ধর্ষণের সময় চিনে ফেলায় শ্বাসরোধ করে, ইট দিয়ে এক বধূর মাথা থেঁতলে দেওয়ার অভিযোগ উঠল বরাবাজারের ভাগাবাঁধ এলাকায়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার ঘটনা। গুরুতর জখম ওই বধূকে পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অভিযুক্ত অম্বাবতী সহিস সিপিএমের কর্মী বলে এলাকার পরিচিত। স্থানীয় পাঁজনবেড়া গ্রামে তার বাড়ি। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তের সন্ধানে তল্লাশি শুরু হয়েছে।
বধূটির স্বামীর অভিযোগ, তাঁর স্ত্রী মাঠ থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় অম্বাবতী সহিস তার উপর চড়াও হয়ে ধর্ষণ করে। স্বামীর কথায়, “স্ত্রী অম্বাবতীকে দেখে চিনতে পেরে বলে ওঠে, ‘তোকে আমি চিনতে পেরেছি’। এ কথা শুনেই পাছে স্ত্রী পুলিশের কাছে তার অপকীর্তির কথা ফাঁস করে দেয়, এই ভেবে অম্বাবতী আরও মারমুখী হয়ে ওঠে। স্ত্রী’র গলা টিপে ধরে ওর মাথা ইট দিয়ে থেঁতলে দেওয়ার চেষ্টা করে। স্ত্রী’র দেহ নেতিয়ে যায়। মনে হয় এরপরে আমার স্ত্রী মরে গেছে ভেবে অম্বাবতী পালিয়ে যায়।”
সন্ধ্যার পরেও বাড়ি না ফেরায় তিনি স্ত্রী’র খোঁজ মাঠে যান। দেখেন মাঠের মধ্যেই তাঁর স্ত্রী অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। প্রথমে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় বরাবাজার ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। পরে সেখান থেকে পুরুলিয়া সদর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। পরে স্ত্রী-র কাছে ঘটনাটি জানার পরে তিনি রাতে পুলিশের কাছে অম্বাবতীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন। হাসপাতাল সূত্রের খবর, ওই মহিলার মাথা-সহ দেহের নানা অংশে আঘাত রয়েছে।
বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, অম্বাবতীর বিরুদ্ধে এলাকায় আগেও নানা অপরাধমূলক কাজে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে। তবে এই ঘটনাকে ঘিরে এলাকায় দু’দলের রাজনৈতিক কাজিয়া শুরু হয়েছে। তৃণমূলের জেলা কমিটির সম্পাদক নবেন্দু মাহালির দাবি, “ওই মহিলার স্বামী আমাদের দলের সক্রিয় কর্মী। অম্বাবতীকে এলাকার সবাই সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতী বলে চেনে। স্বামী তৃণমূল করে বলেই অম্বাবতী ওই বধূকে ধর্ষণ করে পাশবিক অত্যাচার করেছে।” সিপিএমের জেলা সম্পাদক তথা বরাবাজারের বাসিন্দা মনীন্দ্র গোপের পাল্টা দাবি, “আমাদের দলের অনেক কর্মীকে তৃণমূল মিথ্যা মামলায় ফাঁসাচ্ছে। তবে ও যদি অপরাধ করে থাকে, তাহলে শাস্তি পাবে।” |