টুকরো খবর
প্রধানশিক্ষককে ঘিরে ধরে স্কুলে বিক্ষোভ
মিড-ডে মিলের রান্নার মান খারাপ, প্রধানশিক্ষক অনিয়মিত স্কুলে আসেন এমনই নানা অভিযোগে মানবাজারের হরেকৃষ্ণপুর প্রাইমারি স্কুলে বিক্ষোভ দেখালেন অভিভাবক ও বাসিন্দারা। এর জেরে শুক্রবার ওই স্কুলে পঠনপাঠন ব্যাহত হয়। অভিভাবকদের মধ্যে সুদর্শন চট্টোপাধ্যায়, আনন্দ বাউরি, পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়রা অভিযোগ করেন, “এই স্কুলের প্রধানশিক্ষক অনিরুদ্ধ মাহান্তি নির্দিষ্ট সময়ে স্কুলে আসেন না। দুপুরে পড়ুয়াদের খাওয়ার পরেই তিনি স্কুল ছুটি দিয়ে দেন। এ ছাড়া মিড-ডে মিলের রান্নার মানও ভাল নয়।” তাঁদের আরও অভিযোগ, সর্বশিক্ষা মিশন থেকে টাকা বরাদ্দ করা হলেও নতুন ক্লাসঘর তৈরি করা নিয়ে প্রধানশিক্ষক অহেতুক জটিলতা তৈরি করেছেন। প্রধানশিক্ষকের দাবি, তাড়াতাড়ি স্কুল ছুটি দেওয়ার অভিযোগ ঠিক নয়। আসলে দুপুরের খাওয়ার পরে পড়ুয়ারা আর থাকতে চায় না। তারা বাড়ি চলে যায়।” স্কুলে অনিয়নিত আসার অভিযোগও তিনি মানতে চাননি। তাঁর আরও দাবি, ক্লাস ঘর নির্মাণ নিয়ে কোনও জটিলতা নেই। বাসিন্দাদের নিয়ে তৈরি করা বেনিফিসিয়ারি কমিটিকে তিনি শীঘ্রই বাকি টাকা দিয়ে দেবেন। মানবাজার ১ চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক ইরা সুবুদ্ধি বলেন, “সম্প্রতি ওই স্কুল সম্পর্কে একাধিক অভিযোগ জানিয়েছেন বাসিন্দারা। আমি তাঁদের জানিয়েছি, শীঘ্রই স্কুলের শিক্ষকদের ও অভিভাবকদের নিয়ে আলোচনায় বসব।

মাঠে কান্নাকাটি, উদ্ধার বালক
ধূ ধূ মাঠের মধ্যে এক কান্নাকাটি করছিল বছর দশেকের এক বালক। দেখতে পেয়ে তাকে বাড়ি নিয়ে যান এক গ্রামবাসী। শুক্রবার রঘুনাথপুর থানায় গিয়ে স্থানীয় বামড়ার গ্রামের ওই বাসিন্দা খগেন গোপ বালকটিকে পুলিশের হাতে তুলে দেন। পুলিশ জানিয়েছে, বালকটি তাদের কাছে জানিয়েছে ওর নাম রাজু সাহা ও বাবার বনাম রামেশ্বর। কিন্তু হিন্দিভাষী ওই বালক তার বাড়ির ঠিকানা নির্দিষ্ট করে জানাতে পারছে না। কখনও জানাচ্ছে বাড়ি সাতগাছিতে, কখনও মাধবপুরে। শিশুদের নিয়ে কাজ করা রঘুনাথপুরের চাইন্ড লাইনের হাতে তাকে তুলে দেওয়া হয়। ওই সংস্থার কর্মকর্তা মন্টু মাহাতো জানান, স্থানীয় মণিপুরে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার হোমে তাকে পাঠিয়ে পুরো ঠিকানা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। ওই বালক উদ্ধারের ঘটনাটি তাঁরা জেলা শিশু কল্যাণ সমিতিকে জানিয়েছেন।

কজওয়ে সংস্কারের দাবি
গন্ধেশ্বরী নদীর কজওয়েটি পুরোমাত্রায় সংস্কারের দাবি উঠেছে বাঁকুড়ায়। নতুন করে তৈরি হওয়ার পরে এ বার প্রথম বর্ষাতেই ভেঙে পড়ে ওই কজওয়ে ও রাস্তার সংযোগস্থলের একাংশ। এর জেরে কিছু দিন ওই কজওয়ের উপর দিয়ে যান চলাচল ব্যাহত হয়। কিন্তু পূর্ত দফতর সংস্কার করলেও তা নিয়ে সংশয়ে বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি, ভাল ভাবে সংস্কার না করা হলে ফের বিপর্যয় ঘটবে। পূর্ত দফতরের বাঁকুড়ার এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার শুভঙ্কর মাঝি বলেন, “জলের তোড়ে কজওয়ের সংযোগকারী রাস্তার কিছু অংশের পিচ উঠে গিয়েছিল। তাতে কজওয়ের কোনও ক্ষতি হয়নি। এখন ওই কজওয়ের উপর দিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই যানবাহন চলাচল করছে। বর্ষা শেষ হলেই ক্ষতিগ্রস্ত জায়গাটি ভাল করে সংস্কার করা হবে।”

লরি পিষে দিল শিশুকে

দুর্ঘটনার পরে। পুরুলিয়া শহরে নামোপাড়ার রথতলা।—নিজস্ব চিত্র
লরির ধাক্কায় এক শিশুর মৃত্যুর ঘটনার প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখালেন বাসিন্দারা। শুক্রবার সকালে পুরুলিয়া শহরের নামোপাড়ার রথতলা এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। মৃতের নাম রিয়া সূত্রধর (৩)। পুরুলিয়া মফস্সল থানার ডিমডিহা গ্রামে তার বাড়ি। তবে নামোপাড়ার রথতলা এলাকায় সে এক আত্মীয়ের বাড়িতে থাকত। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রথতলা এলাকায় হরিনাম সংকীর্তন চলছিল। এ দিন সকালে রিয়া একা বাড়ি থেকে বেরিয়ে সেখানেই যাচ্ছিল। রাস্তা পারাপারের সময় একটি লরি তাকে পিষে দেয়। বাসিন্দারা যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণের দাবিতে বিক্ষোভ দেখান। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। পুলিশ লরিটি আটক করে চালককে গ্রেফতার করে।

জোড়া মৃত্যুতে অন্ধকারে পুলিশ
শাশুড়ি ও পুত্রবধূর মৃতদেহ উদ্ধারের ২৪ ঘণ্টা পরেও মৃত্যুর কারণ নিয়ে অন্ধকারে পুলিশ। বোরো থানার নেকড়া গ্রামে বৃহস্পতিবার এক ঘর থেকে শাশুড়ি লক্ষ্মীপ্রিয়া মণ্ডল ও বউমার চন্দনা মণ্ডলের দেহ উদ্ধার করা হয়। শুক্রবার দেহ দু’টির ময়নাতদন্ত হয় পুরুলিয়া সদর হাসপাতালের মর্গে। চন্দনার স্বামী সেই রাতে বাড়িতে থাকলেও তাঁর বয়ান নিয়ে পুলিশ সন্দিহান। মৌখিক ভাবে চন্দনার বাপের বাড়ির লোকেরা শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুললেও এ দিন পর্যন্ত কোনও লিখিত অভিযোগ করেননি। পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, “ময়নাতদন্তের রিপোর্টের অপেক্ষা করছি আমরা। তাতেই মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।”

পুরনো খবর:

অভিযুক্ত সিপিএম
তৃণমূলের একটি দলীয় কার্যালয় পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল সিপিএমের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার রাত ১২টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে দুবরাজপুরের কুখুটিয়া গ্রামে। তৃণমূলের অভিযোগ, দুবরাজপুর থেকে খয়রাশোল যাওয়ার রাস্তায় গ্রামের তালবোনা পুকুরের পাশে মাস আটেক আগে তৈরি হওয়া পার্টি অফিস পুড়িয়ে দিয়েছে সিপিএমের লোকেরা। কয়েকজনের বিরুদ্ধে দুবরাজপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। তৃণমূলের অভিযোগ অবশ্য উড়িয়ে দিয়েছেন দিলীপবাবু। তিনি বলেন, “একেবারে সাজানো ব্যাপার। যেটাকে ওরা পার্টি অফিস বলে দাবি করছে, তা আদতে কিছু বাঁশ খড় দিয়ে গড়া একটা বসার জায়গা ছাড়া কিছুই নয়।”

রাইপুরে আগুন
আগুনে পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে গেল একটি মাটির বাড়ি। আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হল আরও দু’টি মাটির বাড়ি। শুক্রবার দুপুরে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে রাইপুরের বাবুইদা গ্রামে। বাসিন্দারাই জল ঢেলে আগুন নেভান। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শক্তি বেজের খড়ের ছাউনি দেওয়া মাটির বাড়িতে হঠাৎ আগুন লাগে। মুর্হূতে তা ছড়িয়ে পড়ে পড়শি অঙ্কুর বেজ ও নিমাই বেজের বাড়িতে। বাসিন্দাদের অনুমান, তিলকাঠির আগুন থেকেই আগুন ছড়ায়। আগুন লাগার কারণ পুলিশ খতিয়ে দেখছে।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.