বেলুড় মঠের সংগ্রহশালা থেকে সারদাদেবীর দাঁত, চুল, রুদ্রাক্ষের মালা চুরির কিনারা হয়নি। ওই ঘটনার পরেই মঠ-চত্বরের নিরাপত্তা ঢেলে সাজা হচ্ছে। রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অন্য যে-সব শাখায় শ্রীরামকৃষ্ণ, সারদাদেবী ও স্বামী বিবেকানন্দের ব্যবহৃত এবং স্মৃতিবিজড়িত জিনিসপত্র রয়েছে, সেখানেও নজরদারি বাড়ানো হচ্ছে। বৃহস্পতিবার রামকৃষ্ণ মিশনের তরফে এ কথা জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেলে চুরির বিষয়টি প্রথম দেখেন স্বামী বোধিসত্ত্বানন্দ নামে এক সন্ন্যাসী। তিনি দেখেন, যে-কাচের বাক্সে জিনিসগুলি রাখা ছিল, তার উপরে রাখা প্ল্যাকার্ডটি উল্টো দিকে ঘোরানো। সেটি ঠিক করতে গিয়ে দেখা যায়, বাক্সের ঢাকনা খোলা, ভিতরে জিনিসগুলি নেই। |
পুলিশের অনুমান, চোরেরা দু’তিন জন ছিল এবং তারা ওই সংগ্রহশালার নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে ওয়াকিবহল। এর পিছনে একটি চক্র কাজ করছে বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা। সংগ্রহশালার কর্মীদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও তদন্তে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
এ দিন ওই সংগ্রহশালায় গিয়ে দেখা যায়, প্রবেশপথ দিয়ে ঢুকে দোতলায় উঠে বাঁ দিকে পাঁচ নম্বর প্রদর্শনী কক্ষ। সেখানেই অন্যান্য জিনিসের সঙ্গে আলাদা কাচের বাক্সে সারদাদেবীর পায়ের ছাপ, দাঁত, চুল ও যপের রুদ্রাক্ষমালা রাখা ছিল। এ দিন অন্যান্য প্রদর্শনী কক্ষ দর্শকদের জন্য খুলে রাখা হলেও পাঁচ নম্বর কক্ষটি ঢেকে রাখা হয়েছে।
মঠ সূত্রের খবর, ওই ‘রামকৃষ্ণ সংগ্রহশালা’য় রক্ষী ও স্বেচ্ছাসেবক মিলিয়ে ১০ জন কাজ করেন। তাঁরা মূলত দর্শকদের টিকিট পরীক্ষা, লাইন দেখভাল করা, ছবি না-তোলার বিষয়টি দেখেন। সংগ্রহশালায় সিসিটিভি নেই, তবে ভিতরে অ্যালার্ম রয়েছে। রাতে কেউ ভিতরে ঢুকলে তবেই তা বেজে ওঠে। মঠের তরফে স্বামী শুভকরানন্দ বলেন, “সব জায়গায় সে-ভাবে রক্ষী দেওয়া সম্ভব নয়। তবে বুদ্ধগয়ায় বিস্ফোরণের পরে পুলিশের পরামর্শমতো নজরদারির ব্যবস্থা জোরদার করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছিল। তার মধ্যেই এই ঘটনা।”
|