শরীরে মেদ জমেছে। কিছুক্ষণ দৌড়োনোর পর কোমরে হাত দিয়ে ঝুঁকে দাঁড়িয়ে পড়ছেন। ওয়ান-টাচ খেলার সময়ও শ্লথ গতি।
টোলগে ওজবে কি পুরোপুরি ফিট? মহমেডান কোচ আজিজ ‘একদিনে বোঝা সম্ভব নয়’ বলে দায় এড়ালেও, টোলগে নিজে কিন্তু স্বীকার করে নিলেন তিনি এখনও ফিট নন। তবে জোর গলায় আশ্বাস দিলেন “প্রি-সিজনেই নিজেকে ফিট করে তুলব।”
মোহনবাগানে যে জার্সির নম্বর নিয়ে খেলতেন, সেই দশ নম্বর জার্সিই টোলগের জন্য বরাদ্দ করেছে মহমেডান। এ দিন সকালে সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্কের অনুশীলনে কিন্তু তাঁকে দেখে মনে হল, আগের মতোই আনফিট। চোট-আঘাত এবং নানা সমস্যায় গতবার বাগানে কিছুই করতে পারেননি অস্ট্রেলীয় এই স্ট্রাইকার। এ বার সাদা-কালো জার্সি পরে তাঁর ‘দেখিয়ে দেওয়ার’ নতুন চ্যালেঞ্জ সামনে। মুখে বলছেনও সে কথা। তাঁর চনমনে শরীরী ভাষাও বোঝাচ্ছে তিনি ফিরতে চান দু’বছর আগের ফর্মে। এ দিনও বললেন,“মানসিক ভাবে আমি একশো শতাংশ ফিট। কোন বিতর্ক, কোনও চাপ নেই। নিজের সেরাটা দিয়ে এ বার সর্বোচ্চ গোলদাতা হতে চাই।” |
ফিট হওয়ার দৌড়। পাশে কোচ আজিজ। ছবি: শঙ্কর নাগ দাস |
বহু বছর পর চোখে পড়ার মতো দল গড়ছে মহমেডান। পেন, টোলগে, জোসিমার, লুসিয়ানোকে নিয়ে বারো কোটি টাকার দল। বাংলা বা ভারতের কোনও কোচ নয়, ফিনল্যান্ড থেকে নিয়ে এসেছেন আজিজকে। ফলে দলের প্রথম দিনের অনুশীলন দেখতে ভিড় হয়েছিল ভালই। ছিলেন মহমেডানের ছোট-বড় সব কর্তাই। আজিজের প্রথম দিনের অনুশীলনে অবশ্য তেমন কোনও চমক ছিল না। মোট ২৬ জন এসেছিলেন অনুশীলনে। হালকা দৌড়, স্ট্রেচিংয়ের পর ওয়ান টাচ প্র্যাকটিস।
পেন না আসায় আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন টোলগেই। সাদা-কালো সমর্থকদের তাতাতে তাঁকে বলতে শোনা গেল “মহমেডান হল ঘুমন্ত দৈত্য। বহু বছর পর আই লিগ খেলার ছাড়পত্র পেয়েছে। ট্রফি জেতার জন্য লড়ে যাব।” কথাবার্তায় বুঝিয়ে দিলেন, দু’বছর আগে ইস্টবেঙ্গলে খেলার সময় পেন-টোলগে-রবিন মিলে যে ‘ত্রিভুজ আক্রমণ’ গড়ে তুলতেন, এ বার জোসিমার-পেনকে সঙ্গে নিয়ে সেই ছকেই বাজিমাত করতে চান। “রবিন-পেন-আমি মিলে যে ফর্মেশনে খেলতাম, এখানেও জোসিমারকে সঙ্গে নিয়ে সেই ফর্মেশনে খেললে সাফল্য আসবেই।”
টোলগে-সহ অন্যদের ফিট করে তুলতে চেষ্টার ত্রুটি রাখছেন না সাদা-কালো কোচ আজিজ। অসীম-গৌরাঙ্গদের একপ্রস্ত মেডিক্যাল টেস্ট হয়ে গেছে ইতিমধ্যেই। অনুশীলনের একঘেয়েমি কাটাতে রবিবার ছুটির দিনে টোলগেদের নিয়ে রেসকোর্সে বিশেষ অনুশীলন করাবেন আজিজ। পেনরা যোগ দিলে বিপ টেস্ট করানোর ভাবনাও রয়েছে তাঁর। বলে দিলেন “কোন ফুটবলার কতটা ফিট সেটা আগে বুঝে নিতে হবে। সেটা বুঝে নিয়ে আমি কম্বিনেশন তৈরি করব।” আবাসিক শিবিরের জন্যও কর্তাদের সঙ্গে কথা বলছেন মহমেডান কোচ। |