চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে থেকে পালাতে গিয়ে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হলেন মদন তামাং খুনের ঘটনার অন্যতম অভিযুক্ত দাওয়া সাঙ্গে। একইভাবে ওই আরেক অভিযুক্ত তেনজিং খাম্বাচেও পালানোর চেষ্টা করেছিলেন বলে পুলিশের অভিযোগ। বুধবার সকালে দার্জিলিং জেলা হাসপাতালের সামনে ঘটনাটি ঘটেছে। ঘটনার পর হাসপাতালে পুলিশি নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, গত ১৭ জন মদন তামাং খুনের মামলায় সিবিআই-র চার্জশিট এ নামা থাকা ১৩ জন আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। ২০ জুন তাঁদের মধ্যে দাওয়া সাঙ্গে, তেনজিং খাম্বাচে, প্রবীণ সুব্বা এবং কমল লামাকে জেল হেফাজত থেকে অসুস্থতার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
পুলিশ সূত্রের খবর, এদিন সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ দাওয়া এবং তেনজিং হাসপাতালের ওয়ার্ড থেকে বাইরে বার হন। হাসপাতালে প্যাথলজিক্যাল বিভাগে তাঁরা যাচ্ছেন বলে কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীদের জানান। পুলিশ কর্মীদের চোখের আড়াল করে দুইজনে বাইরে চলে যান। হাসপাতালের পাশেই দার্জিলিং সদর থানা। কর্তব্যরত পুলিশ কর্মীরা তা থানায় জানাতেই বিরাট পুলিশ বাহিনী এলাকায় তল্লাশি শুরু করেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই তেনজিং অবশ্য ওয়ার্ডে নিয়েই ফিরে আসেন। কিন্তু দাওয়াকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। হাসপাতাল থেকে ৫০০ মিটার দূরে একটি রেঁস্তোরার মধ্যে তাঁর খোঁজ মেলে। সামনে একটি গাড়ি দাঁড়ানো ছিল। পুলিশের অনুমান, রেঁস্তোরার ভিতরে ঢুকে কিছু খেয়ে দাওয়া সম্ভবত গাড়িতে করে পালানোর ছক করেছিল। হাসপাতালের সিসিটিভিতে তাঁদের গতিবিধি পরীক্ষা করা হচ্ছে।
দার্জিলিঙের জেলা পুলিশ সুপার কুণাল অগ্রবাল বলেন, “ওই অভিযুক্ত সম্ভবত পালানোর চেষ্টা করছিল। যে এলাকা থেকে তাঁকে ধরা হয়েছে, সেখানে একটি গাড়িও ছিল বলে জানা যাচ্ছে। তবে থানার পুলিশ কর্মীদের তৎপরতায় দাওয়া সাঙ্গে পালাতে পারেননি। আর তেনজিং খাম্বাচেও ঠিক কী করছিলেন তা সিসিটিভি থেকে দেখা গিয়েছে। আমরা আদালতে বিষয়টি জানাব।” পাশাপাশি, ওই ধৃতেরা সত্যিই অসুস্থা না কী অসুস্থতার অভিনয় করছেন তা খতিয়ে দেখা দরকার বলে পুলিশ সুপার মন্তব্য করেছেন।
|