কলকাতায় ডিজিটাল কেবল পরিষেবার গ্রাহকদের আবেদনপত্র জমার সময়সীমা বেঁধে দিল টেলিকম রেগুলেটরি অথরিটি অফ ইন্ডিয়া (ট্রাই)। শুক্রবার দিল্লিতে এমএসও-দের সঙ্গে বৈঠকের পরে ট্রাই-এর মুখ্য উপদেষ্টা এন পরমেশ্বরন জানান, ২৩ অগস্টের মধ্যে কলকাতার গ্রাহকদের ওই আবেদনপত্র তাঁদের কেবল অপারেটর বা এমএসও-দের কাছে জমা দিতে হবে। না দিলে ২৪ অগস্ট থেকে পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাবে। পরমেশ্বরন বলেন, “আবেদনপত্রে গ্রাহক সংক্রান্ত তথ্যের পাশাপাশি তাঁদের পছন্দের চ্যানেলের তালিকারও উল্লেখ থাকতে হবে। কোনও চ্যানেল পছন্দ করার পরে গ্রাহক তিন মাস পর্যন্ত তা বদলাতে পারবেন না। তার পরে চাইলে চ্যানেল পরিবর্তন করতে পারবেন।” শহরের অন্যতম এমএসও সিটি কেবল-এর কর্তা সুরেশ শেঠিয়া জানান, সব এমএসও আবেদনপত্র জমা দেওয়ার জন্য ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় চেয়েছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত তাঁরা ট্রাই-এর সময়সীমা মেনে নেন। এ ছাড়া, ১ সেপ্টেম্বর থেকে এমএসও-রা সরাসরি গ্রাহকদের পরিষেবার ‘বিল’ তৈরি করবেন বলেও নির্দেশ দিয়েছে ট্রাই।
পুরনো খবর: ভুগছে কলকাতাই, বলল ট্রাই
|
নিষিদ্ধ নেশার ওষুধ ‘সিউডো-এফিড্রিন’ সমেত শুক্রবার কলকাতা বিমানবন্দরে ধরা পড়ে গেলেন তিন বিমানযাত্রী। ধৃত রবার্ট, সাঙ্গা এবং ভ্যানচুন মিজোরামের বাসিন্দা। তাঁদের কাছে প্রায় ৪৫ কেজি ওজনের ৪ লক্ষ ট্যাবলেট পাওয়া গিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পরিমাণ সিউডো-এফিড্রিন থেকে যতটা অ্যামফিটামাইন নামে নেশার ওষুধ তৈরি হত, তার বাজার দর প্রায় ৭৫ কোটি টাকা। এ দিনই নারকোটিক কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)-র অফিসারেরা বিমানবন্দর থেকে এই তিন জনকে নিয়ে যান এবং তাদের গ্রেফতার করা হয়। বিমানবন্দর সূত্রের খবর, শুক্রবার সকালের উড়ানে আইজল যাওয়ার কথা ছিল তিন জনের। সকালেই দিল্লি থেকে বিমানে কলকাতায় এসে পৌঁছন তাঁরা। ধৃতদের দাবি, দিল্লির কোনও এক ব্যক্তি বিমানের টিকিট কেটে হাতে দশ হাজার টাকা দিয়ে তাঁদের ওই ওষুধ আইজলে পৌঁছে দিতে বলেন। অন্য দিকে, ক্রেতা সেজে বৃহস্পতিবার রাতে নারকেলডাঙা থেকে এক মাদক বিক্রেতাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতের নাম মহম্মদ সাজিদ। তার কাছ থেকে ১১৯টি পুরিয়ায় ২৬ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার হয়েছে। পুলিশের অনুমান, বাজেয়াপ্ত হওয়া হেরোইনের বাজারমূল্য প্রায় ২৫ হাজার টাকা। শুক্রবার ধৃতকে আদালতে তোলা হয়।
|
এনআরএসের স্ত্রী-রোগ বিভাগের আউটডোরের সামনে পড়েছিলেন বছর ৩৫-এর এক অজ্ঞাতপরিচয় মহিলা। কিছুক্ষণ ওই ভাবে তাঁকে পড়ে থাকতে দেখে সন্দেহ হয় অন্যদের। ডাকাডাকি করেও সাড়া পাননি তাঁরা। দেখা মেলেনি কোনও আত্মীয়-বন্ধুর। চিকিৎসকেরা পরীক্ষা করে ওই মহিলাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর দেওয়া হয় এন্টালি থানায়। হাসপাতালের অধ্যক্ষ শ্রীকান্ত পুরকায়স্থ জানান, প্রাথমিক পরীক্ষায় চিকিৎসকদের অনুমান, হাসপাতালে আসার আগেই ওই মহিলার মৃত্যু হয়েছে। কে বা কারা দেহটি ফেলে গেল, তার তদন্ত চলছে।
|
জেলের মধ্যে গাঁজা নিয়ে ঢুকতে গিয়ে প্রবেশপথে ধরা পড়ে গেলেন এক জেলরক্ষী। শুক্রবার, কলকাতার প্রেসিডেন্সি কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে। কারা দফতর সূত্রের খবর, ধৃত ওই জেলরক্ষীর নাম ইজাজ আহমেদ। জেলের এক কর্তা বলেন, “এ দিন পোশাকের মধ্যে লুকিয়ে গাঁজা নিয়ে ঢুকতে গিয়ে ধরা পড়ে যান ওই রক্ষী। তাঁর সঙ্গে একটি মোবাইলের হেডফোনও ছিল। সেটিও আটক করা হয়েছে।” কারা দফতর সূত্রের খবর, ধরা পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই ওই রক্ষীকে সাসপেন্ড করে তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে।
|
যাদবপুরের আবাসনে প্রৌঢ়া শম্পা ঘোষ খুনে জড়িত থাকার অভিযোগে শুক্রবার গ্রেফতার হল তাঁরই পরিচারিকা শিবানী মান্না। ধৃতকে শনিবার আদালতে তোলা হবে। পুলিশ জানায়, শিবানীর বয়ানে অসঙ্গতি থাকায় সন্দেহ হয়। শম্পাদেবীকে গলা টিপে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। তার আগে মাথায় আঘাত করা হয়। শুক্রবার ময়না-তদন্তের রিপোর্ট হাতে পেয়ে এ কথা জানান কলকাতা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ দমন) পল্লবকান্তি ঘোষ। গোয়েন্দাদের অনুমান, শম্পাদেবী খুনে একাধিক ব্যক্তি জড়িত।
পুরনো খবর: ফ্ল্যাটে খুন গৃহকর্ত্রী, পরিচারিকাকে জেরা
|
অস্ত্র ও এক রাউন্ড কার্তুজ-সহ এক ব্যক্তি গ্রেফতার হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে, তিলজলা থানা এলাকা থেকে। ধৃতের নাম শেখ দুলারা। পুলিশ জানায়, ওই রাতে এলাকায় দুলারাকে দেখে পুলিশের সন্দেহ হয়। তল্লাশি করে তার কাছ থেকে মেলে একটি দেশি বন্দুক ও কার্তুজ। যথাযথ নথি দেখাতে না পারায় বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র রাখার অপরাধে ওই ব্যক্তি গ্রেফতার হয়। শুক্রবার তাঁকে আদালতে তোলা হয়।
|
আলিপুর সেন্ট্রাল জেলের বাইরে থেকে শুক্রবার সকালে একটি শিশুর দেহ উদ্ধার হল। শিশুটিকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকাল ১১টা নাগাদ ওই সদ্যোজাত কন্যাকে পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়েরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় আলিপুর থানার পুলিশ। ওই শিশুটিকে কে ওখানে ফেলে রেখে গিয়েছে, কী ভাবেই বা তার মৃত্যু হয়েছে, খতিয়ে দেখছে পুলিশ। |