবেঙ্গলের মতোই একজন বিদেশি কাতসুমি ছিলেন সেখানে। করিম বেঞ্চারিফার নির্দেশ মেনেই পুরো অনুশীলন করান সহকারী কোচ মৃদুল বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনিই প্রতিদিন ই-মেলে কোচকে প্র্যাক্টিসের রিপোর্টও দিচ্ছেন মুম্বইতে।
|
ড্র করে কলকাতা লিগ শুরু সুব্রতর
নিজস্ব সংবাদদাতা • কলকাতা |
আই লিগের চার ক্লাবকে বাদ দিয়ে শুরু হয়ে গেল কলকাতা প্রিমিয়ার লিগ। প্রথম ম্যাচেই হোঁচট খেল সুব্রত ভট্টাচার্যের সাদার্ন সমিতি। শনিবার আর্মি একাদশের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করেই সন্তুষ্ট থাকতে হল তাদের। সুব্রতর দল আটকে গেলেও পুলিশ এসি-কে ৫-০ গোলে হারাল ব্যারেটোহীন ভবানীপুর। জোড়া গোল করলেন কুতুবুদ্দিন। একটি করে গোল নবীন হেলা, স্নেহাশিস দত্ত ও সন্তোষ ওরাওয়ের। অন্য ম্যাচে কালীঘাট মিলন সঙ্ঘ ২-০ গোলে হারাল কালীঘাটকে। পিয়ারলেস ৩-১ গোলে হারায় পোর্ট ট্রাস্টকে।
|
চওড়া র্যাকেটও জেতাতে পারছে না ফেডেরারকে |
|
চওড়া র্যাকেটে খেলেও শেষ রক্ষা করতে পারলেন না রজার ফেডেরার। নিজের খাস তালুক উইম্বলডনে বিশ্বের ১১৬ নম্বরের কাছে হারার এক মাসের মধ্যে আবার এক অনামীর কাছে মাথা নোয়াতে হল সতেরো গ্র্যান্ড স্ল্যামের মালিককে। হামবুর্গে আজ জার্মান টেনিস চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে শীর্ষ বাছাইকে স্ট্রেট সেটে ৭-৬ (৯-৭), ৭-৬ (৭-৪) হারালেন বিশ্বের ১১৪ নম্বর, বাইশ বছরের আর্জেন্তিনীয় কোয়ালিফায়ার, ফেদেরিকো দেলবোনিস। ফাইনালে যাঁর সামনে ইতালির ফাবিও ফগনিনি। উইম্বলডনের দ্বিতীয় রাউন্ডে ইউক্রেনের সের্গেই স্টাকভস্কির কাছে অপ্রত্যাশিত হারার পরে আচমকাই হামবুর্গের ক্লে কোর্টে নামার সিদ্ধান্ত নেন ফেডেরার। তবে টুর্নামেন্টে শুরুর আগে সব থেকে বেশি চর্চা ছিল তাঁর র্যাকেট নিয়ে। এত কাল নব্বই বর্গ ইঞ্চির ‘হিটিং এরিয়া’র র্যাকেটে খেলা ফেডেরার এখানে নামেন আটানব্বই বর্গ ইঞ্চির র্যাকেট নিয়ে। ফেডেরার বলেছেন, “র্যাকেট বদলের পরীক্ষা নিয়ে অনেক দিনই কথাবার্তা চলছিল। কিন্তু সময় পাচ্ছিলাম না। এ বার আমার উইম্বলডন তাড়াতাড়ি শেষ হয়ে যাওয়ায় সেই সময়টা পেয়েছি। দেখা যাক, নতুন র্যাকেটে কতটা সুবিধা হয়।” হামবুর্গে অবশ্য নতুন র্যাকেট একত্রিশ বছরের ফেডেরারকে বাড়তি সুবিধা দিতে পারল না।
|
ভারতের অপছন্দের লর্গ্যাটই সিইও দক্ষিণ আফ্রিকার |
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের আপত্তি সত্ত্বেও সেই হারুন লর্গ্যাটকেই চিফ এগজিকিউটিভ অফিসার (সিইও) পদে নিয়োগ করল দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ড বা সিএসএ। লর্গ্যাটকে যে তাঁরা এই পদে দেখতে চান না, তা গত মার্চেই ভারতীয় বোর্ডের প্রধান এন শ্রীনিবাসন জানিয়ে দিয়েছিলেন। আইসিসি-র সিইও থাকাকালীন তাঁর সঙ্গে ভারতীয় বোর্ডের ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রাম, ডিআরএস সহ কয়েকটি বিষয়ে আগাগোড়া মতান্তর ছিল। তখন থেকেই লর্গ্যাট বোর্ডের কালো তালিকায় রয়েছেন। এ বার সেই লরগ্যাটকে দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট প্রশাসনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদে বসানোয় বছর শেষে ভারতীয় ক্রিকেট দলের দক্ষিণ আফ্রিকা সফর নিয়েই অনিশ্চয়তা তৈরি হয়ে গেল। এমনিতেই এই সফরের ক্রীড়াসূচি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে ডালমিয়ার নেতৃত্বাধীন বর্তমান ভারতীয় বোর্ড। লর্গ্যাট দায়িত্ব নিয়ে ভারতের এই অসন্তোষ দূর করতে পারবেন কি না, সেটাই দেখার। শনিবার রাতে সিএসএ এই খবর জানানোর পর ভারতীয় বোর্ডের কোনও প্রতিক্রিয়া অবশ্য পাওয়া যায়নি।
|
পরাস্ত জ্যাক স্প্যারো |
জলদস্যু জ্যাক স্প্যারোকে হারানো কি মুখের কথা! অথচ সেই অসাধ্য সাধন করেছেন মাত্র উনিশ বছরের এক অস্ট্রেলীয়। নাম অ্যাশটন আগার। টেস্ট অভিষেকে ইতিহাস গড়া তরুণের জন্যই নাকি অ্যাসেজের বাজার দর হইহই করে চড়ছে। ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার মুখপাত্র জানিয়েছেন, প্রথম টেস্টে আগারের দাপট দেখার পর থেকে অ্যাসেজের টিকিটের চাহিদা আকাশ ছুঁয়েছে। টেলিভিশন টিআরপি-র লড়াইয়ে পাইরেটস অব দ্য ক্যারিবিয়ানও হেরে ভুত আগারের সামনে। এমনকী ভোজনবিলাসী অস্ট্রেলীয়রা মাস্টার শেফ ভুলে গোগ্রাসে গিলছে ক্রিকেট পিচে আগারের কাণ্ডকারখানা। এ দিকে মিডিয়া আর স্পনসরদের প্রস্তাবের বন্যায় ভেসে গিয়েছে আগারের ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি। তবে ক্রিকেটারের বাড়ি থেকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এই মুহূর্তে খেলার বাইরে আগার আর কোনও কিছুতে মন দেবেন না।
|
রেকর্ড সঙ্গকারার |
|
দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রথম ওয়ান ডে-তে একের পর এক রেকর্ড করলেন কুমার সঙ্গকারা। ১৩৭ বলে তাঁর ১৬৯ রানের ইনিংসের উপর ভর করে কলম্বোয় ৩২০-৫ তুলল শ্রীলঙ্কা। ঘরের মাঠে এটাই কোনও শ্রীলঙ্কান ব্যাটসম্যানের সর্বোচ্চ। সঙ্গকারার ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ স্কোরও। এ দিন প্রেমদাসায় ডেল স্টেইনহীন দক্ষিণ আফ্রিকা বোলিংকে উড়িয়ে দেন তিনি। চোট সারিয়ে দলে ফেরা মর্নি মর্কেলও (২-৩৪) সে ভাবে প্রভাব ফেলতে পারেননি। জবাবে ব্যাট করতে নেমে চূড়ান্ত ব্যর্থ প্রোটিয়া ব্যাটিং। ৩১.৫ ওভারে মাত্র ১৪০ রানে অল আউট দক্ষিণ আফ্রিকা।
|
নাটকীয় টাই |
|
শেষ তিন ওভারে দরকার ছিল ৩৯, হাতে দুটো উইকেট। এই অবস্থা থেকে পাকিস্তানের (২২৯-৬) বিরুদ্ধে তৃতীয় ওয়ান ডে ‘টাই’ করল ওয়েস্ট ইন্ডিজ (২২৯-৯)। অনিয়ন্ত্রিত বোলিং, অদ্ভুত ফিল্ড সাজানো এবং সহজ রান আউটের সুযোগ ফস্কানো তিনের প্রভাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ম্যাচে ফেরায় পাকিস্তান। ওয়াহাব রিয়াজ যখন শেষ ওভার আসেন, তখনও ওয়েস্ট ইন্ডিজের দরকার ১৫। শেষ জুটিতে ছিলেন কেমার রোচ (৬ নট আউট)-জেসন হোল্ডার (১৯ নট আউট)। প্রথম দুটো বলে সিঙ্গলস নিয়ে তিন নম্বরে বাউন্ডারি মারেন হোল্ডার। একটা বল পরে বিশাল ছক্কা, শেষ বলে রান আউটের বিপদ এড়িয়ে দু’রান নেন হোল্ডার।
|
দ্বিবিজ-পূরব ফাইনালে |
শীর্ষ বাছাইদের হারিয়ে চমকে দিয়ে কলম্বিয়ার ক্লারো ওপেনের ফাইনালে পৌঁছে গেলেন দ্বিবিজ শরণ-পূরব রাজা। ভারতীয় জুটির এটাই প্রথম এটিপি ট্যুর পর্যায়ের টুর্নামেন্ট। এবং প্রথম টুর্নামেন্টেই তাঁরা চতুর্থ বাছাই হিসাবে নেমে সেমিফাইনালে ৬-২, ৬-৩ হারালেন শীর্ষ বাছাই কলম্বিয়ান জুটি জুয়ান সেবাস্তিয়ান কাবাল-রবার্ট ফারাহকে। পঞ্চাশ মিনিটের লড়াইয়ে কলম্বিয়ার জুটির সার্ভিস তিন বার ভাঙেন দ্বিবিজ-পূরব। এ বার ফাইনালে তাঁদের লড়াই ফরাসি এদুয়ার্দ রজার-ভ্যাসেলিন ও ডাচ ইগর সিজলিংয়ের জুটির বিরুদ্ধে।
|
দীপিকাদের রুপো নিশ্চিত |
তিরন্দাজি বিশ্বকাপের ব্যাক্তিগত ইভেন্ট থেকে ছিটকে গেলেও মেয়েদের দলগত রিকার্ভের ফাইনালে উঠে রুপো নিশ্চিত করে ফেললেন দীপিকা কুমারী। ভারতীয় মহিলা দলকে দ্বিতীয় বাছাই করাটা যে ভুল হয়নি, যুক্তরাষ্ট্রের মতো শক্তিশালী প্রতিপক্ষকে হারিয়ে সেটা প্রমাণ করে দিলেন দীপিকা, লইশরাম বোম্বাইলা দেবী ও রিমিল বিরুলি। সেমিফাইনালের প্রথম রাউন্ডে যুক্তরাষ্ট্রের থেকে চার পয়েন্টে পিছিয়ে পড়লেও পরের দুই রাউন্ডে স্কোর ১৬২-১৬২ করেন দীপিকারা। এর পর চুর্থ রাউন্ডে পুরো পাঁচ পয়েন্টে এগিয়ে গিয়ে জেতেন ২১৬-২১১। তবে ফাইনালে ভারতীয় মেয়েদের লন্ডন অলিম্পিকের রুপো জয়ী চিনা দলের কঠিন চ্যালেঞ্জের সামনে পড়তে হচ্ছে। |
|